লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম ১৭ থেকে ২৫ বছর


প্রিয় পাঠক আপনি যদি লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা ৫ ৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম


তাই আপনি যদি আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে।

সূচিপত্রঃ  লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম ১৭ থেকে ২৫ বছর 

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম

অনেকেই নিজের খাটো হাইট নিয়ে চিন্তিত থাকে তাই আজকে আমরা লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে এখানে আলোচনা করব। বর্তমানে সবাই নিজের উচ্চতা বাড়াতে চাই। কিন্তু কেউ চাইলেই নিজের উচ্চতা যখন তখন বাড়াতে পারবে না কারণ এটি আমাদের হাতে থাকে না এটি মূলত অনেকের জন্মগত ভাবে হয়ে থাকে।
 সচরাচর মেয়েদের 16 এবং ছেলেদের ১৮ বছর পর্যন্ত তারা লম্বা হয়ে থাকে। এর পরে যাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে তারা বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে কিছুটা লম্বা হতে পারে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে কয়েক ইঞ্চি উচ্চতা আমরা বৃদ্ধি করতে পারি। তাই আজকে আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করব যে কি করলে এবং কোন ধরনের ব্যায়াম করলে আপনারা নিজেদের উচ্চতা বাড়াতে পারবেন।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
শরীর শুকনো থাকলে এমনি নিজেকে ছোটখাটো মনে হবে তাই সব সময় নিজেকে ফিট রাখার জন্য বেশি বেশি করে সুষম জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এতে করে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ফিট থাকতে পারবেন এবং আপনাকে কিছুটা হলেও লম্বা মনে হবে।

প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে বিশেষ করে মুরগির মাংস মাছ ও দুধ খাবারে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে সকল প্রোটিন আমাদের শরীরের হাড় বিভিন্ন রকম পেশী গঠনে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া খাবারে শর্করার পরিমাণটাও বৃদ্ধি করতে হবে যেমন ভাত এবং আলু এ ধরনের খাবার খেতে পারেন।

মিষ্টি কুমড়া চিনাবাদাম গম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ জিং থাকে যা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ব্যায়াম করা
লম্বা হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা অথবা ব্যায়াম করা। লম্বা হওয়ার জন্য বেশ কিছু সহজ ব্যায়াম রয়েছে যেমন সাঁতার কাটা দড়ি লাফানো ইত্যাদি। এছাড়াও বেশি বেশি করে সাইকেল চালালেও আপনি লম্বা হতে পারবেন।

এবং প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই হাত ভালো হবে উপরের দিকে ছেড়ে বুক টান করে একবার ডানে এবং বামে ঘুরবেন এই কাজটি প্রায় তিন থেকে চারবার করবেন তাহলে আপনি কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতে পারবেন।

৫ ৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায়

আপনি কি ৫ ৬ ইঞ্চি লম্বা হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে হবে এটি সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই ৫ ৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায় কি এ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। প্রতিটা মানুষই নিজেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখাতে চাই।

 আর এটির জন্য লম্বা হওয়া অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যদি দেখতে ছোটখাটো হন তাহলে কেউ আপনার দিকে লক্ষ্য করবে না বা আপনি কারো কাছে তেমনভাবে দাম পাবেন না। তাই নিজেকে লম্বা দেখানো প্রতিটা মানুষেরই একটি ইচ্ছা।
 লম্বা হওয়াটা মূলত প্রতিটা মানুষের জিনগত একটি কারণ এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।মূলত প্রতিটা মানুষেরই ২৫ বছর পর্যন্ত বাড়তি কাল চলে এ সময় প্রতিটা মানুষই প্রাকৃতিকভাবেই লম্বা হয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি আপনার উচ্চতা কয় ইঞ্চি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ২৫ বছরের মধ্যে আপনাকে সেটি করতে হবে কারণ ২৫ বছর পার হয়ে গেলে আপনি যাই করেন না কেন আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি হবে না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে বলবো যে কি করলে আপনারা পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা হতে পারবেন।

১। বেশি বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন মুরগির মাংস মাছ দুধ ইত্যাদি। কারণ এ সকল খাবার আমাদের শরীরের হাড় এবং পেশি গঠন করতে সাহায্য করে।

২। এবং প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে বিশেষ করে দড়ি লাফানো, কোন কিছু ধরে ঝোলা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি ব্যায়াম করতে হবে। এ সকল ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের পেশিগুলো অনেক সতেজ থাকে এবং আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

