অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা করার সেরা ৫টি উপায়
কিভাবে অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা করা যায় এবং কিভাবে এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা
করতে হয় এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
আমাদের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কাপড়ের ব্যবসা করে আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি একবার পড়ুন।
সূচিপএঃ অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা করার সেরা ৫টি উপায়
অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা
আপনি যদি অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি
বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে যেমন মানুষের চাহিদা বর্তমান বাজারে চাহিদা এবং
বর্তমান যুগের নতুন ফ্যাশন ইত্যাদি।
কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনার যদি পুঁজি কম থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে
বুঝতে হবে যে অল্প দামের কাপড়ের মধ্যে কোন কাপড় গুলোর চাহিদা মানুষের বেশি এবং
কোন কাপড় গুলো বাজারে চাহিদা ভালো।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ ২০২৪
এছাড়া প্রথম অবস্থায় যেহেতু আপনার পুঁজি অনেক কম থাকবে সে ক্ষেত্রে আপনি
চাইলে ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে কাপড় কেনাবেচা করতে পারেন
এক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার অর্থ খরচ করে দোকান ভাড়া দিতে হবে না বা কোন
কর্মচারী রাখতে হবে না।
এছাড়াও আমরা আজকে আপনাদেরকে কিছু কাপড় সম্পর্কে বলব যেগুলোর মাধ্যমে
আপনারা অনেক কম পুঁজিতে একটি ভালো ব্যবসা দার করাতে পারবেন।
১।গজ কাপড়
বর্তমান সময়ে প্রতিটা মানুষেরই গজ কাপড়ের প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা রয়েছে
কারণ এখন আর কোন মানুষই তেমন বেশি রেডিমেড কাপড় ব্যবহার করে না। কারণ রেডিমেড
কাপড় কিনলে দেখা যায় যে অনেকের মাপে ছোট বড় হয় তাই এখন সবাই গজ কাপড় বা ছিট
কাপড় কিনে দর্জির কাছে গিয়ে নিজের পছন্দমত মাপ এবং ডিজাইন দিয়ে পোশাক তৈরি করে
থাকে।
বর্তমানে আমাদের দেশে গজ কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি এছাড়াও এটি এখন বিদেশেও
রপ্তানি করা হচ্ছে। তাই সে দিক দিয়ে আপনি যদি গজ কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে
আপনি খুব অল্প অর্থে পাইকারি দামে কিনে সেগুলো বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি
করতে পারেন।
এটা চাহিদা অনুযায়ী অথবা মৌসুমী বিভিন্ন রকম গজ কাপড় বিক্রি করতে পারেন
যেমন গ্রীষ্মকালে সুতি কাপুর শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি এবং শীতের সময় ভারী কাপড়
সরবরাহ করতে পারেন।
২।পোশাকে সুই সুতার ডিজাইন করা
বর্তমানে সবচাইতে লাভজনক একটি কাপড়ের ব্যবসা হচ্ছে এমব্রয়ডারির ব্যবসা। বর্তমান
প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এ ব্যবসাটি সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা বিশেষ করে অনেক
নারীরা এই ব্যবসাটি করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।
এই ব্যবসাটির মূল বিষয়টি হচ্ছে একটি সাধারণ কাপড় বাজার থেকে কম দামে কিনে
এনে সুই সুতার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ডিজাইন এবং নকশা করে এটি গ্রাহকদের কাছে
আকর্ষণীয় করে বেশি দামে সরবরাহ করা।
আপনি যদি এ ব্যবসা ঠিক করতে চান তাহলে আপনি খুব কম খরচেই বা কম পুজিতে
ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসাটিকে বড় একটি ব্যবসায় রূপ
দিতে পারবেন।
৩।কাপড়ের কারচুপির ব্যবসা
অল্প পুজিতে সবচাইতে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কাপড়ের কারচুপির ব্যবসা। কাপড়ে
কার্যপীর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের পাথর, জরি, চুমকি ইত্যাদি বসিয়ে কাপড়ের নকশা
