অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি যদি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা এবং অল্প পুজিতে খামার ব্যবসা করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আমরা এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা


তাই আপনি যদি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা এবং ভালো একটি ব্যবসা করতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা একবার পড়ুন।

সূচিপত্রঃ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার উপায়

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান সময়ে আপনি যদি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। পাইকের ব্যবসার কিছু সুবিধা এবং কিছু অসুবিধা রয়েছে। পাইকারি ব্যবসাতে লাভ কম হয় কিন্তু কাস্টমার অনেক বেশি পাওয়া যায় আর আপনার ব্যবসায় যদি কাস্টমার বেশি থাকে তাহলে আস্তে আস্তে সে ব্যবসায় লাভ শুরু হবে।
আরো পড়ুনঃ কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব
 তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বলবো যেগুলো আপনারা অল্প পুজিতেই শুরু করতে পারবেন।

১।টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান আধুনিক যুগে প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়ের পোশাকের এর মধ্যে টি-শার্টের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে শহরের প্রতিটা জায়গায় আপনি গেলে দেখতে পাবেন যে ছেলে এবং মেয়ে উভয় টি শার্ট অনেক বেশি পছন্দ করে।

 এবং যার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রকম পোশাক শিল্প। তাই আপনি চাইলে এই সকল পোশাক শিল্প থেকে বিভিন্ন রকমের টি শার্ট কম অর্থে ক্রয় করে এগুলো পাইকারি দামে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে পারেন।

২।পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে আপনি যদি অল্প পুজিতে ভালো কোন পাইকারি ব্যবসা করতে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাপড়ের ব্যবসা করতে হবে। আমরা সবাই জানি আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে কাপড় একটি তাই এটির চাহিদা কখনো কমে না বরং দিন দিন বাড়ে।

 তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন কাপড়ের কারখানা থেকে কম দামে কাপড় কিনে এগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে পারেন এতে করে আপনার লাভ অনেক বেশি হবে।

৩।ফলের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে ফল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। ফল আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি কারণ এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই বিভিন্ন রকমের ফল যেমন আপেল, কমলা, আঙ্গুর, পেয়ারা বাতাবি লেবুর, মালটা ইত্যাদি চাহিদা প্রতি বছরই অনেক বেশি থাকে।

 তাই আপনি যদি অল্প পুজিতে কোন পাইকারি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার জন্য এই ফলের ব্যবসা অনেক ভালো হবে।

৪।খাতা এবং কলমের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে খাতা কলম পেন্সিল এবং রাবারের চাহিদা অনেক বেশি কারণ এই সকল জিনিস বিভিন্ন অফিস আদালত স্কুল কলেজে প্রয়োজন হয়ে থাকে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনেক প্রয়োজনে একটি জিনিস। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থীরাই অল্প দামে এ সকল জিনিস কিনতে চায় তাই আপনি যদি ভালো একটি পাইকারি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি এই স্টেশনারি ব্যবসা করতে পারেন।

 আপনি অল্প দামে স্টেশনারির বিভিন্ন পণ্য যেমন খাতা কলম রুল পেন্সিল রাবার ইত্যাদি কিনে এগুলো পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন।

৫।মুদি পণ্যের পাইকারি দোকান

মুদির দোকান বলতে আমরা মূলত আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চাল ডাল তেল পিয়াজ ইত্যাদি যে দোকানে পাওয়া যায় সে দোকানকে মুদির দোকান বলা হয়। বর্তমানে মুদির দোকানে অনেক লাভ হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চাল ডাল তেল চিনি ইত্যাদি পাইকারি দামি কিনে এগুলো বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে পারেন।

৬।বিভিন্ন বেকারির পাইকারি ব্যবসা

বেকারির ব্যবসা বলতে বিস্কুট, চানাচুর, কেক, পাউরুটি ইত্যাদির ব্যবসা কে বোঝানো হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্ন নাস্তায় এগুলো খেয়ে থাকি অথবা বাসায় মেহমান এলে আমরা এই সকল জিনিস দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করে থাকি।

 বর্তমানে অনেকগুলো বেকারির ফ্যাক্টরি রয়েছে আপনি যদি সেই ফ্যাক্টরিগুলো থেকে পাইকারি দামে এগুলো কিনে এনে বিক্রি করেন তাহলে আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।

৭।কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা। কাঁচামাল বলতে বোঝায় শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি যা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রতিদিনই প্রয়োজন পড়ে।

