প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব এর ১২টি লক্ষণ


প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব এবং মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই অনেক রকম দ্বিধাদ্বন্দ রয়েছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব যাতে করে এ সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পারেন।

প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব


তাই আপনি যদি একজন বিবাহিত নারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি একবার পড়ুন আশা করি আপনার উপকারে আসবে।

সূচিপত্রঃ প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব এর ১২টি লক্ষণ

প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব

প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব অনেক নারীর মনেই এই প্রশ্ন আসে। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে একজন নারী খুব সহজে বুঝতে পারবে যে সে প্রেগন্যান্ট কি না।
 একজন নারীর জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দময় মুহূর্ত হলো প্রেগনেন্সির এই সময়টা। এই সময় একটি নারীর শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়ে থাকে।

১।যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত

নারীদের কোমরের নিচে অথবা তলপেটের নিচে ওভারি নামক জায়গায় ডিম্বাণু পরিপক্ক হয়। এবং সেখান থেকেই পরিপক্ক হয়ে ডিম্বাণু ডিম্বনালীতে ঢুকে এবং সেখানে শুক্রানুর সাথে মিলিত হয় এবং মিলিত হওয়ার পর এটি ভ্রুন হয়ে যায় এবং এই ভ্রুন থেকে বাচ্চার জন্ম হয়। এরপর ভ্রুন এর কাজ হল নিজের জন্য একটি ভালো জায়গা করে নেওয়া।

তার জন্য সে সরাসরি জরায়ুর দিকে চলে যায় এবং এখানেই নয় মাস পর্যন্ত থাকে এবং শিশু বড় হয়। এবং এই ভ্রুন যখন জরায়ুতে ভালোভাবে জায়গা করে তখন হালকা রক্তপাত হয়। আর এটিই হল ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং। আর ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এর রক্তপাত হালকা গোলাপি বা বাদামী হয়ে থাকে। অনেকে এ রক্ত দেখে মনে করে এটি মাসিকের রক্ত।

২।স্তন ভারী এবং হালকা ব্যথা অনুভব

এ লক্ষণটা মাসিক মিস হওয়ার আগে লক্ষ্য করা যায়। এবং এটি বিশেষ করে প্রেগনেন্সির এক থেকে দুই সপ্তাহ পর বোঝা যায়। এই সময় স্তন কিছুটা ভারী ভারী এবং ব্যথা মনে হয়। এবং যে কোন ব্লাউজ পড়ার সময়ও ব্যথা অনুভব হয় কেমন একটা অস্বস্তিকর লাগে।

এছাড়াও এ সময় স্তন আগের চেয়ে ভারী অথবা ফোলা দেখাতে পারে। বিশেষ করে প্রেগনেন্সির সময়টাই শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার কারণে স্তনে এ পরিবর্তনগুলো দেখা যায়।

৩।ঘন ঘন প্রস্রাব

প্রেগনেন্সির সময় ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে কারণ এই সময় বিভিন্ন রকম হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে যার ফলে এটি হয়। এছাড়াও প্রস্রাবের সময় অনেক সময় জ্বালাপোড়াও করে থাকে। এমন কিছু হলে ডাক্তারকে ততক্ষণে দেখাতে হবে এবং পরামর্শ নিতে হবে এটি ইনফেকশনের কারণেও হতে পারে।
৪।পেটে অস্বস্তি বা পেট ফাঁপা এমন মনে হয়।

গর্ভাবস্থার শুরুতে যে হরমোনের পরিবর্তনগুলো আসে তার কারণে আপনার পেটটা অস্বস্তি বা ফাঁপা মনে হতে পারে। অনেকে মনে করে এটা হয়তোবা গ্যাস হয়েছে অথবা কোন সমস্যা হয়েছে। আসলে এটিও একটি লক্ষণ প্রেগনেন্সি।

৫।মুড সুইং

প্রেগনেন্সির প্রথমদিকে সময় আপনার মন মেজাজের একটা পরিবর্তন আসতে পারে। অনেক সময় ছোট ব্যাপারে ভালো লাগে আবার অনেক সময় ছোট কোন কিছু হলে মন খারাপ হয়ে যায়। এই সময় বিভিন্ন রকম হরমোনের পরিবর্তনের ফলে এই জিনিসটা হয়ে থাকে।

