A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে
A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে এবং পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় এ সকল
সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ এই
আর্টিকেলে আমরা এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
তাই আপনি যদি পরীক্ষায় A+ পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ টা
একবার পড়ুন।
সূচিপত্রঃ A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে
A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে
A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে এ সম্পর্কে প্রতিটা শিক্ষার্থীর জানা
অত্যন্ত প্রয়োজন। ছাত্র জীবনে একজন ছাত্রর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে
এসএসসি এবং এইচএসসি সময়টা। কারণ এই সময়টাতে একজন ছাত্র নির্ধারণ করে ফেলতে পারে
যে সে ভবিষ্যতে কি হতে চায় এবং কি হতে পারবে যার ফলে প্রতিটি ছাত্র জীবনে এই
সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।
আরো পড়ুনঃ পড়াশোনায় ভালো করার উপায়
তাই এই সময়টিতে প্রত্যেকটা ছাত্রের চাই সে যেন ভালো একটি রেজাল্ট এ প্লাস পেতে
পারে। এবং সেভাবেই তারা এই সময়গুলোতে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে। কিন্তু অনেক
ছাত্রই ছাত্রীর মধ্যেই পরীক্ষার সময় একটি চিন্তা কাজ করে যে কয়টা বিষয়ে প্লাস
পেলে আমার মোট রেজাল্ট এ প্লাস আসবে অথবা কয়টাতে বিষয়ে প্লাস থাকলে গোল্ডেন এ
প্লাস আসবে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে।
তাই আজকে আমরা তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কয়টি বিষয়
থাকে এবং কয়টি বিষয়ে ক্লাস পেলে মোট রেজাল্টে এ প্লাস আসবে।
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট
এসএসসিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাংলা ফাস্ট পেপার এবং বাংলা সেকেন্ড
পেপার মিলে বাংলা। ইংরেজি ফাস্ট পেপার এবং ইংরেজি সেকেন্ড পেপার মিলে
ইংরেজি।আইসিটি ইসলাম শিক্ষা এবং গণিত মিলে এই মূল ৫টি বিষয় থাকে। এরপর
বাদবাকি আরো তিনটি সাবজেক্ট থাকে যেগুলো মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এবং
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য এই তিনটি বিষয় আলাদা আলাদা হতে পারে।
যেমন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন
এবং মানবিকের জন্য অর্থনীতি, ইতিহাস, ভূগোল ব্যবসায় শিক্ষার জন্য
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ব্যবসায়ী উদ্যোগ, হিসাববিজ্ঞান এই তিনটি বিষয়।
এবং আরো একটি বিষয় রয়েছে যেটিকে চতুর্থ বিষয় বলা হয়ে থাকে
এটি বিজ্ঞান বিভাগের জন্য হতে পারে উচ্চতর গণিত অথবা বায়োলজি এবং
মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষার জন্য কৃষি অথবা গার্হস্থ্য।
এই দিয়ে নয়টি বিষয় হয় এবং আরো একটি বিষয় রয়েছে যা হলো
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং, মানবিক ব্যবসা
শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান। এসএসসির জন্য এই দশটি বিষয় থাকে এবং এই দশটি
বিষয়ের উপরেই এসএসসির শিক্ষার্থীদের হয়ে থাকে।
এছাড়াও শারীরিক শিক্ষা সহ আরো কয়েকটি বিষয় থাকে ওইগুলো স্কুল
থেকেই ফুল নাম্বার দেওয়া হয় তাই ওগুলো কোন বিষয়ের মধ্যে ধরার
প্রয়োজন নেই। এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়ে বা
কয়টি বিষয়ে এ প্লাস থাকতে হবে এই নিয়ে নিচে একটি ছক তৈরি করা হলো।
ছকের মত এরকম কারো রেজাল্ট হয় তাহলে সে জিপিএ ফাইভ বা এ প্লাস পেয়ে যাবে।
দশটা বিষয়ের মধ্যে দুটোতে যদি এ অথবা A অথবাA-আসে তাহলে তারপরেও সে এ
প্লাস পাবে। আবার যদি কেউ একটি বিষয়ে সি পাই আর অন্যান্য নয়টি বিষয়ে এ
প্লাস থাকে তাহলে তাও সেটিকে এ প্লাস ধরা হয়।
- এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট
এইচএসসিও এসএসসির মতোই বাংলা ফাস্ট পার্ট এবং সেকেন্ড পার্ট মিলে বাংলা এবং
ইংরেজি সেকেন্ড পার্ট ফাস্ট পার্ট মিলে ইংরেজি। ইংরেজি বাংলা এবং তথ্য
যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটা বিষয় মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এবং বিজ্ঞান
বিভাগের জন্য এক। এরপর মানবিক বিভাগের তিনটা বিষয় ব্যবসায় শিক্ষার
বিভাগের তিনটা বিষয় এবং বিজ্ঞান বিভাগের তিনটা বিষয় এবং চতুর্থ বিষয়।
এভাবে করে এটিসি তে মোট বিষয় সংখ্যা হল ছয়টি। এইচএসসিতে প্রতিটা
বিষয়েরে ফার্স্ট পেপার এবং সেকেন্ড পেপার আলাদা আলাদা বই রয়েছে। নিচে
একটি ছক দেওয়া হল।
এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয়ের ফাস্ট পেপার সেকেন্ড পেপার থাকাই একদিন একদিন
করে দুইদিন ফাস্ট পেপার এবং সেকেন্ড পেপারের পরীক্ষা হয়ে থাকে। এবং
ফাস্ট পেপার সেকেন্ড পেপার একশ একশ করেন দুইশ নাম্বারের পরীক্ষার রেজাল্ট
দেওয়া হয়। এবং ২০০ মার্কের ভিতরেই পাশ ফেল এবং জিপিএ ফাইভ নির্ধারণ করা
হয়।
এখানে জিপি 5 পেতে হলে ২০০ মার্কের মধ্যে প্রতিটা সাবজেক্টে ১৮০
করে পেতে হবে। এবং আপনি যদি প্রতিটা বিষয়ে এভাবে জিপিএ ফাইভ পান এবং
একটি বিষয়ে সি আসে তারপরও আপনার রেজাল্টে জিপি৫ থাকবে।
পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়
পরীক্ষায় A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে
থাকেন তাহলে আপনি কোনদিনই পরীক্ষায় a+ পাবেন না তাই পরীক্ষায় a+ পাওয়ার
উপায় সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে এই সম্পর্কে জানতে হবে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট
করতে অর্থাৎ পরীক্ষায় এ প্লাস পেতে কে না চায়।
আরো পড়ুনঃ ভালো রেজাল্ট করার উপায়
সকল ছাত্র-ছাত্রীরা চাই যে সে যেন ভালো একটি রেজাল্ট করে তাদের বাবা-মার
মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। কিন্তু শুধু চাইলেই হবে না পরীক্ষায় এ প্লাস পেতে হলে সে
অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে। কারণ পরিশ্রমই হলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পরিশ্রমে
মানুষকে তার সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
মহান আল্লাহতালা সৃষ্টির সেরা হলো মানুষ জাতি কারণ মানুষ অন্যান্য প্রাণী চেয়ে
বুদ্ধি গুণ এবং বিচার বিবেকে সেরা। তাই মানুষ চাইলে এবং চেষ্টা করলে অনেক কিছুই
অর্জন করতে পারে। আমরা অনেকেই মনে করি যে আমার দ্বারা হয়তোবা পড়াশোনা হবে না বা
আমি হয়তোবা ওদের সবার মত ভালো একটি রেজাল্ট কোনদিনই করতে পারব না।
আপনি যখন এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে আসবেন তখন বাস্তবে আপনি সে কাজটি কোনদিনই করতে
পারবেন না। যার ফলে আপনি যদি ভালো একটি রেজাল্ট করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম
যেটি করতে হবে সেটি হল নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে। নিজেকে বলতে হবে যে আমিও পারবো
আমার দ্বারাও এটি সম্ভব। এরপর সে অনুযায়ী আপনাকে পরিশ্রম শুরু করে দিতে হবে।
দিনে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মত পড়াশোনা করতে হবে। এবং প্রতিনিয়ত
বিদ্যালয়ে যেতে হবে এবং শিক্ষকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। শিক্ষকরা ক্লাসে
কি পড়া দিচ্ছে এবং কি বলছে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং প্রয়োজনের নোট
করে রাখতে হবে। কারণ একজন শিক্ষার্থী তখনই উন্নতি করতে পারে যখন সে তার শিক্ষকের
কথা মেনে চলে।
তাই শিক্ষকদের কথামতো পড়াশোনা করতে হবে এবং তাদের সকল আদেশ মেনে চলতে হবে। এবং
সব সময় ক্লাসের সামনের বেঞ্চে বসতে হবে। কারণ শিক্ষকরা সবসময় সামনের বেঞ্চে যে
ছাত্র ছাত্রী বসে তাদেরকে বেশি লক্ষ্য করে। এবং ক্লাসে যে সবচেয়ে বেশি ভালো