 তাই আপনি চাইলে অল্প পরিসরে বিভিন্ন বাজারে অথবা দোকান দিয়ে পাইকারি দামে এগুলো বিক্রি করতে পারেন যেহেতু কাঁচামালের চাহিদা কোনদিনই ফুরোবে না তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি অনেক দিন ধরে করতে পারবেন।

৮।কসমেটিকসের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে কসমেটিক্স ব্যবসা। মেয়েদের সবচাইতে প্রিয় একটি জিনিস হচ্ছে কসমেটিক্স এগুলো বিভিন্ন বিয়ে এবং অনুষ্ঠানে তারা কিনে ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনি চাইলে পাইকারি দামে এই সকল কসমেটিক্স এর ব্যবসা করতে পারেন এতে করে আপনি খুব অল্পদিনে লাভবান হবেন।

অল্প পুজিতে খামার ব্যবসা

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করে যেমন অনেক লাভবান হওয়া যায় তেমনি অল্প পুজিতে খামার ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। বর্তমানে খামারের ব্যবসা করে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে বিশেষ করে এটি গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে যেহেতু জায়গা বেশি থাকে তাই সেখানে বিভিন্ন পশু প্রাণীর খামার করা অত্যন্ত সহজ একটি বিষয়।
আরো পড়ুনঃ গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার সঠিক নিয়ম
    তাই আপনি যদি অল্প পুজিতে খামারের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে যে কোন কোন প্রাণীর খামার খুব সহজে এবং কম খরচে করা যায় এবং লাভ বেশি হয়। তাই আজকে আমরা এ অংশে আপনাদের সাথে এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়।
  • গরুর খামার
খামারের ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে গরুর ব্যবসা। যদিও একটি গরুর খামার তৈরি করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় কিন্তু আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে কাজ করেন তাহলে খুব কম খরচে আপনি একটি গরুর খামার তৈরি করতে পারবেন।

 গ্রামে যদি আপনার কৃষি জমি থাকে তাহলে তাহলে আপনাকে সেই জমিতে বেশি বেশি করে ঘাস উৎপন্ন করতে হবে যাতে করে গরুর ঘাসের যোগানে কোন সমস্যা না হয়। এরপর অল্প পরিসরে দুই থেকে তিনটি গাভী কিনবেন কারণ গাভীতে তুলনামূলকভাবে খরচ কম এবং লাভ বেশি।

 গাভী প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লিটার দুধ দিবে এগুলো আপনি বাইরে বিক্রি করতে পারবেন এছাড়াও প্রতিবছর একটি করে বাছুর হবে এ বাছুরগুলো আপনি ছড়া দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তাই বলা যায় যে আপনি যদি একজন খামারের উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আপনি এইভাবে একটি গরুর খামার দিতে।
  • ভেড়া বা গাড়লের খামার
আপনি যদি অল্প পুঁজিতে খামারের ব্যবসা করতে চান এবং লাভবান হতে চান তাহলে আপনাকে ভেড়া বা গাড়লের তৈরি করতে হবে। গাড়লকে আমরা প্রচলিত ভাষায় ভেড়া বলে থাকি। এটি লালন-পালন প্রক্রিয়া অনেক সহজ আপনি এটিকে খোলামেলাভাবে লালন পালন করতে পারেন এতে করে আপনার খরচ কম হবে।

 এবং সবচাইতে ভালো হবে আপনি যদি গাড়ল গুলোকে বিভিন্ন মাঠে মাঠে চরিয়ে নিয়ে বেড়ান। এবং গাড়লের জন্য বিশেষ করে কোন খামার তৈরি করতে হয় না এরা যে কোন জায়গাতেই থাকতে পারে এবং এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।

 একটি গাড়ল প্রতি সাত মাস পর পর বাচ্চা দিয়ে থাকে এবং চার থেকে ছয় মাস বয়সী বাচ্চার দাম ছয় থেকে সাত হাজার। তাই আপনি চাইলে গাড়লের বাচ্চা বিক্রি করেও লাভবান হতে পারেন।
  • হাঁস মুরগির খামার
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে হাঁস মুরগির খামার করা। যদিও হাঁস মুরগির খামার করতে তেমন কোনো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় না খুব অল্প অর্থের মধ্যে মুরগির খামার তৈরি করা যায়।

 এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে এটি কি আপনি খোলামেলাভাবেও লালন পালন করতে পারবেন আপনি চাইলে বাইরে চারিদিকে নেট দিয়ে ঘিরে এর মধ্যে হাঁস মুরগি পালন করতে পারবেন এতে করে আপনার খরচ আরো কমে যাবে। হাঁস মুরগি পালনে লাভ অনেক বেশি এবং খরচ কম কারণ আপনি হাঁস মুরগি যেমন বিক্রির পাশাপাশি এর ডিম বিক্রি হলো আপনি লাভবান হতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে উপরের অংশে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আমরা এই অংশ আলোচনা করব যে কিভাবে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করা যায়। বর্তমানে অল্প পুঁজিতে অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মাসে প্রায় হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন দেরি না করে জেনে নিজে অল্প পুজিতে লাভজনক কি কি ব্যবসা রয়েছে।
  • চায়ের স্টল
বর্তমানে চা খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক চা প্রেমিক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ছোট থেকে বড় সবাই কমবেশি চা পছন্দ করে থাকে ভোজন রসিক মানুষের চা ছাড়া যেন বিকাল এবং সন্ধ্যার আড্ডা জমে না। তাই রাস্তাঘাটে ফুটপাতে আমরা বিভিন্ন ছোটখাটো চাই স্টল দেখতে পাই এবং এই স্টল গুলোতে লোক সংখ্যাও অনেক হয়।
আরো পড়ুনঃ গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে জানুন
 তাই আপনি যদি অল্প পুঁজিতে কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে চায়ের ব্যবসা অনেক ভালো একটি ব্যবসা হবে আপনার জন্য। কারণ চায়ের ব্যবসা করতে খুব একটা খরচ হয় না আপনি যদি ছোট করে স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন অফিস আদালতের পাশে চায়ের স্টল দেন তাহলে আপনি সেই স্টল থেকে মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা
আপনি যদি অল্প পুজিতে ভালো একটি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার জন্য এ ব্যবসাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড মানুষের প্রতিনিয়তই দরকার হয়।

 এবং তাই আপনি যদি এ ব্যবসা করতে চান তাহলে ছোট একটি চেয়ার টেবিল নিয়ে ছোট আকারে শুরু করতে পারেন এবং ফ্লেক্সিলোডের সাথে আপনি চাইলে নগদ বিকাশ রকেট এই সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও রাখতে পারেন।
  • মোবাইল এবং কম্পিউটার মেরামতের ব্যবসা
মোবাইল এবং কম্পিউটার প্রতিটি মানুষেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর এগুলো যেহেতু ইলেকট্রনিক ডিভাইস তাই মাঝেমধ্যে এগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই আপনি চাইলে একটি দোকান নিয়ে সেখানে মোবাইল এবং কম্পিউটার মেরামতে কাজ করতে পারেন।

 কিন্তু এ কাজ করার আগে আপনাকে এ কাজের প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রশিক্ষণ ছাড়া আপনি কাজ প্রথমে করতে পারবেন না। আপনি যদি এ কাজে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেন তাহলে আপনি একটি ফোন বা কম্পিউটার ঠিক করলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে পাবেন।
  • ইভেন্ট এবং ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা
বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হচ্ছে ইভেন ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা। কারণ যতদিন যাচ্ছে তত মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং চাহিদা পরিবর্তন হচ্ছে। আগে বিয়ে বাড়ি অথবা যে কোন অনুষ্ঠানের ডেকোরেশন গুলো ছিল খুব সাদামাটা এবং সাধারণ। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে এখন যেকোন বিয়ে অথবা ছোটখাটো অনুষ্ঠান মানুষ যাক জনম ভাবে পালন করে।

 এখনকার সকল রকম অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষনই হচ্ছে সুন্দর একটি ডেকোরেশন। তাই আপনি যদি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা করেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন। যেহেতু আপনার পুঁজি অনেক কম সেক্ষেত্রে আপনি ছোট পরিসরে এলাকাভিত্তিকভাবে প্রথমে শুরু করতে এটা আপনার খরচ কম হবে।
  • ফুলের ব্যবসা
ফুলের ব্যবসা হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং দিবসে আমরা ফুল ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও মেয়েরাও অনেক বেশি ফুল পছন্দ করে।

 বিশেষ করে বাংলাদেশে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন দিবস পালন হয় এ সকল দিবসে প্রায় লাখ টাকার উপরে ফুল ব্যবসায়ীরা ফুল বিক্রি করে থাকে। তাই আপনি যদি ফুলের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে খুব কম টাকার মধ্যেই এটা শুরু করতে পারবেন।
  • ফাস্টফুড কর্নার
ফাস্টফুড পছন্দ করেনা এমন মানুষ হয়তো বা খুব কমই পাওয়া যাবে ছোট থেকে বড় সকলেরই প্রিয় খাবার হচ্ছে এই ফাস্টফুড। ফাস্টফুড খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন ফ্রাই, পিজা ইত্যাদি। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সন্ধ্যা হলেই রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে প্রচুর ভিড় থাকে।