৩। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে হবে। দুই তিন আট থেকে নয় ঘন্টা করে ঘুমোতে হবে। কারণ বেশি বেশি ঘুমানোর সময় আমাদের শরীরে হরমোন উৎপাদিত হয় যা আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

৪। মদ্যপান, ধূমপান ইত্যাদি অ্যালকোহল এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ এগুলো আমাদের গ্রোধকে কমিয়ে দিতে পারে।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি এ সকল বিষয় গুলো মেনে চলেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার অংশে আলোচনা করা হবে যে কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায় এ সম্পর্কে। বর্তমানে প্রতিটা মানুষই নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য লম্বা হতে চাই। কিন্তু আপনি চাইলেই যখন সকল নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করে লম্বা হতে পারবেন না কারণ লম্বা হওয়াটা জন্মগত এবং জিনগত ভাবে হয়ে থাকে।
কিন্তু তারপরও আপনি কয়েকটি কাজ করলে আগের চেয়ে কয়েক ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে কি করলে আপনারা তাড়াতাড়ি আপনাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে লম্বা হতে পারবেন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
আপনি যদি তাড়াতাড়ি লম্বা হতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে দড়ি লাফানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি এসব ব্যায়াম প্রতিদিন করতে হবে। এছাড়াও এর সাথে আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে কোন কিছু ধরে ওপর-নিচ করে ঝুলেন তাহলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি হবে।
  • লাইফ স্টাইল
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে হবে। দুই তিন আট থেকে নয় ঘন্টা করে ঘুমোতে হবে। কারণ বেশি বেশি ঘুমানোর সময় আমাদের শরীরে হরমোন উৎপাদিত হয় যা আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।
  • কি খেলে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়
লম্বা হতে কে না চায় সবাই চাই সে যেন অন্য কয়েকটি মানুষের থেকে উচ্চতায় লম্বা হয়। আবার যারা লম্বা তারাও মনে করে যে আর যদি দু এক ইঞ্চি লম্বা হতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। মূলত একটি মানুষের ২৫ বছর পর্যন্তই লম্বা হওয়ার বয়স থাকে এরপর চাইলেও কেউ লম্বা হতে পারবে না।

তাই কিশোর থেকেই এসব ব্যাপারে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ ২৫ বছর পার হয়ে গেলে কোনভাবে লম্বা হওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করব যে কি খেলে বা কোন ধরনের খাবার খেলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হতে পারবেন।
  • মিনারেল জাতীয় খাবার
আমাদের খাবারের তালিকায় প্রতিনিয়ত মিনারেল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। কারণ মিনারেল জাতীয় খাবার আমাদের হার গঠনের সাহায্য করে থাকে।

এর জন্য আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় দুধ ডিম ছোট মাছ খেজুর বাঁধাকপি ফুলকপি পালং শাক ইত্যাদি রাখতে হবে। কারণ এ ধরনের খাবারে অনেক ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে যা আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন জাতীয় খাবার
আপনি যদি উচ্চতা বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। কারণ ভিটামিন আমাদের সকল প্রকার হরমোনকে সতেজ রাখে এবং হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন জাতীয় খাবার বলতে সকল প্রকার শাকসবজি এবং ফলমূলকে বোঝানো হয় যেমন লাল শাক, সবুজ শাক, কমলা, আপেল, মালটা ইত্যাদি।
  • প্রোটিন জাতীয় খাবার
লম্বা হওয়ার জন্য মাংসপেশী এবং হাড় এর বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি আর তাই মাংসপেশী এবং হাড়ের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রোটিন জাতীয় খাবার। প্রোটিন জাতীয় খাবার বলতে মাছ-মাংস দুধ ডিম ইত্যাদি এই সকল খাবারের প্রচুর পরিমান প্রোটিন রয়েছে এছাড়াও রয়েছে চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, ডাল, মটরশুটি ইত্যাদি।
  • পানি খাওয়া
লম্বা হওয়ার জন্য সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বেশি বেশি করে পানি খাওয়া। লম্বা হওয়ার জন্য পানি খাওয়ার উপরে আর কোন বিকল্প নেই প্রতিদিন কমপক্ষে হলেও দুই থেকে তিন লিটার করে পানি পান করতে হবে।

১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায়

আপনার যদি ১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আটকেলের এই অংশটি পড়তে পারেন কারণ এখানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স প্রতিটা কিশোর কিশোরীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কারণ এই সময়টি তাদের বয়সন্ধিকালের সময়।

