কৈ মাছ কোন জেলায় পাওয়া যায়-এর বৈশিষ্ট ও উপকিারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি কৈ মাছ কোন জেলায় পাওয়া যায় এবং কৈ মাছের উপকারিতা
সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাদের এখানে কই মাছ সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য রয়েছে তা নিজে বিস্তারিত ভাবে
আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।
সূচিপএঃ কৈ মাছ কোন জেলায় পাওয়া যায়-এর বৈশিষ্ট ও উপকিারিতা
ভূমিকা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে পরিচিত একটি মাছ হল কৈ মাছ। বাংলাদেশ
দুই ধরনের কৈ মাছ পাওয়া যায় একটি হলো দেশি আরেকটি হলো বিদেশি বা থাই। কৈ মাছ
বাংলাদেশের পুকুর খাল বিল ইত্যাদিতে চাষ করা হয়ে থাকে।এছাড়াও কৈ মাছের পুষ্টিগুণ
চাহিদা এবং উপকারিতা অনেক রয়েছে । কৈ মাছের এই সকল তথ্যগুলো আমাদের এই আর্টিকেলে
দেওয়া হয়ে হলো।
দেশি কৈ মাছ চেনার উপায়
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কাটাযুক্ত মাছ হচ্ছে কৈ মাছ। এই কৈ মাছ
দেখতে এবং আকৃতিতে কিছুটা ছোট কclass="alert info"িন্তু এর গায়ে প্রচুর পরিমাণ কাটা থাকে। কৈ মাছ
দুই ধরনের হয় একটি হলো দেশি এবং অন্যটি হলো থাই। তাই আমরা অনেক সময় কৈ মাছ
কিনতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় যে দেশী কোনটা আর থাই কোনটা।
আরো পড়ুনঃ আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার
দেশি কই চেনার উপায় হল এটি রান্নার পর খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। এছাড়াও
দেশে কৈ মাছের মুখটা অনেক সরু হয় এবং মাথা হয় ছোট। এবং দেখতেও অনেক ছোট হয়।
এবং পাখনাটা হালকা হলুদ হয়। আর এভাবেই আমরা বিভিন্ন প্রকার দেশি কই চিনতে পারি।
এছাড়া ঠাই করে দেখতে কিছুটা ফ্যাকা সে রংয়ের হয়ে থাকে। থাইকোয়ের মাথা আর শরীর
হয় মোটা।
কৈ মাছের বৈশিষ্ট্য
আমাদের সবারই সবচেয়ে পরিচিত একটি মাছ হল কৈ মাছ। আমরা কম-বেশি সবাই এই মাছটি
সাথে পরিচিত। কই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল Anabas cobojius এছাড়াও এর ইংরেজি নাম
হল Gangetic koi। এই মাছটি দেখতে কালচে রঙের হয়ে থাকে। এবং এ মাছে প্রচুর পরিমাণ
কাটা থাকে।এরা ফুলকা বাতাস এবং পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
এই কই মাছের ভিতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রজাতি হলো দেশি কই।এই কই মাছ লম্বাটে
প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এর দেহ মাঝারি আকার আইস দ্বারা আবৃত থাকে। এরা
পানি ছাড়াও ৬ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে।এরা মিষ্টি জলে থাকতে
স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। সাধারণত নদী খাল বিল ইত্যাদিতে এদের পাওয়া যায়।
- চাষ পদ্ধতি
আমাদের বাংলাদেশে প্রায় দুই ধরনের কৈ মাছ পাওয়া যায় একটি হলো আমাদের দেশের
দেশি কই এবং অন্যটি হলো বিদেশী বা থাই কই।কই চাষের জন্য প্রায় ২৫ থেকে ২০ শতাংশ
আয়তন এবং 1.0 থেকে ১.৫ মিটার গভীর পুকুর প্রয়োজন হয়।কৈ মাছ পুকুরের পাড়
ভেঙ্গে উপরে চলে আসে তাই একে বাধা দেওয়ার জন্য পুকুরের পা উঁচু করা ভালো।
আরো পড়ুনঃ নাইলোটিকা মাছের বৈশিষ্ট্য
এছাড়াও পুকুরের চারিদিকে বাসের বেড়া অথবা নেট দিয়ে ঘিরে এটি আটকানো যেতে
পারে। এছাড়াও জলজাগাছা এবং পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রকার রাক্ষসী মাছ নিধন করতে
হবে।এবং পুকুরে যথা পরিমাণ চুন ও জৈবজৈব সার প্রয়োগ করতে হবেএবং এরপর পুকুরে কৈ
