শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানুন ঘরোয়া ৭টি পদ্ধতিতে
আপনি কি শীতের রুক্ষতা থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য হতে পারে। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
উপায় এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তাই আপনি যদি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানুন ঘরোয়া ৭টি পদ্ধতিতে
ভূমিকা
আমরা সবাই ত্বকের বিভিন্ন রকম ভাবে যত্ন নিয়ে থাকে। কিন্তু শীত দিলেই যেন ত্বকের
প্রতি আমাদের যত্নশীলতা আরো বেশি বেড়ে যায়। কারণ শীতে আমাদের তো অনেক বেশি
রুখ্য ও সুক্ষ হয়ে যায়। যার ফলে শীতকালে বিভিন্ন রকম ক্রিম ও ঘরোয়া উপায় এর
মাধ্যমে আমরা আমাদের ত্বককে শীতের আদ্রতা থেকে রক্ষা করে থাকি।
তাই আর্টিকেলে আমরা শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম
ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকাল এলেই যেন আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন ঠোঁটফাটা,
পায়ের গোড়ালি ফাটা, শরীর খসখসে ইত্যাদি। কারণ শীতকালে আবহাওয়াটা অনেক শুকনো
থাকে যার ফলে আমাদের ত্বকে এ ধরনের সমস্যা হয়।
আরো পড়ুনঃ একদিনে ব্রণ দূর করার ১০টি কার্যকরী উপায়
তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে শীতকালে কিভাবে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের
যত্ন নিবেন।তাই নিচে কিছু ঘরোয়া উপাদান সম্পর্কে বলা হলো যেগুলো করলে শীতে
আপনাদের ত্বক ভালো থাকবে।
- গরম পানি ব্যবহার করা
শীতকালে আবহাওয়াটা অনেক শুকনো রুক্ষ থাকে যার ফলে শীতে আমাদের পা হাত, মুখ
ইত্যাদিতে ফাটল ধরে। এছাড়াও এ সময় আমাদের শরীরটা অনেক খসখসে থাকে। তাই শীতকালে
যতটুকু পারবেন গরম পানি ব্যবহার করবেন।
এবং গোসলের সময় অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।বেশি গরম পানি
আবার ব্যবহার করা যাবে না উসুম কুসুম পানি ব্যবহার করতে হবে । কারণ গরম পানিতে
গোসল করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে খসখসে ভাবটা অনেকটা দূর হয়।
- ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরি
শীতকালে শুকনো ত্বকের যত্ন নিতে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। আর এই ফেসপ্যাক ঘরে
বসেই তৈরি করা যাবে। এর জন্য দরকার শুধুমাত্র মধু এবং গোলাপ।গোলাপ জলপ্রথমে এক
চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে
হবে। এবার এই ফেসপ্যাক নিজেদের মুখে এবং গলায় ঘাড়ে ব্যবহার করতে হবে।
মধু গোলাপ জলের ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবং এর
১৫ মিনিট পর মুখটা ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে দুই থেকে তিনবার ফেসপ্যাক
ব্যবহার করতে পারলে ত্বকে শুকনো ভাব থাকবে না।
- সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
শীতের সময় সাবান ব্যবহার করার কারণে আমাদের ত্বক আরো বেশি রুখ্য এবং শুকনো হয়ে
পড়ে। যার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে যায় এবং খসখসে হয়ে যায়। তাই
আপনারা সবাই শীতে সাবান মাখা থেকে বিরত থাকবেন এবং ঘরে থাকা গ্লিসারিন ত্বকে
ব্যবহার করবেন। যদি গ্লিসারিন না থাকে তাহলে মধু ব্যবহার করবেন।
- শীতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের যত্ন
মুখের যত্ন আমরা প্রায় সবাই নিয়ে থাকি। কিন্তু শীত এলে যেন আরও বেশি করে মুখের
যত্ন নিতে হয়। কারণ শীতের রুক্ষ এবং শুকনো আবহাওয়া আমাদের মুখ কে খসখসে রুক্ষ
করে তুলে। তাই শীতকালে মুখের যত্নে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। তা হলো এক চামচ
গ্লিসারিন এর সাথে ঘরে থাকা গরুর দুধ দুই চামচ মিশাতে হবে।
এবং এর সাথে আধা চামচ পরিমাণ হলুদ গুঁড়া মিশাতে হবে এবং দুইটা ভালোভাবে
মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। এবং প্রায় দশ মিনিট পর্যন্ত এ মিশ্রণটি মুখে রাখতে হবে।
এরপর হালকা করে নরম কাপড় দিয়ে মুক্তি মুছে ফেলতে হবে। তাহলেই আপনাদের মুখে কোন
রকম খসখসে ভাববা রুক্ষ ভাব থাকবে না। এবং এর সাথে মুখটা অনেক উজ্জ্বল এবং ক্লিন
