লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন মোটরসাইকেলের জন্য
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে
আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণে আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং
লাইসেন্স আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তাই আপনি যদি কোন প্রকার দালাল ছাড়া সঠিকভাবে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান
তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
সূচিপত্রঃ লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন মোটরসাইকেলের জন্য
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন এর মাধ্যমে এখন করা যায়। বর্তমান
সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বারবার বিআরটিএ অফিসে যাওয়া লাগে না ঘরে বসে
অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করে এরপর একদিন সময় নিয়ে বিআরটিএ অফিসে গেলে কাজ হয়ে
যায়।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে
বিআরটিএ ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এবং এরপর সেখান থেকে নিবন্ধনে চাপ দিলেই আপনাকে
একটা ফর্ম দিবে সেই ফর্মে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, ফোন নাম্বার, জিমেইল
এড্রেস, ঠিকানা ইত্যাদি ঠিকভাবে দিতে হবে।
সবকিছু ভালোভাবে দেওয়া হয়ে গেলে এরপর নিবন্ধনে চাপ দিতে হবে তাহলে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা হবে। আপনি যখন এ ফর্মটি পূরণ করবেন তখন
আপনাকে অনলাইন থেকে একটি কাগজ দিবে এই কাগজটি প্রিন্ট করে বিআরটিএ অফিসে নিয়ে
যেতে হবে এবং বাদবাকি কাজগুলো সেখানে গিয়েই করতে হবে বাদ বাকি কাজগুলো করতে
একদিন সময় লাগবে
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন সম্পর্কে উপরের অংশে আলোচনা করা
হয়েছে তাই এবার মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম কিভাবে করতে হয় এ
সম্পর্কে এই অংশে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের
জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে।
এবং এরপর সেখান থেকে নিবন্ধনে চাপ দিলেই আপনাকে একটা ফর্ম দিবে সেই ফর্মে
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, ফোন নাম্বার, জিমেইল এড্রেস, ঠিকানা ইত্যাদি
ঠিকভাবে দিতে হবে।
সবকিছু ভালোভাবে দেওয়া হয়ে গেলে এরপর নিবন্ধনে চাপ দিতে হবে তাহলে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা হবে। আপনি যখন এ ফর্মটি পূরণ করবেন তখন
আপনাকে অনলাইন থেকে একটি কাগজ দিবে এই কাগজটি প্রিন্ট করে বিআরটিএ অফিসে নিয়ে
যেতে হবে এবং বাদবাকি কাজগুলো সেখানে গিয়েই করতে হবে।
বাদ বাকি কাজগুলো করতে একদিন সময় লাগবে। আর এভাবেই মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং
লাইসেন্সের ফরম আবেদন করতে হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন করার আগে আপনাকে প্রথমে ড্রাইভিং
লাইসেন্স অনলাইন আবেদন অর্থাৎ অনলাইনে প্রথমে যে প্রাথমিক আবেদনটি করতে হয় সেটি
আগে করতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো যানবাহন চালানোর জন্য চালকের
অবশ্যই একটি লাইসেন্স থাকতে হবে আর এই লাইসেন্স কেই ড্রাইভিং লাইসেন্স বলা হয়।
একজন দেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত যানবাহন চালানোর আগে ড্রাইভিং
লাইসেন্স সম্পূর্ণ করা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না
থাকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বারবার বিআরটিএ অফিসে যাওয়া লাগতো কিন্তু
বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক আবেদন অনলাইনে করা যায়।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা এখনো জানে না যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন
আবেদন কিভাবে করতে হয়।
তাই আজকে আমরা আপনাকে জানাবো যে কিভাবে ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে ড্রাইভিং
লাইসেন্সের প্রাথমিক আবেদন সম্পূর্ণ করবেন।
১। সর্বপ্রথম গুগল থেকে বিআরটিএ ওয়েব সাইটে ঢুকতে হবে এবং নিবন্ধন বাটনে চাপ
দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ দিতে হবে।
২। এরপর অনুসন্ধান বাটনে চাপ দিয়ে নিজের ফোন নাম্বার ইমেইল এড্রেস এবং একটি
পাসওয়ার্ড দিয়ে নিবন্ধন করুন বাটনটিতে চাপ দিলে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি
হয়ে যাবে।
৩। এরপর আপনার জিমেইলে গেলে দেখতে পাবেন একটি লিঙ্ক চলে এসেছে ওই লিংকে চাপ দিয়ে
আপনার ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ভেরিফিকেশন করুন।
৪। ভেরিফিকেশন করার পর উপরে থ্রি ডটে থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করুন
তাহলে ওখান থেকে আপনাকে কয়েকটা নির্দেশনা দেওয়া হবে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার
জন্য কি কি প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার
জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম এইট পাশ হওয়া লাগবে।
৫। এরপর আপনি এই সকল নির্দেশনা গুলো যেমন আপনার ছবি, নাম, ঠিকানা, নাম্বার
ইত্যাদি ভালোভাবে দিবেন দেওয়ার পর সাবমিট করবেন। সাবমিট করার পর আপনাকে
মোটরসাইকেল লার্নার লাইসেন্সের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে।
৬। এরপর আপনি আপনার ফোন নাম্বার এবং ব্যাংক একাউন্ট অথবা মোবাইল ব্যাংকিং থেকে
১৫০ টাকা পে করে দিলেই আপনার লার্নার অনলাইন আবেদন সম্পূর্ণ হবে।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
মোটরসাইকেল লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন করা হয়ে গেলে তারপর
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম যেগুলোই রয়েছে সেগুলো করতে হবে আর সেই
সকল নিয়মগুলো আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হয়েছে।
আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য
বারবার বিআরটিএ অফিসে যাওয়া লাগতো যা অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ ছিল। কিন্তু বর্তমান
সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বারবার বিআরটিএ অফিসে যাওয়া লাগে না ঘরে বসে
অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করে এরপর একদিন সময় নিয়ে বিআরটিএ অফিসে গেলেই হয়।
আরো পড়ুনঃ অল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ধরনের লাভজনক ব্যবসা
তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো যে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং
লাইসেন্স করার সম্পূর্ণ নিয়ম। মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রথমে
বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। এবং আবেদন করার
পর আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে।
এবং সেই ফর্মটিতে সময় উল্লেখ করা থাকবে সেই সময় অনুযায়ী আপনাকে ফর্মটি নিয়ে
বিআরটিএ অফিসে যেতে হবে। বিআরটি অফিসে গেলে সেখানে ২০ মার্কের একটি mcq পরীক্ষা
নেওয়া হবে যেখানে আপনাকে ১২ পেতে হবে।
এরপর কিছু প্রশ্ন ধরা হবে এবং আপনাকে একটি মোটরসাইকেল চালাতে দেওয়া হবে আপনি যদি
এই সকল প্রসেস গুলোতে টিকে যান তাহলে আপনার লার্নার আবেদন ফর্মটিটে বিআরটিএ থেকে
পাস লিখে দেবে।
এরপর বাসায় এসে রাত আটটার দিকে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখতে পাবেন যে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে গেছে এরপর আপনি চাইলে দুই তিন দিন পর অনলাইনে একটি কপি
করে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন আপনার কোন মামলা হবে না। কিন্তু আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড আসতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ দিন সময় লাগবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন করা হয়ে গেলে এরপর আপনি বিআরটিসিতে
গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরেই আপনাকে বলে দেওয়া হবে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত
দিন লাগে বা এর স্মার্ট কার্ড পেতে কতদিন লাগে। যেকোনো যানবাহনের একজন চালক
হিসেবে প্রতিটি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার উচিত।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন চালকের যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে এবং তার
পরেও সে রাস্তায় গাড়ি চালায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অনেকে মনে করে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে সময় লাগে যার ফলে ডাইভিং লাইসেন্স করে না।
কিন্তু ডাইভিং লাইসেন্স করতে বর্তমান যুগে তেমন কোন সময় লাগে না। আপনি যদি
প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ পাশ হয় তাহলে আপনি যেকোনো সময়
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্স হয়ে যাবে।
এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে বিআরটিআর অফিসে বারবার যাওয়া লাগে না অনলাইনে প্রথমে
আবেদন করার পর তারপর একদিনের জন্য বিআরটিএ অফিসে গিয়ে পরীক্ষা দিলেই ৩০ থেকে ৪০
দিনের মধ্যে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনি চাইলে দুই তিন দিন পর ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন কপি দিয়েও
রাস্তাতে গাড়ি চালাতে পারবে কোন সমস্যা হবে না।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সে
সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি অন্যদেরকেও শেয়ার করুন যাতে
করে তারাও এই ব্যাপারে সচেতন হয় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সটা করতে পারে।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url