মাছের পোনা ছাড়তে হবে। আর এভাবেই কৈ চাষ করতে হয়।
কৈ মাছ কোন জেলায় পাওয়া যায়
জুয়েল মাছের মধ্যে কই মাছ হল অত্যন্ত সুস্বাদু একটি মাছ। এটি কর্ডারাটা পূর্বের
একটি প্রাণী যার মেরুদন্ড আছে।এসব কৈ মাছ যে কোন পুকুর খাল বিল নদী নালা ইত্যাদি
জায়গায় চাষ করা যেতে পারে এগুলো অনেক ভালো এবং সুস্বাদু একটি মাছ। এটি বিভিন্ন
জেলায় পাওয়া যে গিয়ে থাকে যেমন রাজশাহী চট্টগ্রাম বরিশাল সিলেট সহ বিভিন্ন
জেলায়।
০৩আরো পড়ুনঃ চিংড়ি মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকে এই কৈ মাছের চাষ অনেক বেশি। গ্রাম অঞ্চলে
এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে অনেক মানুষ পুকুর অথবা ঘুরে ইত্যাদি
জায়গায় চারিদিকে ভালোভাবে ঘিরে জাল বা বাঁশের নেট দিয়ে কৈ মাছ চাষ করছে এবং
তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এভাবে কৈ মাছ চাষ করা যায়।
কৈ মাছ কত বছর বাঁচে
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় একটি মাছ হচ্ছে কৈ মাছ এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং অনেক
ভালো বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়। এবং এটি পুকুর খাল বিল ইত্যাদি
স্থানে চাষ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি গ্রামাঞ্চলে বেশি মানুষ চাষ করে থাকে এই
কৈ মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হয়।
এই মাছ সহজে মরে না যার ফলে অনেক মানুষ পেশা হিসেবে এই কৈ মাছ চাষকে বেছে
নিয়েছে। এটি অল্প খরচে বিপুল আই পাওয়া যায়। কৈ মাছ প্রায় ২৫ থেকে ৪০ বছর
পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কই আনকো নামের একটি জাপানি মাছ যেগুলো প্রায় সবচেয়ে বেশি
বছর বেঁচে রেকর্ড করেছিল।
কৈ মাছের উপকারিতা
কই মাছের অনেক উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ চাহিদা রয়েছে। কই মাছে রয়েছে দশটি
প্রয়োজনীয় আম্যাইনোএসিড যা শিশুদের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিশু ছাড়াও যে
কোন মানুষের দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই দশটি
অ্যামাইনো এসিড।
কৈ মাছ ভিটামিন এ ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি সাধন
করে এবং হাড়ো দাঁতের গঠনে ভূমিকা রাখে। ওই মাছে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি
এসিড যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে। ত্বককে সুস্থ রাখে দেহের
বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতেও ভূমিকা রাখে এই কই মাছ। কৈ মাসে আরও আছে প্রচুর
পরিমাণ ডিএনএ যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগি পালন পদ্ধতি
এই কৈ মাছ এবং মস্তিষ্কে সুরক্ষা প্রদান করে এবং এলজামার ঝুঁকি হাস করে। কৈ
মাছ সহজ পাশ্চ সকল বয়সে মানুষ এটি খেতে পারে। পুষ্টিতে ভরপুর তবে কই মাছের
কাটায় খনিজ লবণ অধিক পরিমাণে থাকে এবং এর মাথা ও চোখ থাকে ডিএনএ তাই এই কৈ মাছ
খাওয়ার সময় চেষ্টা করবেন এর কাটা ও মাথা ফেলে দিয়ে খাওয়া। এভাবেই কয় মাস
থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি এবং উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
লেখকের মন্তব্য
কৈ মাছ কোন জেলায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে আপনি যদি উপকৃত হয়ে
থাকেন। তাহলে এটি অন্যদের শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও এর সম্পর্কে উপকৃত করুন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url