ছাত্র তার সাথে বেশি বেশি মেলামেশা করতে হবে এবং তার পরামর্শ নিতে হবে।
এবং খারাপ বন্ধু থেকে দূরে থাকতে হবে কথায় বলে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে যদি তোমার
সঙ্গ খারাপ হয় তাহলে তুমি কোনদিনই তোমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। তাই
ক্লাসে সবচাইতে ভালো ভদ্র এমন বন্ধু করতে হবে। আর এভাবে যদি তুমি তোমার ছাত্র
জীবনের প্রতিটা সময় মেনে চলো এবং সময় মত পড়াশোনা করো তাহলে তুমি পরীক্ষায় এ
প্লাস পাবে।
Ssc তে a+ পাওয়ার উপায়
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে পরীক্ষায় A+ পেতে হলে কয়টি
বিষয়ে a+ পেতে হবে এ সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। কারণ আপনি যদি মোট
নাম্বারে ভালো করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিটা বিষয়ে কেমন নাম্বার পেতে
হবে এ সম্পর্কে জানা দরকার।
একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হচ্ছে এসএসসির
এই সময়টি। কারণ এই সময়টি শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তাদের স্কুল লাইফের
ইতি টেনে কলেজ লাইফের সূচনা করে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি এর সময়টি অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময় অনেকে ভালো রেজাল্ট করে জিপিএ ৫ পাই এবং ভালো
ভালো কলেজে ভর্তি হয়।
আবার অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যারা এই সময় পড়াশোনা সেভাবে করে না এবং এসএসসি
পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করে এবং ভালো কোন কলেজে তারা চান্স পায়না যার ফলে
পরিবার থেকে তাদেরকে অনেক রকম কথা শুনতে হয়। এছাড়াও যাদের স্বপ্ন থাকে যে বড়
হয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিসিএস ক্যাডার হবে তাদের জন্য এসেছিলে সময়টি অনেক
বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।
কারণ এই সময় কোন ছাত্র যদি খারাপ রেজাল্ট করে তাহলে সেটি তার আগামী দিনের
স্বপ্নে প্রভাব ফেলতে পারে। এসএসসিরের সময়টি প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যে Ssc তে a+ পাওয়ার উপায়।
১। এসএসসি ছাড়াও যেকোনো পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার জন্য যেটি দরকার সেটি হল
নিয়মিত পড়াশোনা করা। কেউ যদি নিয়মিত পড়াশোনা করে তাহলে সে অবশ্যই পরীক্ষায়
ভালো একটি ফলাফল করতে পারবে।
এসএসসির জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দিনে 8 থেকে 10 ঘণ্টা পড়াশোনা করলেই যথেষ্ট।
কারণ এসএসসিতে খুব একটা বড় সিলেবাস থাকে না এবং সময়ও একটু বেশি পাওয়া যায়।
২। একজন এসএসসি শিক্ষার্থীর যদি স্বপ্ন থাকে এ প্লাস পাওয়ার তাহলে তাকে
পড়াশোনার জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। কারণ শুধু সারাদিন পড়াশোনা করলেই হবে
না টাইম টেবিল দেখে পড়াশোনা করতে হবে। আর একজন শিক্ষার্থীর একটি বই শেষ করতে
অবশ্যই একটি রুটিনের প্রয়োজন হবে।
৩। শিক্ষার্থীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো বন্ধু এবং সহপাঠী
নির্বাচন করা। কারণ একটি শিক্ষার্থীর যদি ভালো বন্ধু এবং সহপাঠী থাকে তাহলে সে
কোনদিন খারাপ পথে যেতে পারেনা। তাই সবসময় ক্লাসে সবচেয়ে ভালো ছাত্র সাথে
মেলামেশা করতে হবে।
৪। এবং সবসময় বন্ধু এবং সহপাঠীদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে হবে। তাহলে কোন
জায়গায় ভুল হচ্ছে সেগুলো ঠিক করে নেওয়া যাবে। এছাড়া অনেক অনেক জনের মধ্যে
পড়াশোনা করলে নিজেকে অনেকটা যাচাই করা যায়।
৫। এছাড়া একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পাশাপাশি সে যে বিষয়টি পড়ছে সে বিষয়টি
খাতায় লেখার অভ্যাস করতে হবে। এর ফলে হাতের লেখার গতি অনেক বেড়ে যায় এবং
সবকিছু ভালো হবে মনেও রাখা যায়। আপনি যখন কোন কিছু পড়বেন এবং লিখবেন তখন সে
জিনিসটি আরো ভালো হবে চর্চা থাকবে।