তৈরি করা। মেয়েদের বিভিন্ন রকম ওড়না শাড়ি সালোয়ার কামিজ ইত্যাদিতে কারচুপির
কাজ থাকলে এটি কাপড়ের দাম বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে এই ব্যবসাটি বাংলাদেশের বহু নারীরা করে নিজেরাই স্বাবলম্বীন
হচ্ছে। আপনি যদি এই ব্যবসাটি করতে চান তাহলে আপনি খুব কম খরচে এটা শুরু করতে
পারবেন কারণ এখানে কোনরকম যান্ত্রিকতা নেই পুরোটাই হাতের কাজ।
৪।পোশাক ভাড়া দেওয়া
বর্তমান সময়ে পোশাক ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক। বিশেষ করে
বিয়ের দিনে ছেলেদের শেরওয়ানি, পাগলি, জুতা ইত্যাদ নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য
ভাড়া দেওয়া হয় যেহেতু এই সকল জিনিস গুলো একদিনের বেশি ব্যবহার করা হয় না তাই
বেশি দাম দিয়ে অনেকে এটি কিনে না বরং দোকান থেকে ভাড়া করে। তাই আপনি যদি এই
ব্যবসাটি করতে চান তাহলে করতে পারেন।
৫।কাপড়ে ব্লক ও বাটিকের ডিজাইন করা
বর্তমানে ব্লক ও বাটিকের ব্যবসা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। একটি
কাপড়ের মধ্যে এক ধরনের কাঠের ডাইস দিয়ে বিভিন্ন রকম নকশা ছাপ বসানোকেই ব্লক ও
বাটিকের ডিজাইন বলা হয়। আপনি এ ব্যবসাটি চাইলে ঘরে বসে করতে পারেন এবং ঘরে বসে
আপনি আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে এগুলো সরবরাহ করতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্লক ও বাটিকের ডিজাইন করা পোশাকে চাহিদা অনেক তাই আপনি যদি এই
ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি একজন উদ্যোক্তাতে পরিণত হতে
পারবেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে কাপড়ের ব্লক ও বাটিকের ডিজাইন করা
শিখতে হবে কারন এই কাজটি করতে হলে আপনাকে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে।
এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবস
কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথমে অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করা
যায় এই সম্পর্কে জানতে হবে এরপর আপনি আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন যে এক্সপোর্ট
কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করতে হয়। এক্সপোর্ট বলতে বাইরের দেশে কোন পণ্য রপ্তানি
করাকে বোঝানো হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে যদি আপনি কাপড়ের এই এক্সপোর্ট ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে
অবশ্যই আমদানি রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামের
নিবন্ধন করতে হবে। মানে সহজ কথায় আপনার কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিবন্ধন থাকতে হবে তাহলে আপনি বাইরের দেশের বিভিন্ন বাইরের
সাথে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশে বহু মানুষ আছে যারা এই ব্যবসাটি করে কোটিপতি হয়ে
গিয়েছে। তাই আপনিও যদি এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাপড়ের
ব্যবসা প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং বাইরের দেশে কিভাবে কোন পণ্য রপ্তানি করতে
হয় এবং বায়েদের সাথে কথা বলতে হয় সে সম্পর্কেও আপনাকে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।
কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব
আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে
হয়। কিন্তু এখনো এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা কম পুঁজিতে কাপড়ের ব্যবসা তো দূরের
কথা কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব বা কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করতে হয় এ
সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।
যেকোনো ব্যবসা করার আগে সে ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যে ব্যবসা করছেন সে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার যদি সঠিক ধারণা
না থাকে তাহলে আপনি কোনদিন সেখান থেকে সফল হতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