হয়ে যাবে।
শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শীতকালে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
এছাড়া শীতকালে মাথায় অনেক খুশকি হয়ে থাকে। তাই শীতকালে প্রতিনিয়ত চিরুনি
দিয়ে চুল ভালোভাবে আজরাতে হবে।
এবং শীতকালে চুলের গোড়াই নারকেল তেল দিতে হবে সবচেয়ে ভালো হয় রাতের
বেলায় নারকেল তেল দিয়ে ঘুমানো। এছাড়াও চুলকে আরো বেশি সতেজ এবং শীতের রুক্ষ
আবহাওয়া থেকে রক্ষা করতে কিছু ঘরোয়া উপায় আপনাদেরকে বলা হলোঃ
১। প্রথমে একবাটির হাপবাটি পরিমাণ হাতের মার নিয়ে নিতে হবে।
২। এরপর ভাতের মারের ভেতরে এক প্যাকেট শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে।
৩। এবং এরপর এই মিশ্রণের ভিতরে আধা চামচ লেবু এবং অল্প পরিমাণ মধু দিতে হবে।
৪। পুরো মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এরপর এটি চুলে দিতে হবে। চুলে
যেভাবে শ্যাম্পু দেয় সেই ভাবেই এটি চুলে দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে।
৫। কিছুক্ষণ পর এটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং এরপর আরেকটি সিরাম তৈরি করতে
হবে।
৬। একটি বাটিতে দুই থেকে তিন চামচ পানি নিতে হবে এবং এতে হাফ চামচ নারকেল তেল ম
৮-১০ ফোঁটা গ্লিসারিন মিশাতে হবে।
৭। এবং অবশেষে এবং অবশেষে এই সিরামটি আপনার চুলে ভালো হবে মিশিয়ে নিবেন। তাহলে
আপনাদের চুল অনেক সিল্কি হবে।
আর এভাবেই যদি আপনারা এসব ঘরোয়া উপাদান গুলো শীতকালে আপনাদের চুলে ব্যবহার করেন
তাহলে আপনাদের চুল শীতের রুক্ষ এবং শুকনো আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতকাল এলেই আমাদের শরীরের এবং ত্বকের নমনীয় ভাবটি কমে আসে। এবং শীতকালে ত্বকে
বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন পা ফাটা, ঠোঁটফাটা, শরীরের খসখসে ভাব ইত্যাদি।
এগুলোর কারণ হলো শীতের রুক্ষ ও শুকনো আবহাওয়া। শীতল বাতাস কম আর্দ্রতা শীতের
ঠান্ডা ভাব আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ক্ষতি করে।
আরো পড়ুনঃ ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়
তাই শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস
ব্যবহার করে থাকে। শীতে শরীরের খসখসে ভাব দূর করার জন্য আমাদের শীতকালে
প্রতিনিয়ত দিনে তিন থেকে চারবার গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হবে। যদি গ্লিসারিন না
থাকে তাহলে মধু ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও শীতে ঠান্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে
এবং সব সময় গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
ঠান্ডা পানি থেকে গোসল অভ্যাস দূর করতে হবে। শীতে বেশি বেশি গাজর খেতে হবে
কারণ গাজরে অ্যান্টিঅক্সাইড এবং বিভিন্ন পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা শীতে আমাদের
ত্বককে রক্ষা করে। এবং গাজরের সাথে সাথে কমলা বেশি বেশি করে খেতে হবে কমলাতে
বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে যা শীতে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক প্রয়োজন।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
ত্বকের যত্ন কম বেশি আমরা সবাই নিয়ে থাকি। কিন্তু শীত এলে ত্বকের যত্ন আরো বেশি
করে নিতে হয়। কারণ শীতে আমাদের দল অনেক বেশি রুখ্য ও সূক্ষ্ম হয়ে যায় কারণ
শীতের আবহাওয়া অনেক বেশি ঠান্ডা ও শুকনো তাই। যার ফলে এই সময় আমাদের শরীরের
মধ্যে তেলতেলে ভাবটি থাকে না এবং খসখসে একটি ভাব থাকে।
তাই এই খসখসে ভাব দূর করার জন্যই আমরা শীতের সময় ত্বকে বিভিন্ন রকম ক্রিম
ব্যবহার করে থাকি। যেমন বিভিন্ন রকম কোল্ড ক্রিম, নাইট ক্রিম, সানস্ক্রিম, লোশন
লোশন ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ক্রিম। এরমধ্যে লোশন শীতকালে অনেক বেশি ব্যবহার করতে
হয়। কারণ লোশন অল্প সময়ের জন্য ত্বককে ভালো সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
এছাড়াও সারাদিন ত্বককে সুরক্ষিত ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন পরিমাণ নাইট
ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যা আমাদের ত্বককে সারারাত সুরক্ষিত রাখবে। সারাদিন ত্বকে
যে পরিমাণ ক্ষতি করে নাইট ক্রিম তোকে মাখার ফলে রাতে ত্বক রক্ষা পায়। এছাড়া
বিভিন্ন পরিমাণ সানস্ক্রিম শীতের রোদ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। কারণ শীতের রোদে
এক পরিমাণ তাপ অনুভব হয়।
যা আমাদের মুখের মধ্যে এক ধরনের কালো ভাব তৈরি করে। সানস্ক্রিম লাগানোর
মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি থেকে আমাদের ত্বক রক্ষা পায়। তাই বলা যায় যে শীতের
ত্বকের যত্নে এ ধরনের ক্রিম মাখা প্রয়োজন।
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত
শীতকালেই মুখের যত্নে সবাই যেন একটু বেশি দায়িত্বশীল হয়ে পড়ে। কারণ শীতের
আবহাওয়া আমাদের মুখকে অনেক রুখ্য ও সূক্ষ্ম করে দেয়। তাই এই শীতকালে মুখে যত্ন
নেওয়া খুবই প্রয়োজন। তাই এ শীতকালে মুখের জন্য অ্যালোভেরা জাতীয় অয়েল মিনারেল
অয়েল ইত্যাদি মশ্চারাইজেশন ব্যবহার করতে হবে। এতে আমাদের ত্বক অনেক বেশি আদ্র
থাকবে।
এছাড়া শীতকালে মুখে যত্নে আপনি যদি চান তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে
পারেন। অলিভ অয়েল মুখকে অনেক আদর রাখতে এবং শীতের রুক্ষতা থেকে রক্ষা করবে।
এছাড়াও সরিষার তেল মাখলেও ত্বক অনেক বেশি আগ্রহ থাকবে। এছাড়াও শীতে আমাদের
অনেকেরই সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা।
শীতে ঠোঁট ফাটেনা এমন লোক হয়তোবা খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। তাই ঠোঁট
ফাটার জন্য আপনি চাইলে মেরিল অথবা বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন রকম ক্রিম ব্যবহার
করতে পারেন। এতে শীতে ঠোট ফাটা থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। শীতকালে মুখকে টানটান
রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে আপনি হলুদ এবং নিম পাতা বেটে একসাথে মেখে সেটা মুখে
মাখতে পারেন।
এতে করে আপনার মুখে যদি কোন দাগ অথবা কাল যে ভাব থাকে তাহলে সেটি দূর হয়ে
যাবে। এবং আপনার মুখে আগের মতো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এবং আপনার স্কিনটি অনেক বেশি
ফুটে উঠছে।
রাতে ত্বকের যত্ন
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সারাদিন অনেক ব্যস্ত সময় পার করে। যারা সকালে
বাড়ি থেকে বের হয় এবং রাতে বাসায় ঢুকে। সারাদিন বাইরে থাকার ফলে তাদের ত্বকে
বিভিন্ন প্রকার ধুলো মাটি এবং ময়লা জমে যায়। এবং তারা সারাদিন ভালোভাবে ত্বকের
যত্ন নিতে পারে না। তাই তাদের জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সারাদিনের ত্বকের লেগে থাকা পপুলেশন ময়লা ধুলাবালি ইত্যাদি দূর করার জন্য
রাতে ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তোকে সুন্দর রাখার জন্য সর্বপ্রথম যেটি প্রয়োজন সেটি
হলো ভালোভাবে মুখ ধোয়া। যাতে করে তোকে কোনরকম ধুলোবালি লেগে না থাকে। এবং ত্বকের
খসখুসে ভাব দূর করার জন্য অলিভ অয়েল এবং এলোভেরা যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা।
আরো পড়ুনঃ বডি ফিটনেস ঠিক রাখার সেরা ৮টি উপায়
অলিভ অয়েল এবং এলোভেরা যুক্ত ফেসওয়াশ আমাদের ত্বকের মধ্যকার তেলতেলে ভাব
এবং খসখসে ভাব দূর করে। এবং এরপর হাতে পায়ে ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। যাতে
করে হাতে পায়ে কোনরকম ময়ল ধুলাবালি না থাকে। এবং যাদের চুল বেশি বড় তাদেরকে
ঘুমানোর আগে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে চুল রাতে অনেক ভালো থাকে।
এবং এরপর ঠোঁটে ক্রিম দিতে হবে। এবং সর্বশেষ একটি ভালো লোশন সারা শরীরে
ভালোভাবে মাখতে হবে। আর এভাবেই রাতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে যাতে করে সারাদিনের সকল
রকম ঝড় ঝাপটা থেকে শরীর এবং ত্বক রক্ষা হয়।
লেখকের মন্তব্য
শীতে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে যদি আপনি আপনার ত্বকের
যত্ন নিয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের আশেপাশে শেয়ার করুন
যাতে এই শীতে তারাও ত্বকের যত্ন নিতে পারে।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url