৬।বমি বমি ভাব

আগে ধারণা করা হতো বমি এবং বমির এই ভাবটা কিছুটা দেরিতে আসে। কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের মতে এই বমি বমি ভাবটা গর্ভধারণের একবারে শুরুর দিকে দেখা যায়। ডিম্বাণু ফুটে বের হওয়ার স্বাদ থেকে আট দিনের মধ্যে এ লক্ষণটি দেখা যায়। যাদের বয়স একটু বেশি তাদের জন্য এ লক্ষণটি একটু দেরিতে দেখা যায় এবং যাদের বয়স একটু কম তাদের তাড়াতাড়ি দেখা যায়।

৭।ক্লান্তি অনুভব করা

প্রেগনেন্সির প্রথম দিকে শরীরে অনেক ক্লান্তি ভাব অনুভব হয়। যে কাজগুলো করতে আগে কোন রকম সমস্যা হতো না সে কাজগুলো এ সময় অনেক পরিশ্রমের মনে হয়। এবং একটু কাজ করলেই ভিতরে ক্লান্তি ভাব অনুভব হয়।

এটি এক ধরনের হরমোনের কারণে এই সময় হয়ে থাকে। এটি প্রথম তিন মাস পর্যন্ত বহাল থাকে এবং প্রথম তিন মাস পার হলে এ ক্লান্তি ভাবটা একটু কমে। এবং শেষে তিন মাসে আবার এই ক্লান্তি ভাবটা ফিরে আসে।

৮।মুখের স্বাদে পরিবর্তন

এই সময় অনেকের মুখের স্বাদের পরিবর্তন হয়। মনে হয় যে একটু লবণ বেশি হলে ভালো লাগতো। কারো কারো টক জিনিস খেতে বেশি ভালো লাগে এবং কেউ কেউ এ সময় এক ধরনের আজব স্বাদ অনুভব করে মনে হয় যে মুখের মধ্যে কেউ ধাতব মুদ্রা অথবা কয়েন রেখে দিয়েছে।

৯।ঘ্রাণ শক্তি

এই সময় অনেকের ঘ্রাণশক্তি বেড়ে যায়। অনেক ভালো সুগন্ধি জিনিসও এ সময় ভালো লাগে না মনে হয় গন্ধটা অনেক করা। অনেকে রয়েছে এ সময় তাদের নাকে পচা পচা একটা গন্ধ আসে। এবং তারা আশেপাশে রান্না হলেও সেটি রোগ অন্ধ সহ্য করতে পারে না।

১০।খাবারে অনিহা

অনেকে রয়েছে এই সময় কোন কিছু খেতে পারে না যাই খাই তাতে বমি হয়ে যায় বা বমি বমি ভাব আসে। আগে যেমন সে তৃপ্তি করে সবকিছু খেত এই সময় তার খাওয়ার ওপর একটি অনীহা লক্ষ্য করা যায়।

১১।খাবারের উপর তীব্র আগ্রহ

প্রেগনেন্সির প্রথম দিকে হঠাৎ করে নির্দিষ্ট কোন খাবার খেতে খুব ইচ্ছা করতে পারে। যেমন হঠাৎ করে মনে হতে পারে মিষ্টি খেতে খুব ইচ্ছা করছে আবার অনেকের মনে হতে পারে ঝাল কিছু খেতে ইচ্ছা করছে বিভিন্ন রকম খাবার খেতে এই সময় ইচ্ছা হয়ে থাকে। এগুলো দেখেও আপনারা প্রেগনেন্সির সময়টি চিহ্নিত করতে পারেন।

১২।মাথা ব্যথা

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অনেকের প্রচুর পরিমাণ মাথাব্যথা করতে পারে। এই সময় হরমোনের পরিমাণটা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। তাই বলে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে এসব লক্ষণগুলো যদি আপনার ভিতরে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।

এছাড়াও সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রেগনেন্সিটা একবার চেক করে নেন। কারণ এসব লক্ষণগুলো অনেকের সাথে নাও মিলতে পারে অথবা কারো আলাদা আলাদা সিমটম হতে পারে।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি থেকে থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে যে মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার সাধারণ লক্ষণ হল পিরিয়ড মিস করা।

 কিন্তু পিরিয়ড মিস করায় যে গর্ভবতীর মূল কারণ এ ধারণাটি সব সময় ঠিক নয়। কারণ পিরিয়ড মিস আরো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাই পিরিয়ড মিস হওয়ার পরপরই প্রেগনেন্সি বোঝা মুশকিল।
আমরা অনেকেই পিরিয়ড মিস হওয়ার পরপরই চেকআপ অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে যার ফলে অনেক সময় ভুল রিপোর্ট আসতে পারে। তাই পিরিয়ডের শেষ দিন থেকে ৩৫ থেকে ৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করতে হবে। তাহলেই সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