তাই আপনি যেহেতু কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাপড়ের
ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করব যে
কিভাবে একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে হয়।
- কাপড়ের দোকান নির্বাচন করা
আপনি যেহেতু কাপড়ের ব্যবসা করবেন তাই আপনার কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে
একটি দোকানের প্রয়োজন হবে। কারণ যে কোন ব্যবসা করার জন্য একটি দোকান প্রয়োজন
হয় আর এ দোকানের মাধ্যমে ক্রেতারা পণ্যের সম্পর্কে জানতে পারে এবং পণ্যটি কিনতে
আগ্রহী হয়। তাই কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য একটি দোকান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- স্থান নির্বাচন
আপনি কাপড় ব্যবসা করার জন্য যে দোকানটি নিবেন সে দোকানটি অবশ্যই একটি ভালো
স্থানে হতে হবে কারণ আপনি যদি যেকোন স্থানে দোকান দিয়ে বসেন তাহলে তাহলে আপনার
কাপড় বেচাকেনা সঠিকভাবে নাও হতে পারে।
তাই সবসময় চেষ্টা করবেন এমন জায়গাতে দোকান দেওয়া যেখানে লোকজনের চলাচল
বা সমগম বেশি। আপনি যদি শহরে থাকেন তাহলে শহরের যেই স্থানে লোকজন বেশি চলাচল করে
সেই স্থানে দোকানটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- কাপড়ের ধরন নির্বাচন করা
কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিকভাবে কাপড়ের ধরন
নির্বাচন করাকারণ আপনি যে স্থানে দোকানটি দিয়েছেন সে স্থানে কোন ধরনের কাপড়
বেশি চলে বা মানুষ কোন ধরনের কাপড় পছন্দ করে সে সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কাপড় রয়েছে যেমন প্যান্ট, টি-শার্ট, বোরখা, লুঙ্গি, শাড়ি,
থ্রি পিচ, সালোয়ার কামিজ, বাচ্চাদের কাপড় ইত্যাদি এ সকল জিনিসের মধ্যে কোন
জিনিসটি বর্তমান বাজারে বেশি কেনাবেচা হয় সে সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে।
- পাইকারি বাজার থেকে কাপড় ক্রয় করা
আপনি যদি কাপড়ের ব্যবসা করে একজন সব সঠিক উদ্যোক্তা এবং সফল ব্যবসায়ী হতে চান
তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি পাইকারি দোকান থেকে বা বাইকের বাজার থেকে কাপড় ক্রয়
করতে হবে। কারণ পাইকারি বাজারে কাপড়ের মূল্য অনেকটা কম থাকে যার কারণে পরবর্তীতে
সে কাপড়টি তার দুই গুন দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা যায় সে ক্ষেত্রে লাভটা
বেশি আসে।
- অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করা
আপনি যদি কাপড়ের ব্যবসায় নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি পুঁজি কম থাকে
তাহলে আপনি অল্প পুঁজির মধ্যে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন। কারণ অনলাইনে
কাপড়ের ব্যবসা করলে দোকান দোকানের কর্মচারী কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না অনলাইনের
মাধ্যমে কেনা বেচা করা যায় ফলে পুঁজি কম লাগে এবং লাভ ডাউন দ্বিগুণ আসে।
রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা
অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করা যায় এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা
করেছি তাই এবার আমরা আলোচনা করব যে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে। কাপড়ের
রেডিমেড ব্যবসা বলতে বোঝায় যে একটি কাপড় পাইকারি কোন দোকান থেকে কম দামে কিনে
ক্রেতার কাছে কাপড়টি কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করা।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মানুষ এই ব্যবসার সাথে জড়িত তারা বাজারে একটি
দোকান ভাড়া নিয়ে অথবা নিজের দোকানে এইভাবে কাপড়ের ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু এই
ব্যবসাটি করার জন্য পুজি বেশি থাকা লাগে।
আপনি যদি রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে কয়েক লাখ
টাকার প্রয়োজন হতে পারে এটি ক্ষেত্র বিশেষে কম বেশি হতে পারে আপনি যদি বড় দোকান