 ১৭ বছর বয়সেই থেকেই অনেকে লম্বা হতে শুরু করে তাই এই সময়টি লম্বা হওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যেহেতু প্রতিটা মানুষেরই লম্বা হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে সে সময়টি পার হয়ে গেলে শত চেষ্টার পরেও কেউ আর লম্বা হতে পারে না।
১৭ বছর বয়সটি লম্বা হওয়ার প্রাথমিক একটি বয়স এ বয়স থেকেই শরীরের বৃদ্ধি হতে থাকে তাই এই বয়সে প্রোটিন ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। এবং ভালোভাবে শরীরের যত্ন নিতে হবে যেমন নিয়মিত ঘুমাতে হবে ধূমপান এবং মধ্যপন থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে হবে এবং কোন প্রকার ভারী জিনিস চারা যাবে না।

১৮ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায়

আমাদের প্রত্যেকেরই উচ্চতা বেশিরভাগ বংশগত এবং হরমোনের উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ১৮ বছর পর মানুষের তেমনভাবে উচ্চতা আর বাড়ে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক রকম শারীরিক চোটের কারণেও উচ্চতা না বাড়তে পারে।

যেহেতু লম্বা হওয়াটা প্রতিটা মানুষেরই একট ইচ্ছা তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব যে 18 বছর বয়সে কিভাবে আপনি লম্বা হতে পারবেন।
১। লম্বা হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ সেটি হচ্ছে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো। কারণ ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীরে এক ধরনেরপিটুইটারি গ্রন্থি নামক হওয়ার মন তৈরি হয় যা আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

২। প্রতিদিন বেশি বেশি করে ব্যায়াম করতে হবে বিশেষ করে দড়ি লাফানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।

৩। প্রতিনিয়ত খাবার তালিকায় ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি জাতীয় খাবার রাখতে হবে। এ সকল খাবার আমাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ও এ সকল খাবার গ্রহণ করতে পারেন।

৪। ধূমপান মদ্যপান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এ ধরনের জিনিসে নিকোটিন এবং অ্যালকোহল নামক ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

২০ বছর পর লম্বা হওয়ার উপায়

সাধারণত ২০ বছর পর আপনি চাইলে সাধারণ নিয়মে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারবেন না। কারণ প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সময় ২০ বছর পর্যন্তই থাকে। তাই আপনি যদি ২০ বছর বয়সে নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।বেশি বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন মুরগির মাংস মাছ দুধ ইত্যাদি।
কারণ এ সকল খাবার আমাদের শরীরের হাড় এবং পেশি গঠন করতে সাহায্য করে।বং প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে বিশেষ করে দড়ি লাফানো, কোন কিছু ধরে ঝোলা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি ব্যায়াম করতে হবে। এ সকল ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের পেশিগুলো অনেক সতেজ থাকে এবং আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে হবে। দুই তিন আট থেকে নয় ঘন্টা করে ঘুমোতে হবে। কারণ বেশি বেশি ঘুমানোর সময় আমাদের শরীরে হরমোন উৎপাদিত হয় যা আমাদেরকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

২৫ বছর পর লম্বা হওয়ার উপায়

মেয়েদের ১৬ বছর এবং ছেলেদের ১৮ বছর পর্যন্তই লম্বা হওয়ার বয়স থাকে। এ বয়স পার হলে কেউ আর তেমনভাবে লম্বা হতে পারে না। সত্যি কথা বলতে লম্বা হওয়াটা মূলত কারো জন্মগত এবং কারো পরিবেশগত কারণের জন্য হয়ে থাকে। লম্বা হওয়াটা মূলত এক ধরনের জেনেটিক ফ্যাক্টর নামক একটি হরমোনের দ্বারা হয়ে থাকে কিন্তু এ হরমনটি ২৫ বছর পর কারো শরীরে তৈরি হয় না।

তারপরেও আপনার যদি ২৫ বছর পার না হয়ে যায় যদি আপনি 25 বছরের মধ্যে থাকেন তাহলেও আপনি বিভিন্ন প্রকার ব্যায়াম এবং প্রোটিন ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম সাপ্লিমেন্ট কিনে খেয়েও আপনি লম্বা হতে পারেন।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকম সাপ্লিমেন্ট রয়েছে লম্বা হওয়ার জন্য আপনি চাইলে ওইগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তাই পরিশেষে বলা যায় যে ২৫ বছর পর লম্বা হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা থাকে না তাই ২৫ বছর হওয়ার আগেই আপনাকে লম্বা হওয়ার জন্য উপরোক্ত কার্যক্রম গুলো গ্রহণ করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং আর্টিকেলটি অন্যদেরকেও শেয়ার করুন এবং তাদেরকে উপকৃত করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url