৬। শিক্ষকদের কথা মেনে চলতে হবে শিক্ষকরা যা বলবে সেগুলো ভালোভাবে নোট করে রাখতে
হবে। কারণ একজন শিক্ষকই পারে একজন শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে এবং তার
কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছে দিতে। তাই শিক্ষকদের কথামতো চলতে হবে এবং তারা যেগুলো পড়া
দিবে সেগুলো পড়তে হবে।
আর এভাবে যদি কোন ছাত্র প্রতিদিন পড়াশোনা করে তাহলে সে অবশ্যই এস এস সি তে এ
প্লাস পাবে।
এইচএসসি তে a+ পাওয়ার উপায়
পরীক্ষায় A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে এই সম্পর্কে প্রতিটি এইচএসসি
শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে জানা দরকার কারণ এই দেশের সময়টি প্রত্যেকটি
শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এসএসসির পর একজন শিক্ষার্থীর
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে এইচএসসি এর সময়টি। এসএসসির পর একজন
শিক্ষার্থী স্কুল লাইফ শেষ হয় এবং কলেজ লাইফ শুরু হয় আর এই কলেজ লাইফের
সময়টাকেই এইচএসসির সময় বলা হয়।
এই সময়টি একটি শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় কারণ এইচএসসি
পরীক্ষার পরেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়। অনেকে অনেক ভালো
ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি
বিভিন্ন নামে দামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
যারা এগুলোতে চান্স পায় তাদের আনন্দের কোন সীমা থাকে না। অনেক রয়েছে যাদের
এইচএসসি রেজাল্ট অনেক খারাপ যার ফলে তারা এইসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ফরম
তুলতে পারে না। যার ফলে তারা অনেক ডিপ্রেশনে চলে যায় এবং ভাবে আবার যদি পরীক্ষা
দিতে পারতাম বা সময়টা যদি আরেকবার ফিরে পেতাম তাহলে হয়তোবা ভালো রেজাল্ট করতাম।
এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে পারতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখন সেটা আর সম্ভব
হয় না কারণ কেউ চাইলেও সে সময়টা আর ফিরে পাবেনা। তাই প্রতিটা শিক্ষার্থীকে বলবো
তোমরা কেউ এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাকে অবহেলা করো না কারণ এই
পরীক্ষাকে তোমরা যদি অবহেলা করো এবং তোমাদের রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তাহলে তোমাদের
আগামী ভবিষ্যৎ অনেক খারাপ হতে পারে।
১। এইচএসসির সিলেবাস অনেক বড় এবং সময় অনেক কম পাওয়া যায় যার ফলে এই
সময়টি পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি থাকে। তাই এই সময়টি প্রতিটা শিক্ষার্থীকে
নিয়মিত প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ ঘন্টার মতো পড়াশোনা করতে হবে তাহলে জিপিএ ফাইভ
পাবে।
২। এইচএসসির এই সময়টি অনেকে কলেজ করে না কলেজে যেতে চাই না কলেজে গেলেও
ঠিকমতো ক্লাস করে না যার ফলে তারা কোন পড়া বুঝতে পারে না এবং পরীক্ষা দেয়
খারাপ করে। তাই প্রতিনিয়ত কলেজে যেতে হবে এবং ক্লাসগুলো ভালো মতন করতে হবে
ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করতে হবে তাহলে পড়াগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে
যাবে।
৩। সব সময় শিক্ষকদের কথামতো চলতে হবে শিক্ষকরা যা পড়া দিবে তা ঠিকঠাক মতো
করতে হবে কারণ তুমি যদি প্রতিদিনকার পরা প্রতিদিন করো তাহলে এইচএসসির মতো বড়
একটি সিলেবাস তুমি খুব তাড়াতাড়ি এবং খুব কম সময়ে শেষ করতে পারবে।
৪। এইচএসসিতে যেমন পড়া বেশি তেমন লেখাও বেশি তাই যাই পড়ো না কেন সেটি সব
সময় খাতাতে লিখে রাখবে এবং লেখার একটি অভ্যাস তৈরি করবে তাতে করে তোমার
লেখাটি অনেক দ্রুত হবে এবং তুমি পরীক্ষার খাতায় তাড়াতাড়ি লিখতে পারবে।
৫। কলেজে সবচেয়ে ভালো ছাত্রর সাথে মেলামেশা করবে কথায় আছে সঙ্গ দোষে তোমার
যদি সংঘ ভালো হয় তাহলে তুমি অবশ্যই একদিন উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারবে
আর যদি সংঘ খারাপ হয় তাহলে কোনদিনই তুমি তোমার কাঙ্খিত লোকে পৌঁছাতে পারবে