নেন এবং বেশি কাপড় একবারে কিনেন তাহলে বেশি অর্থ লাগবে আর যদি ছোট একটি দোকান
নেন এবং দোকানে কর্মচারী কম রাখেন তাহলে আপনার পুজিও কম লাগবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
সবচাইতে ভালো হবে প্রথম অবস্থাতে আপনি যদি অল্প পরিষদে এবং কোন কর্মচারী
ছাড়া নিজেই নিজেই করতে পারেন তাহলে। এবং রেডিমেড কাপড়ের মধ্যে সবচাইতে বেশি
চাহিদা রয়েছে মেয়েদের কাপড়ের যেমন সালোয়ার কামিজ, বোরখা, শাড়ি ইত্যাদি।
এছাড়া বাংলাদেশের যতগুলো কাপড়ের দোকান রয়েছে সবগুলোতে বিশেষ করে রোজার
ঈদে এবং দুর্গাপূজায় প্রচুর পরিমাণ বেচা বিক্রি হয়ে থাকে।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
আপনি যদি অল্প পুজিতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে
কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ অনলাইনে আপনি খুব কম খরচে বা
কম পুঁজিতে একটি ভালো কাপড়ের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
অনলাইনে কাপড় ব্যবসা করার জন্য আপনার যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে সেটি
হচ্ছে অনলাইন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকা আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে তেমন কোন
ধারণা না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ভাল ভাবে ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই আজকে আমরা
এই আর্টিকেল আলোচনা করব যে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে অনলাইনে করা যায় এই সম্পর্কে।
- কাপড় নির্ধারণ করা
অনলাইনে কাপড় ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে যে মানুষ কোন ধরনের কাপড় পছন্দ
করে এবং সেই অনুযায়ী সে ধরনের কাপড় গুলো তাদের সামনে বারবার করে তুলে ধরা। আপনি
যখন ক্রেতার পছন্দের কোন জিনিস তার কাছে বারবার তুলে ধরবেন তখন সে অবশ্যই সেটির
উপর আকৃষ্ট হবে।
- ট্রেড লাইসেন্স করা
অনলাইনে যে কোন ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথমে সরকারি অনুমোদন নিতে হবেকারণ
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনি অনলাইনে ভালো ভাবে ব্যবসা করতে পারবেন না।
বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স করতে এক এক জায়গায় একেক রকম ফি নিয়ে থাকে এবং
যার ফলে এটি করতে অনেক ঝামেলা হয়। কিন্তু এটি করা হয়ে গেলে এটি আপনাকে অনলাইনে
ব্যবসা করার জন্য অটোমেটিক বুষ্ট আপ দিবে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞান থাকা
আপনি যদি অনলাইনে একজন সফল উদ্যোক্তা অথবা ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ অনলাইনে যত ব্যবসা
রয়েছে সবগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে ভিত্তি করে। তাই আপনি যদি অনলাইনে
কাপড় ব্যবসা করে কোটিপতি হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডিটেল মার্কেটিং সম্পর্কে
জানতে হবে ।
- পণ্য ডেলিভারি পার্টনার
অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একজন ডেলিভারি পার্টনার রাখতে হবে। কারণ আপনি
যদি অনলাইনে ব্যবসা করার পাশাপাশি পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসেন তাহলে
এতে করে আপনার অনেক সময় নষ্ট হবে তাই সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডেলিভারি পার্টনার
রাখা এতে করে আপনার ব্যবসা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাবে।
তাই পুরি শেষ বলা যায় আপনি যদি অনলাইনে একজন সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হতে চান
তাহলে আপনাকে এ সকল বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
কাপড়ের ব্যবসা করে কিভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হওয়া যায় আমাদের
আর্টিকেলে আজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা যদি এ সকল বিষয়
সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট
করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url