তাই শুধু পিরিয়ড মিস দেখে প্রেগনেন্সি বুঝা যায় না তার সাথে আরও বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য করতে হবে এছাড়াও ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করেও বোঝা যেতে পারে। বর্তমানে বাজারে এখন প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার এক ধরনের কাঠি বা কিট পাওয়া যায় একে প্রেগনেন্সি কিট বলা হয়ে থাকে। প্রেগনেন্সি ইউরিন কিড দিয়ে যেভাবে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার করবেন।

কিটে রিপোর্ট সঠিক পাওয়ার জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রসাব সংগ্রহ করতে হবে। কারণ সকালবেলার প্রসাব অনেক ঘন হয়ে থাকে। যার ফলপ্রসাবে এইচ সি জি ও হরমোন এর উপস্থিতি অনেক ভালোভাবে বোঝা যায়। কিন্তু এটি যদি আপনি বেশি পানি পান করার পর করে থাকেন তাহলে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে।

এর ফলে প্রথমে আপনি পোশাকটাকে একটি পাত্রে সংগ্রহ করুন সকাল বেলায়। এরপর প্রেগনেন্সি কিটে নির্দিষ্ট স্থানে নমুনা ডিম এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ফলাফল চলে আসবে।

যদি প্রেগনেন্সি কিটে একটি দাগ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট হননি আর যদি দুইটা দাগ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট। আর এভাবেই আপনি মাসিক মিস হওয়ার পর এভাবে ঘরে বসে নিয়েছি পরীক্ষা করতে পারেন।

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব এ সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আমরা আলোচনা করব যে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। প্রচলিত একটি ধারণা আমাদের মধ্যে আজও থেকে গেছে যে পিরিয়ড মিস হওয়া মানে প্রেগনেন্সির লক্ষণ।

 কিন্তু বর্তমান সময়ে বিশেষজ্ঞরা এ ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন তাদের মতে পিরিয়ড মিশ না করেও অনেক মেয়ে গর্ভবতী হয়েছে।
পিরিয়ড মিশ না হলেও এখন বোঝা যায় যে আপনি প্রেগন্যান্ট কি প্রেগনেন্ট না। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই কিভাবে প্রেগনেন্সি বোঝা যায় তার কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো।

১। ঘন ঘন মাথা ব্যথা করার মাথা ঘোরা এগুলো পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে বোঝা যায়।

২। এছাড়াও ঘন ঘন বমি হওয়া অথবা বমি বমি ভাব লাগা এগুলো প্রেগন্যান্সির একটি অন্যতম লক্ষণ।

৩। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অথবা ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। এ সময় হরমোনের একটি পরিবর্তন দেখা যায় যার ফলে এটি ঘন ঘন হয়ে থাকে।

৪। নাকের ঘ্রাণ শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। এ সময় যে কোন ঘ্রাণী তীব্র মনে হয় যার ফলে সে কোন ঘ্রাণী সহ্য করতে পারে না এমনকি রান্না বান্নার ঘ্রাণ ও সে সহ্য করতে পারে না।

৫। এবং কোন কিছু খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা হওয়া। এ সময় কোন কিছু খাওয়ার প্রতি প্রচুর আগ্রহ জন্মায় বা ইচ্ছা জন্মই। আবার অনেক সময় এর উল্টোটাও হয় কোন কিছু খেতে না পারা আগে যেটি খেতে ভালো লাগতো সেটি এই সময় ভালো না লাগা এগুলো থেকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ চিহ্নিত করা যায়।

৬। মুড পরিবর্তন হওয়া। এ সময় গর্ভবতীর মুড পরিবর্তন হতে দেখা যায়। কোন সময় কান্না আবার কোন সময় হাসি এরকম একটা পরিস্থিতি তার ভেতরে তৈরি হয়।

৭। অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা করা। এ সময় হুট করে হরমোন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে এবং হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেক সময় মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।

তাই বলা যায় যে এসব কারণ দেখে আমরা বুঝতে পারি যে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ।

দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝব এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার দ্বিতীয়বার প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝা যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রতিটি নারীর জীবনে একবার করে হলেও প্রেগনেন্সির সময় আসে।

 অনেকের জীবনে আবার দ্বিতীয়বারও আসতে পারে। অনেকে প্রথমবার প্রেগনেন্ট হওয়ার পর বুঝতে পারে না যে সে প্রেগন্যান্ট কি প্রেগন্যান্ট না। আবার অনেকে রয়েছে যারা মনে করে প্রথমবারের যে লক্ষণগুলো হয়েছিল প্রেগন্যান্সির সময় দ্বিতীয়বারেও সে লক্ষণ গুলোই হবে।
এটি একেবারেই ভুল ধারণা প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বারের লক্ষণ কোন সময় এক হবে না দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকবে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
সম্পর্কে।

