৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ৭টি কার্যকরী উপাই


আপনি যদি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং এই ক্ষতিকর ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায় জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ


তাই আপনি যদি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি একবার পড়তে পারেন।

সূচিপএঃ ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ৭টি কার্যকরী উপাই

৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

আপনি যদি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে আর কি কি বিষয় মেনে চলতে হবে এ সম্পর্কে সকল কিছু আজকেরে আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বলবো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস যাকে সব রোগের সৃষ্টি কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে।
 যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা সবসময় একটি দুশ্চিন্তায় থাকে। অনেক ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি হওয়ায় ওষুধ অথবা ইনসুলিন নিলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে না।

আজ আমরা ওই সকল ডায়াবেটিস রোগীদেরকে নিয়ে কথা বলব যাদের ইনসুলিন নেওয়ার পরেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে না। আশা করি আপনারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়েন তাহলে 72 ঘণ্টার মধ্যেই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

১। ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং বেশি বেশি করে প্রোটিন যুক্ত খাবার বিশেষ করে ফলমূল খেতে হবে।

২। এবং ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিযুক্ত সকল খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে কারণ বৃষ্টিতে প্রচুর পরিমাণ সুগার থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩। এবং ডায়াবেটিস রোগীকে প্রতিদিন একটি রুটিন এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে কারণ যখন তখন অনিয়মিত খাওয়া দেওয়ার ফলেও ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।

৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি সেটি হল নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে বিকালে দুই বেলা ব্যায়াম করতে হবে।

৫। প্রতি সপ্তাহে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে আর কতটুকু খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে।

৬। বেশি বেশি করে পরিশ্রম যুক্ত কাজ করুন কারণ ব্যায়াম করার থেকে আপনি যদি কোন পরিশ্রম যুক্ত কাজ করেন তাতে করে আপনার ডাইবেটিস আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

৭। এছাড়াও আপনার ডায়াবেটিস যদি অনেক বেশি হয় এবং আপনি তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিন অথবা ওষুধ খেতে পারেন এতে করে আপনার ডায়াবেটিস অনেক তাড়াতাড়ি কমে যেতে পারে।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি এই সকল নিয়ম মেনে চলেন তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই আপনার ডায়াবেটিস আগের চেয়ে অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এবং আপনি প্রতি সপ্তাহে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবেন যদি আপনার ডায়াবেটিস ৫.৫ থাকে এবং ভরা পেটে ১০ এর কম থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে।

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায়

আপনি যদি ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনাকে ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং ঝুঁকিপূর্ণ একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন বয়সের মানুষের হয়ে থাকে।

 এটি একবার হলে আর ভালো হয় না কিন্তু আপনি চাইলে এটি খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করার মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বংশ গত ভাবেও ডায়াবেটিস অনেকের হয়ে থাকে।তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলব।
১। ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং ফলমূল এতে করে তাদের ডায়াবেটিসটা অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

২। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খুব কম খেতে হবে কারণ এই সকল জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করে যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক বিপদজনক।

৩। এবং ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিযুক্ত সকল খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে কারণ বৃষ্টিতে প্রচুর পরিমাণ সুগার থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি সেটি হল নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে বিকালে দুই বেলা ব্যায়াম করতে হবে।

৫। এবং প্রতি সপ্তাহে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করতে হবে।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি এ সকল নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনি ডায়াবেটিস থেকে অনেকটা বেঁচে থাকতে পারবেন এবং আপনার ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

আপনি যদি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান অথবা ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন বেশ কিছু রুটিন রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং ঠিকঠাক ভাবে মেনে চলতে হবে আর এ সকল বিষয় সম্পর্কে এই অংশে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রাণঘাতিক একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস।

 ডায়াবেটিস-টাইপ২ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিসের ফলে একজন মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন কিডনি, হার্ট, লিভার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের ডায়াবেটিস অনেক হাই থাকে কোনোমতেই তারা ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না।
যার ফলে ডাক্তারি পরামর্শে বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করে থাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু এই সকল ওষুধ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ঠিকই কিন্তু এটি শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

তাই আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চাই যে ওষুধ ছাড়াই কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় বা কমানো যায়। তাই আজকে এখানে আমরা বলব যে ওষুধ ছাড়া কিভাবে আপনি ডায়াবেটিস কমাতে পারবেন।

১। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল বেশি বেশি হাঁটাহাঁটি করা। হাঁটাহাঁটিটা এমন হবে যে দৌড়ানোর চেয়ে একটু কম এবং হাঁটাচ্ছে একটু বেশি। অর্থাৎ আপনাকে এমন ভাবে থাকতে হবে যেন স্বাভাবিক হেঁটে যাওয়া একটি মানুষ আপনাকে ক্রস করতে না পারে।

২। এবং হাঁটার সময় টা হবে ভোরবেলা অথবা বিকেল বেলা এবং প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে হাঁটতে হবে।

৩। একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়া-দাওয়ার একটি সঠিক রুটিন থাকতে হবে এবং বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে সরকারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

৪। অনেকে মনে করে বেশি খাওয়া-দাওয়া করলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে যার ফলে অনেকে তিন বেলা ঠিকমতো খাবার খাই না। আসলে এটি একটি ভুল ধারণা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করলে আপনি আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

৫। তাই আপনাকে তিন বেলায় ভালোমতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে চাইলে আরো বেশি করে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন কিন্তু খাওয়া-দাওয়া টা হতে হবে পরিমিত পরিমানে।

৬। একজন ডায়াবেটিস রোগী সকালে এবং রাতে রুটি খেতে হবে এবং দুপুরে ভাতের সাথে প্রোটিনযুক্ত শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে।

