ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ২০২৪ এর সকল তথ্য
আপনি কি একজন ভালো ডিজিটাল মার্কেটার আর হতে চান কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর
ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি কি অনেক চিন্তিত আছেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
কারণ এই আর্টিকেলে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z আলোচনা করেছি।
তাই আপনি যদি ভবিষ্যতে একটি ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে
আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই একবার পড়বেন।
সূচিপএঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ২০২৪ এর সকল তথ্য
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি নাম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি আপনি প্রশ্ন করেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন
একটি মার্কেটিং ব্যবস্থা যেটি দিন দিন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে। এবং এটি ততদিন
পর্যন্তই বৃদ্ধি পাবে যতদিন পর্যন্ত অনলাইন যুগ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
তাহলে বুঝতে পারছেন যে অনলাইন এর যুগ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং
ও দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কোন কোম্পানির পণ্যকে অনলাইনের
মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া অথবা প্রচার করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং
এর মাধ্যমে একজন মানুষ খুব সহজেই একজন উদ্যোক্তাতে পরিণত হতে পারে।
এবং এর মাধ্যমে সে যেমন অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করবে তেমনি তার যদি কোন
ফিজিক্যালি বিজনেস থাকে সেটিকেও ডিজেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রহ করাতে পারবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কারো যদি ফিজিক্যালি কোন ব্যবসা থাকে তাহলে সে তার
ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কনভার্ট করতে পারবে এতে করে তার ব্যবসা আগের চেয়ে
অনেক বেড়ে যাবে।
এবং ভবিষ্যতে এমন একটি সময় আসবে যখন যে কোন ছোট ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল
মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে কারন মানুষ ধীরে ধীরে অনলাইন এর উপরে
নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তাই পরিশেষে বলা যায় যে ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো
অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই অনেক অনেক রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বে
থাকে। আসলে যতদিন পর্যন্ত অনলাইন এবং প্রযুক্তি থাকবে ততদিন পর্যন্তই ডিজিটাল
মার্কেটিংও ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে থাকবে তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় ডিজিটাল
মার্কেটিং ভবিষ্যতে একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তাই আমরা আজকে আপনাদেরকে ডিজিটাল
মার্কেটিং a to Z সম্পর্কে আলোচনা।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং যার মাধ্যমে যে কোন পণ্যের জন্য
বিজ্ঞাপন অথবা প্রচারপ্রসার ঘরে বসে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। যার ফলে
খুব কম সময়ে একটি পণ্য কেনা বেচা করা যায় এবং তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে মাসে প্রায় লাখ টাকাও ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। যেমনঃ
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিল মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটি
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইউটিউব,
twitter, instagram ইত্যাদিতে বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিজ্ঞাপন অথবা প্রচার প্রসার
করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। এর মাধ্যমে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন
প্রকার পণ্য বেচা বিক্রি করা যায়।
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হল এ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে ্ র্যাঙ্ক করানোর
জন্য অর্থ ব্যয় করে যে প্রক্রিয়া করা হয় তাকেই সাহায্যের মার্কেটিং বলে।
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য এবং ওয়েবসাইটকে এক নাম্বার পেজে নিয়ে আসার
জন্য অনেক ছোট বড় কোম্পানি রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে ওয়েবসাইটকে এক নাম্বারে
নিয়ে আসে। আর এটিকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে।
- ইমেইল মার্কেটিং
ইমেল এর মাধ্যমে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন অথবা প্রচার করাবে ইমেল মার্কেটিং বলে।
আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানি বা ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন রকম পণ্যের অফার
দিয়ে থাকে। মূলত এটি হচ্ছে এক ধরনের ইমেইল মার্কেটিং।
- ফেসবুক মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং জেটি সেটি হল
ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যার
মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তাই এখানে মার্কেটিং
করাটাও অনেকটা সহজ। ফেসবুকে আমরা খুব সহজেই যেকোনো একটি পণ্য প্রচার করতে পারি।
যেমন মার্কেটপ্লেস, বিজনেস পেজ, ভিডিও কনটেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে। মার্কেটপ্লেসের
মাধ্যমে আমরা যেকোনো পণ্য সেখানে বিক্রি করতে পারি। এছাড়াও ফেসবুকে দুই রকম
মার্কেটিং হয়ে থাকে একটি হলো পেইড মার্কেটিং। এবং আরেকটি হচ্ছে অর্গানিক
মার্কেটিং।
পেইড মার্কেটিং হল ফেসবুকে কোন ভিডিও অথবা পেজকে অর্থের বিনিময়ে বুস্ট করে সকলের
মাঝে প্রচার করা। আর অর্গানিক হচ্ছে কোন অর্থ ছাড়াই ফেসবুকে যেকোনো পণ্য মানুষের
মাঝে পাঠিয়ে দেওয়া।
- ইউটিউব মার্কেটিং
ইউটিউব অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কোন পণ্যের প্রচার করাকে ইউটিউব মার্কেটিং
বলা হয়ে থাকে। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল
থাকা লাগবে। এরপর ইউটিউবে নিজের কোম্পানি অথবা পণ্যের জন্য ভিডিও করে সেগুলোকে
ইউটিউবে আপলোড করতে হবে।
এর মাধ্যমে ইউটিউবে ভিডিওর এডসেন্স এবং নিজের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করা যাবে। আর