না।
৬। এবং বেশি বেশি করে গ্রুপ স্টাডি করবে এর ফলে তুমি নিজেকে সবার মধ্যে থেকে
যাচাই করতে পারবে। এছাড়াও এর ফলে তুমি তোমার বিভিন্ন ভুল ভ্রান্তি গুলো ধরতে
পারবে এবং সেগুলো সংশোধন করতে পারবে যা তোমার পরীক্ষার জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।
৭। এবং পড়াশোনার একটি রুটিন তৈরি করে নেবে তাহলে তোমার পড়াশোনা করার অনেক
সুবিধা হবে। এবং সে রুটিনের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া ঘুমানো খেলাধুলা সবকিছুই
রাখবে যার ফলে তুমি সুস্থ থাকবে এবং সুস্থভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।
A+ পাওয়ার রুটিন
আপনারা অনেকেই A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে এ সম্পর্কে জানেন
না যার ফলে পরীক্ষার সময় অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন যে কোন বিষয়ে কত
নাম্বার পেলে বা কোন বা কোন কোন বিষয়ে ভালো নাম্বার পেলে মোট নাম্বার
ভালো আসবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী তার ছাত্র জীবনে ভালো কিছু করতে চাই।
একজন ছাত্র সবসময় চাই ছাত্র জীবনে ভালো একটি রেজাল্ট করে বাবা মুখ
উজ্জ্বল করা। তাই সে ভালো রেজাল্ট করার জন্য এবং পরীক্ষায় ভালো একটি ফলাফল
পাওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকে। কিন্তু পরীক্ষায় যদি ভালো রেজাল্ট করতে
হলে পড়াশুনা করলেই হয় না তার সাথে আরো অনেক কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলতে হয়।
আরো পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
পরীক্ষায় ভালো একটি ফলাফল এবং রেজাল্ট করার জন্য যেটি সবচেয়ে বেশি
গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল পড়াশোনা করার একটি সুন্দর রুটিন তৈরি করা। ছাত্র
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হল রুটিন কোন ছাত্র যদি প্রতিটি কাজ
একটি রুটিন মেনে করে তাহলে সে কাজে সফল হতে পারবে। তাই একটি ছাত্রকে সবসময়
রুটিন মেনে পড়াশোনা করতে হবে।
সে যদি রুটিন মেনে পড়াশোনা করে তাহলে তার পড়াশোনার চাপটা অনেকটা কমে আসে
এবং সে অনেক কম সময়ে এবং কম পড়াশোনা করেও ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারে। তাই
আজকে আমরা আপনাদেরকে কিছু A+ পাওয়ার রুটিন সম্পর্কে বলব যেগুলো
অনুযায়ী পড়াশোনা করলে আপনারা পরীক্ষায় এ প্লাস পেতে পারেন।
১। প্রতিদিন ভরে ঘুম থেকে উঠা এবং হালকা কিছু নাস্তা পানি করে পড়তে বসা কারণ
ভোর বেলায় আমাদের ব্রেন অনেক পরিষ্কার থাকে যার ফলে যে কোন পড়া একটু পড়লে
খুব তাড়াতাড়ি মনে থাকে।
২। সকাল ছয়টা থেকে একবারে টানা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত পড়াশোনা করা সাড়ে
এগারোটার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে গোসল করতে হবে।
৩। গোসলের পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলতে হবে এরপর ১:৩০ এর মধ্যে আবার
পড়াশোনা শুরু করতে হবে এভাবে করে চারটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
৪। চারটার পর বিকেল বেলায় কয়েক ঘন্টা ঘোরাঘুরি এবং খেলাধুলা করতে হবে
সন্ধ্যার হয়ে গেলে আবার বাসায় চলে আসতে হবে এবং হাত মুখ ধুয়ে আবার পড়ার
টেবিলে বসতে হবে।
৫। এবং সন্ধ্যা থেকে আবার রাত এগারোটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে এরপর খাওয়া
দাওয়া করে এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে যাতে করে আবার সকালে ঘুম থেকে
ওঠা যায়।
লেখকের মন্তব্য
তুমি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারো কিভাবে পড়াশোনা করলে
পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়া যায় এবং কোন কোন বিষয়ে এ ক্লাস পেলে এ প্লাস আসবে
তাহলে এই আর্টিকেলটি তোমার অন্য বন্ধুদের কেউ শেয়ার করো।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url