 তাই আপনি চাইলে শহরের যে প্রান্তে লোকজনের সমাগম বেশি সেই স্থানে একটি ভ্যান গাড়ির উপরে ছোট করে একটি ফাস্টফুড এর দোকান দিতে পারেন এতে আপনার খরচ কম হবে। এবং এই ফাস্টফুটে আপনি বার্গার, পিজা, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
  • কাপড়ের ব্যবসা
মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম মৌলিক চাহিদা হচ্ছে পোশাক এর চাহিদা। বর্তমানে পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি চাইলে ছোট একটি দোকান নিয়ে অল্প কিছু কর্মচারী নিয়ে একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং সকল কাপড় আপনি বিভিন্ন পোশাক শিল্প এবং পাইকারি দামে কিনে বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
  • ফুচকার ব্যবসা
ফুচকা খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ হয়তোবা নেই বললেই চলে বর্তমানে সবাই ফুচকা পছন্দ করে বিশেষ করে মেয়েরা বেশি এটি পছন্দ করে। বিকেল হলেই দেখা যায় যে রাস্তার ধারে এবং পর্যটক স্পটে বিভিন্ন রকম ফুচকার দোকান থাকে এবং এগুলোতে অনেক ভিড় হয় মানুষের।

 তাই আপনি প্রথমে যে সকল স্থান মানুষ বেশি যাতায়াত করে এবং পর্যটক স্পট সেই সকল জায়গায় ছোট করে একটি ফুচকার দোকান দিতে পারেন এবং ফুচকা যে সামগ্রী আমার জানা মতে এগুলোর খরচ খুব একটা বেশি না তাই আপনি চাইলে খুব তাড়াতাড়ি এ ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশ

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার সকল নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আমরা আলোচনা করব যে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশ এ কিভাবে করা যায়। আপনি যদি বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি অনেকগুলো ব্যবসা করতে পারবেন কারণ বাংলাদেশে অল্প পুজিতে অনেক লাভজনক ব্যবসা রয়েছে।
  • কফি শপ
বর্তমানে প্রতিটি মানুষই চায়ের পাশাপাশি কফি খেতেও অনেক পছন্দ করে। এছাড়াও এখন অনেক রকমের কপি পাওয়া যায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং কফি সাথে। তাই আপনি যদি কফির ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি একটি কফি শপ দিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গার্মেন্টস ব্যবসার আইডিয়া
 কিন্তু যে কোন জায়গায় এই কফি শপ দিলে হবে না যেসব জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি এবং আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কম রয়েছে সে সকল জায়গাতে আপনি যদি কফি সব দিতে পারেন তাহলে এডিতে অনেক লাভ হবে।
  • কসমেটিক এর ব্যবসা
প্রতিটি মেয়েদের একটি পছন্দের জিনিস হচ্ছে কসমেটিক। কসমেটিকের মধ্যে রয়েছে কানের দুল, হাতে চুড়ি, গলায় মালা, পায়ের নুপুর, ইত্যাদি। আপনি যদি একটি কসমেটিকের দোকান দিতে পারেন এবং আপনার কসমেটিকের মান যদি ভাল হয় তাহলে আপনি অবশ্যই এটি থেকে তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন।
  • ফাস্টফুডের ব্যবসা
ফাস্টফুড পছন্দ করেনা এমন মানুষ হয়তো বা খুব কমই পাওয়া যাবে ছোট থেকে বড় সকলেরই প্রিয় খাবার হচ্ছে এই ফাস্টফুড। ফাস্টফুড খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন ফ্রাই, পিজা ইত্যাদি। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সন্ধ্যা হলেই রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে প্রচুর ভিড় থাকে।

 তাই আপনি চাইলে শহরের যে প্রান্তে লোকজনের সমাগম বেশি সেই স্থানে একটি ভ্যান গাড়ির উপরে ছোট করে একটি ফাস্টফুড এর দোকান দিতে পারেন এতে আপনার খরচ কম হবে। এবং এই ফাস্টফুটে আপনি বার্গার, পিজা, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

অল্প পুজিতে কিভাবে ব্যবসা করতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং এ আর্টিকেলটি আপনাদের সকল বেকার বন্ধুদেরকে শেয়ার করুন যাতে করে তারা এটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url