ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম এবং গ্রিন কফির সাথে ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন
কমে এ সম্পর্কে জানা প্রত্যেকেরই অত্যন্ত প্রয়োজন। আরে সমস্ত সকল তথ্য আজকে আমরা
আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
তাই আপনি যদি কফি খাওয়ার মাধ্যমে নিজের ওজন কমাতে চান তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা একবার পড়ুন।
সূচিপত্রঃ ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চান তাহলে ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। বর্তমান সময়ে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি
উপাদান হচ্ছে গ্রীন কফি।
বর্তমানে আমরা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকলে দেখতে পাই ওজন কমানোর জন্য
এই গ্রিন কফি বিভিন্ন প্রচারণ। কফি গাছ থেকে কফির দানা তুলে কোনরকম নিস্কাশিত না
করেই তৈরি করা হয় এই গ্রিন কফি।
এই গ্রিন কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন এবং ক্লোরোজেনিক নামক এক ধরনের এসিড যা
আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সময়ে ওজন
কমানোর জন্য প্রায় সবাই এই গ্রিন কফি ব্যবহার করে থাকে। এটি বাংলাদেশ সাইন্স
ল্যাব দ্বারা পরীক্ষিত একটি প্রোডাক্টস যার কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে গ্রিন কফি আপনার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু
ওজন কমানোর জন্য এ গ্রিম কফি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে আপনি যদি এই নিয়ম মেনে
না খান তাহলে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যে ওজন
কমানোর জন্য গ্রিন কফি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
- গ্রিন কফি খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ওজন কমানোর জন্য গ্রিন কফি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শুধু ওজন কমায় না এর
সাথে এটি আমাদের শরীরে সুগার এবং হরমোন কেউ স্বাভাবিক রাখে। গ্রিন কফিতে রয়েছে
ক্যাফেইন এবং ক্লোরোজেনিক নামক এক ধরনের এসিড যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই এই গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এই কফির দানা আগের রাতে জলে সারারাত
ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরের দিন সেই জল ছেঁকে নিয়ে খুব ভালো করে পানিতে ফোটাতে
হবে এভাবে টানা 5 থেকে 10 মিনিট ফুটাতে হবে।
এবং এরপর এটি সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে খাওয়ার প্রায় কয়েক মিনিট পর
অন্য কিছু খেতে হবে। আপনি চাইলে এই গ্রিন কফি সাথে দারচিনি এবং মধু মিশিয়ে খেতে
পারেন এটিও কার্যকর হবে।
ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনি
অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে নাকি কমে না। আপনি যদি ঘরে
বসে থেকে নিজের ওজন কমাতে চান তাহলে ব্ল্যাক কফি আপনার জন্য যে ভালো একটি উপাদান
হবে।
বিশেষ করে যারা কপি পছন্দ করে তারাই জানে কফির একমাত্র স্বাদ আছে ব্ল্যাক
কফিতেই এবং সেইসাথে শরীরও থাকে অনেক চটপটে এবং ভালো। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস
রয়েছে তাদেরকে চিনি ছাড়া এই ব্ল্যাক কফি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক ড নামক এক ধরনের এসিড যা আমাদের ওজন কমাতে
সাহায্য করে থাকে। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে এই ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে শরীরে
বাড়তি কোন ফ্যাট তৈরি হয় না যার ফলে আমরা সহজে ওজন কমাতে পারি। এছাড়াও ব্ল্যাক
কফির মধ্যে রয়েছে এক ধরনের বায়ো-অ্যাক্টিভ উপাদান যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে
সাহায্য করে।
কফির মধ্যে রয়েছে সামান্য পরিমাণ ক্যালরি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কিন্তু এটিতে কোন প্রকার সেড নেই বললেই চলে।
অনেক রয়েছে যারা ব্ল্যাক কফি চিনি অথবা দুধ দিয়ে খেতে পছন্দ করে এতে করে এটির
উল্টো প্রভাব হতে পারে কারণ এতে করে এতে ফ্যাটের পরিমাণও থাকতে পারে। তাই যারা
ওজন কমাতে চান তারা ব্ল্যাক কফিতে কোন প্রকার দুধ অথবা চিনি ব্যবহার করবেন না।
কফি দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপরের অংশ আলোচনা
করেছি।অতিরিক্ত ওজন কেই পছন্দ করেন না সবাই চাই তার ওজন যেন একটি স্বাভাবিক
মাত্রায় থাকে। অনেকে রয়েছে যারা অনেক কফি খেতে পছন্দ করে তাই তারা চিন্তা করে
যে কফি খেলে হয়তো বা ওজন বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু এটি সঠিক ধারণা নয় আপনি চাইলে কফি খেয়েও নিজের ওজন কমাতে পারবেন। তাই
আজকে আমরা কফি দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত।
আরো পড়ুনঃ প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ
১। প্রথমে একটি লেবু কয়েক ভাগ করে কেটে নিতে হবে। এবং এরপর এর রস গুলো ভালোভাবে
একটি পাত্রে চিপে নিতে হবে।
২। এরপর লেবুর খোসা গুলোর মধ্যে দুই টেবিল চামচ কফি এবং পানি দিয়ে এটি ভালোভাবে
ফুটিয়ে নিতে হবে ফুটোনো হয়ে গেলে এগুলো একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে লেবুর খোসা
গুলোকে ফেলে দিতে হবে।
৩। এরপর এগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে প্রায় তিন দিন ধরে সংরক্ষণ করতে হবে। এবং
প্রতিদিন সকালে এটির সাথে এক চামচ মধু মিশে খেতে হবে।
৪। এটি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এভাবেই খেতে হবে তাহলে এক সপ্তার মধ্যেই আপনার ওজন
অনেকটাই কমে যাবে।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি এ সকল উপকরণ দিয়ে প্রতিদিন কফি খেতে পারেন
তাহলে এটি আপনার ওজন কমানোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।কারণ লেবুতে
রয়েছে এক ধরনের সাইট্রিক এসিড যা আমাদের শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও লেবুর খোসা ওজন কমায় এবং চর্বি জমতে বাধা দেয়। কফি খাওয়ার ফলে
এটি আমাদের শরীরের ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং খাবারের প্রতি আসক্তি কমায়।
কফি খেলে কি ঘুম হয়
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম মানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এছাড়াও এ কফি খেলে কি ঘুম হয় এ সম্পর্কে অনেকেই সঠিক ভাবে জানে না তাই আজকের
আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কে জানাবো। কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ সবচেয়ে
বেশি থাকায় এটি ঘুম তাড়ানোর কাজে অনেক পারদর্শী।
১০০ গ্রাম কফিতে প্রায় ৪০ গ্রামের মতো ক্যাফেন থাকে ক্যাফেইনের রাসায়নিক
নাম হচ্ছে ড্রাই মিথাইমজাইথিন। সারাদিন চলাফেরার কারণে আমাদের মস্তিষ্কে এডোফিনের
পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের শরীরে একরকম ক্লান্তি ভাব অনুভব হয়।
কিন্তু কফিতে থাকা ক্যাফেন আমাদের মস্তিষ্কের এডোফিনকে নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে
আমাদের শরীর মস্তিষ্ক থেকে ক্লান্তি ভাবের কোন সংকেত পাই না। গবেষণায় দেখা গেছে
যে প্রতিটি মানুষই প্রতিদিন কিছু না কিছু ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে এবং এ
ক্যাফেইনের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কিন্তু কেউ যদি বেশি পরিমাণে এটি প্রতিদিন গ্রহণ করে তাহলে ক্ষতিও হতে পারে তাই
প্রতিদিন তিন গ্লাসের বেশি এই ক্যাফিন যুক্ত পানিও খাওয়া থেকে নিষেধ করেছে। তাই
পরিশেষে বলা যায় যে কফি খেলে প্রতিটা আসলে ঘুম কম হয় এবং শরীরে কোন ক্লান্তি
ভাব থাকে না।
কফি খেলে কি ওজন বাড়ে
ওজন কমাতে গ্রিন কফি খাওয়ার নিয়ম উপরের অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি তাই
কফি খেলে কি ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এ অংশে আলোচনা করব। অনেকে মনে
করে কফি খেলে হয়তো বা ওজন তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে যায় কিন্তু এটি ভুল ধারণা
কফি খেলে কোনদিন ওজন বাড়ে না বরং ওজন তুলনামূলকভাবে কমে।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি দিনে প্রায় তিন থেকে চার গ্লাস পর্যন্ত
কফি খেতে পারবেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে কেউ যদি ক্যাফিন যুক্ত কোন খাবার বা পানীয় প্রতিদিন তিন
গ্লাসের বেশি পান করে তাহলে তার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি চাইলে প্রতিদিন
প্রায় তিন গ্লাস করে কফি খেতে পারেন। কফি আমাদের অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা
দূর করে এবং আমাদের ক্ষুধা নিবিড়নে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের ওজন ধীরে ধীরে
কমতে থাকে।
কিন্তু কফি খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটিতে কোন প্রকার চিনি দুধ অথবা কোন
প্রকার ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না কারণ এগুলোতে আপনার ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে।
এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি অনেক ক্ষতিকর। তাই পরিশেষে বলা যায় যে
কফি খেলে ওজন বাড়ে না বরং ওজন আগের চেয়ে তুলনামূলক কমে।
<6div>
লেখকের মন্তব্য
ওজন কমানোর জন্য কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি আপনাদেরক ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি নিচে একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং যারা কফি
খেয়ে নিজের ওজন কমাতে চায় তাদেরকে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
6div>
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url