১।গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে প্রধান লক্ষণ হচ্ছে পিরিয়ড মিস হওয়া। আমরা জানি প্রতিটা মেয়েরই প্রত্যেক মাসে একবার করে পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু কোন বিবাহিত মেয়ের যদি পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মনে করতে হবে যে সে প্রেগন্যান্ট। প্রেগনেন্সি হোক প্রথমবার অথবা দ্বিতীয়বার দুই ক্ষেত্রেই এক।

২।প্রেগনেন্সির আরেকটি লক্ষণ হল পেটে গ্যাস অনুভব করা। প্রেগনেন্সির সময় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রচুর পরিমাণে পেটে গ্যাস হয়। বিশেষ করে এটি খাওয়া-দাওয়া এর উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।

৩।একজন গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে দুইটি স্তন অনেক ভারী এবং ব্যথা অনুভব করে থাকে। এ লক্ষণটি প্রথমবার গর্ভ অবস্থাতেও দেখা যায় এবং দ্বিতীয়বার গর্ববস্তুতেও দেখা যায়। এটি মূলত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে।

৪।ঘনঘন প্রস্রাব হও দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের একটি লক্ষণ। এই সময় মেয়েরা যেখানে দিনে দুই থেকে তিনবার প্রস্রাব করত সেখানে গর্ভাবস্থায় তাবিরের দ্বিগুণ হয়ে যায়। এটির কারণ হচ্ছে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন রকম হরমোন পরিবর্তন হয়।

৫।খাবারের প্রতি অনীহা এবং খাবারের প্রতি তীব্র ইচ্ছা জাগে এই সময। এ সময় নির্দিষ্ট কোন খাবারের প্রতি প্রচুর পরিমাণ আকৃষ্ট বেড়ে যায় অথবা তার উল্টোটাও হতে পারে যে কোন খাবারের প্রতি প্রচন্ড অনীহা তৈরি হয় এগুলো সবই দ্বিতীয় গর্ভধারণের লক্ষণ।

তাই বলা যায় যে প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের সিমটম অথবা লক্ষণগুলো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। আবার কারো কারো আলাদা হয়ে থাকে এটি বিভিন্ন মেয়ের হরমোন বিশেষে পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু এ নিয়ে অনেকেই অনেক সময় চিন্তিত থাকে যে প্রথমবার একরকম পরিবর্তন এবং দ্বিতীয়বার অন্যরকম পরবর্তন এর ফলে।

তাই দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের পর যদি কোন লক্ষণ আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়

আসল কথা বলতে প্রেগন্যান্ট হলে কিভাবে বুঝবো এ সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই জানি কিন্তু প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয় এই নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক রকম মতবাদ রয়েছে। কিন্তু এটির কোন সঠিক উত্তর কারো কাছেই নেই। গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে মাসিক মিস করা এটা আমরা সবাই জানি।

মনে করুন কারো 28 দিন থেকে ৩২ দিনের মধ্যে পিরিয়ড হয়ে থাকে কিন্তু কোন বিবাহিত মহিলার যদি তা না হয় তাহলে বুঝতে হবে সে প্রেগন্যান্ট। আবার কোন বিবাহিত মহিলা যদি ১০ তারিখে পিরিয়ড শুরু হয় তাহলে এটি শেষ হয় ১৫ তারিখের দিকে এই সময় সে যদি চায় ১৫ তারিখে পর মিলন করে জানিতে তাহলে তার দেখা যাচ্ছে ২৬ তারিখের দিকে প্রেগনেন্সি কনফার্ম হয়ে যায়।
এরপর থেকে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে আপনারা হিসাব করুন যে ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ২৬ তারিখ পর্যন্ত কিভাবে কি হয়েছে তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কিভাবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর বা কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়।

সবার ক্ষেত্রে এটি এক নাও হতে পারে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ভাবে হয়। কিন্তু বেশিরভাগই এক ভিন্নতা থাকলেও খুব একটা বেশি থাকে না দুই-তিন দিনের ভিন্নতা থাকতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

আপনারা যদি আপনাদের প্রেগনেন্সির লক্ষণগুলো আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারেন এবং উপকৃত হয়ে হোন। তাহলে দয়া করে এ আর্টিকেলটি অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন এবং তাদেরকেও প্রেগনেন্সির এই সময়টিতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url