ডায়াবেটিস কেন হয়

ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি রোগ যেটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে যে আমি তো প্রতিনিয়ত ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করি হাঁটাচলা করি এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি তারপরেও আমার ডায়াবেটিস কেন হল।

তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেলটিতে বলব যে ডায়াবেটিস কেন হয় এবং কোন কোন বয়সের মানুষের বেশি ডায়াবেটিস হয়। আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীরে প্যানক্লিয়াস থেকে ইনসুলিন নিষ্কৃত হয়। এই ইনসুলিনের কাজ হচ্ছে আমরা যে খাবার খাই সেটির মধ্যে থাকা অতিরিক্ত গ্লকোজ কমিয়ে দেওয়া।

কিন্তু যখন আমাদের শরীর থেকে এই ইনসুলিনের উপাদান কমে যায় তখন শরীরে অতিরিক্ত গ্লকোজ থাকে। আর এই অবস্থাকে আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি। খালি পেটে যদি গ্লকোজ 5.7 এবং খাওয়ার পর যদি গ্লকোজ ১০ এর বেশি থাকে তাহলে সেটিকে ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে একটি হচ্ছে-টাইপ১ এবং অন্যটি হচ্ছে টাইপ-২।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস হলে খুব সহজেই বোঝা যায় এটি বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হয়ে থাকে। এই ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ হল হঠাৎ করে শরীর শুকিয়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ইত্যাদি। এবং সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় টাইপ-২ ডায়াবেটিস যাদের কারণ এটির লক্ষণ অনেকে বুঝতে পারে না যার ফলে দেখা গেছে যে কারো ডায়াবেটিস ২-৩ বছর পরও ধরা পড়ে।

এর ফলে দুই তিন বছর ধরে ডায়াবেটিস থাকার কারণে তার শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা হওয়া, প্রেসার বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ক্লান্তি ভাব অনুভব হওয়া, বেশি বেশি খুদা লাগা,, ক্ষতস্থান সহজে ভালো না হওয়া, ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। ডায়াবেটিস হলো এক ধরনের মেটাবলিক ডিসঅর্ডার। মানবদেহের ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাবে যে বিপাকজনিত রোগ হয় তাকে ডায়বেটিস বলে। মূলত ডায়াবেটিস হলে দেহের অগ্নাশয় থেকে এই ইনসুলিন ব্যাঘাত ঘটে বা কম নিষ্কৃত হয়।
অথবা বিভিন্নভাবে অকার্যকর হয় কোষে গ্লুকোজের ঘাটতি ঘটে এবং রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তের সুগারের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যার ফলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ তাই এটি যদি চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকে তাহলে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিসের ফলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব।

১। ডায়াবেটিসের ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেক কমে যায় কারণ ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে রেটিনোপ্যাথি নামে একটি চোখের রোগ তৈরি করে যার জন্য এটি হয়ে থাকে।

২। ডায়াবেটিসের ফলে আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যা আমাদের স্নায়ুর ক্ষতি করে। স্নায়ুর জন্য মস্তিষ্ক এবং রোগীর শরীরের প্রতিটি অংশের বার্তা বহন করা কঠিন করে দিতে পারে।

৩। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা বৃদ্ধির ফলে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং যার ফলেই যে কোন কাটা ছিল সহজে ভালো হয় না।

৪। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে উচ্চ শর্করার এবং ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্টকের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫। ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা সেটি হল কিডনি বেশিরভাগ ডাইবেটিস রোগীরদের কিডনির সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে তাদের শরীরের সকল প্রকার বর্জ্য বের হতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং তাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়।

৬। রক্তে অত্যাধিক চিনি থাকার কারণে এটি আমাদের মুখের লালায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে যা এক ধরনের এসিড সৃষ্টি করে এবং এটি দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে এবং মাড়ির ক্ষতি করে।

৭। এছাড়াও একজন গর্ভবতী নারীর যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে সন্তানের জন্মের পর বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হৃদপিণ্ড, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হবে কারণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার যে ভালো উপায় হচ্ছে ঘরোয়া উপায়। প্রায় কয়েক বছর ধরে চলে আসা একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস যা বর্তমানে মহামারির মতো পুরো বিশ্বে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

 এটি যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগটি বংশগতভাবে বেশি হয়ে থাকে।চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডায়াবেটিস কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে টাইপ-১ এবং টাইপ-২।
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার জন্য অনেকে অনেক রকম উপায় খোঁজার চেষ্টা করে তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যে ডায়াবেটিস কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায় নিয়ে।
  • করলা খাওয়া
করলা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। করলা আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে অনেক সাহায্য করে যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে করলার রস খাওয়া উচিত।
  • দারচিনি
দারচিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ এটি আমাদের শরীরের ইনসুলিন এবং রক্তে সুগারের লেভেল কমায়। যাদের বেশি ডায়াবেটিস রয়েছে তারা সকালে দারচিনি গুঁড়ো চা অথবা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারে।
  • আমের পাতা
তিন থেকে চারটি আমের পাতা গরম পানিতে ভালো করে সিদ্ধ করে নিন এরপর এ মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে পান করুন এতে করে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে আমের পাতা রোদে শুকিয়েও বুড়ো করে এক দুই চামচ করে খেতে পারেন।
  • মরিঙ্গা গুঁড়ো
মরিঙ্গাকে প্রচলিত ভাষায় সাজনে পাতা বলা হয়ে থাকে। এই মরিঙ্গা পাতা দেখতে সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং এই পাতা আপনি যদি রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন এতে করে আপনার ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ এটি আমাদের শরীরে শর্করা পরিমাণ ঠিক রাখে এবং আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • মেথি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে মেথি। দুই টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে সেই জল পান করুন এতে করে আপনার শরীরের ইনসুলিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে এই আর্টিকেলটি অন্যান্য ডায়াবেটিস রোগকে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও উপকৃত করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url