এই পদ্ধতিকে ইউটিউব মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন কোম্পানির পণ্য
যদি আমরা বিক্রি করতে পারি তাহলে তার বিনিময়ে আমরা কিছু কমিশন পাব। আর এটি হচ্ছে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া।
এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট,ইউটিউব চ্যানেল, অথবা ফেসবুক পেজের বিভিন্ন
কনটেন্ট অথবা ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যর লিংক যুক্ত করে বিক্রি করতে পারি।
যার মাধ্যমে ওই লিংকে ক্লিক করে যতজন সে পণ্যটি কিনবে তার থেকে কিছু কমিশন আমরা
পেতে পারি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি বা এটি
ভবিষ্যতে কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে আসলে এটি জানার জন্য আপনাদেরকে প্রথমে
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে জানতে হবে।
ডিজিটাল অর্থ হল আধুনিক এবং মার্কেটিং অর্থ হল যেকোনো পণ্য বিক্রির জন্য
বিজ্ঞাপন অথবা প্রচার প্রসার কে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন পণ্য বিক্রি করার
জন্য ফিজিকালি বা সশরীরে গিয়ে বিজ্ঞাপন অথবা প্রচার-প্রসার না করে ঘরে বসেই
অনলাইনের মাধ্যমে করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে আয়
আগে আমরা কোন পণ্য কেনার জন্য বিক্রি করার জন্য ফিজিক্যালি ভাবে সেখানে গিয়ে
সেটি কেনাবেচা করতাম। কিন্তু এখন ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো পণ্য
সহজেই কিনতে পারি এবং সেটা বিক্রি করতেও পারি।
যেমন এখনকার সময়ে অনেক অনলাইন সেবা চালু হয়েছে যেমন দারাজ, ফুটপান্ডা, ইভ্যালি
ইত্যাদি এসব ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস থেকে আমরা যেকোনো পণ্য ঘরে বসে থেকেই কিনতে
পারি। এবং এই কোম্পানিগুলোর মালিকরা খুব সহজেই এসব অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচার করতে পারছে। আর এই পুরো প্রসেসটাকেই ডিজিটাল
মার্কেটিং বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং অর্থ হল ঘরে বসেই অনলাইনে যেকোনো পণ্যের জন্য প্রচার অথবা
প্রসার করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে এখন খুব সহজেই এবং খুব কম সময়ে যেকোন পণ্য
কেনাবেচা করা যায়। এবং সে পণ্য জন্য খুব সহজেই বিজ্ঞাপন এবং প্রচার করা যায়।
যার ফলে গিটার মার্কেটিং যদি কেউ ভালোভাবে বুঝতে পারে অথবা শিখতে পারে তাহলে সে
মাসে তাই লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ যেমন দিন দিন অনেক ভালো হচ্ছে তেমনি এটার ইনকামও
দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন অনেকে প্রশ্ন করবে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন?।
আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে প্রায় অনেকগুলো উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব। যেমন
ফেসবুক মার্কেটিং,ইউটিউব মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং,
ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রায় একটি সেক্টর থেকেই আপনি মাসে প্রায় লাখ টাকার ও
উপরে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন
এবং আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে আপনি ওয়েবসাইটে গুগোল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম
করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আর্টিকেল রাইটিং শিখে এবং একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে ফাইবার অথবা
আপওয়াকে বিভিন্ন বায়ারের এর কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভালো
ডিজিটাল মার্কেটার হন এবং এ সকল কাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি মাসে প্রায় কয়েক লাখ
টাকা ও ইনকাম করতে পারেন।
বিশেষ করে গুগোল এডসেন্স থেকেই আপনি প্রতি মাসে প্রথমদিকে ১০০ থেকে দেড়শ ডলার
ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ইউটিউব ফেসবুক এগুলো তো বাদই থাকলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো কারণ বর্তমানে অনলইনে পন্য বেচা কেনা দিন
দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন
বাড়তে আছে। কারণ এর মাধ্যমে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ পূর্ণসেবা পেয়ে
থাকে। যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল
মার্কেটিং এ প্রায় অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে।
বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিভিন্নভাবে ইনকাম হয়ে থাকে। তাই কেউ যদি তার আউটসোর্সিং
অথবা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে চাই অথবা সারা জীবন ভালো মানের একটি
প্যাসিভ ইনকাম করতে চাই তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং তার জন্য অনেক উপযোগী। কারণ
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে এই সেক্টরটিতে খুব সহজে এবং খুব কম সময়ে কাজ শেখা যায়
এবং ইনকাম করা যায়।
এছাড়াও বর্তমান যুগে বিশেষ করে বাংলাদেশে চাকরির যে অবস্থা তাতে ডিজিটাল
মার্কেটিং হল একটি নির্ভরযোগ্য জায়গা। যেখানে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই কাজ শিখে
ইনকাম করা যায় এবং একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে
বাংলাদেশের অনেক তরুণ ছেলে মেয়ে আছে যারা চাকরির পিছনে না ছুটে নিজে কিছু করার
উদ্যোগ নাই এবং তারা সফল হয়।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এটি যতদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে ততদিন পর্যন্ত এটি
চলবে। এবং এমন একটি দিন আসবে যখন যেকোন ব্যবসা করতে গেলেও ডিজিটাল মার্কেটিং
সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা লাগবে অথবা প্রয়োজন হবে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি
বলে আমি মনে করি।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আমাদের এই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আর্টিকেলটি পড়ে যদি বুঝতে পারেন
যে আপনি কিভাবে একজন ভাল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন।তাহলে অবশ্যই আর্টিকেল নিচে
একটি কমেন্ট করে জানাবেন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নোদেরও এটি শেয়ার করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url