গরমে প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি জানুন


গরমে যদি আপনার প্রস্রাব ঠিকঠাক না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনি অবশ্যই একবার পড়ে যাবেন কারণ আমাদের এই আর্টিকেলে প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি এবং দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয়


তাই আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি এ সম্পর্কে উপকৃত হবেন।

সূচিপত্রঃ  গরমে প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি জানুন

প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয়

গরমে প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা যার ফলে গরমে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে এই আর্টিকেল আলোচনা করব যে প্রস্রাব ঠিকঠাক ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ এবং এ সমস্যার করনীয় কি এই সম্পর্কে।
 অনেকের রয়েছে যাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে এই ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পোস্টপেইড বড় হয়ে যাওয়া এই পোস্টপেইড বা মুদ্রথলি বড় হওয়ার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে। ঘনঘন প্রস্রাবের সময় অনেকের ঠিকঠাক ক্লিয়ারলি প্রস্রাব হয় না একটু হওয়ার পর মনে হয় যে সম্পূর্ণ ভাবে হলো না আর এটির মানেই হচ্ছে প্রস্রাব ঠিকঠাক ক্লিয়ার না হওয়া।

 এটির কারণ হচ্ছে মুদ্রথলিতে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু অথবা এর রাস্তায় পাথর হওয়া। বিশেষ করে মুদ্রাথলির রাস্তায় পাথর হওয়ার কারণে অনেক সময় প্রস্রাব আটকে যায় অথবা ভালোভাবে ক্লিয়ার প্রসাব হয় না। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন পানি কম খাওয়া, মুদ্রাথলির রাস্তায় টিউমার হওয়া, অথবা মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন কারনে এটি হতে পারে।

 তাই এটি থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্বপ্রথম কারণ হচ্ছে বেশি বেশি করে পানি খাওয়া কারণ এটি বেশিরভাগ সময় পানিশূন্যতায় কারণেই হয়ে থাকে। এছাড়াও বেশি বেশি করে কাঁচা শসা খোসা সহ চিবিয়ে খাওয়া কাঁচা শসা আমাদের মূত্রথলির রাস্তাকে ক্লিয়ার করে যাতে করে প্রসাব বাইরে বের হতে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়।

 আপনার যদি এগুলোতেও কাজ না হয় তাহলে আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন কারণ প্রস্রাব ঠিকঠাক ক্লিয়ার না হওয়া অনেক খারাপ একটি বিষয় এটি অবহেলা করলে আপনার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।

দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া উচিত

প্রতিটা মানুষেরই প্রতিনিয়ত প্রস্রাব ঠিকঠাক হওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ প্রস্রাব ঠিকঠাক না হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে কিডনিজনিত সমস্যাগুলো বেশি দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি এবং একটি মানুষের দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া উচিত এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা।
 চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে একটি স্বাভাবিক এবং সুস্থ ব্যক্তির দিনে প্রায় ৬ থেকে ৮ বার প্রস্রাব হওয়া উচিত এবং পানির মাত্রা যদি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে তাহলে দিনে চাঁদ থেকে দশ বার হতে পারে। এছাড়া আপনার যদি এর চেয়ে বেশি অথবা ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিস আছে তখন আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডায়াবেটিস চেকআপ করতে হবে।

 বিশেষ করে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ডায়াবেটিস টাইপ 2 এর লক্ষণ তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এ সকল বিষয়ে সচেতন থাকা।

গরমে প্রস্রাব কম হওয়ার কারণ

গরমে প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আপনি যদি উপরের অংশটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

 এছাড়াও অধিকাংশ মানুষেরই গরমকালে প্রস্রাব কম হয়ে থাকে যার ফলে এটি নিয়ে অনেকে অনেক বেশি চিন্তিত থাকে তাই আমরা আজকে এই আর্টিকেল আলোচনা করব যে গরমে প্রস্রাব কম হওয়ার কারণ কি এই সম্পর্কে। গরমে সবচাইতে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে প্রস্রাব কম হওয়া এটি শুধু গরম কালেই লক্ষ্য করা যায়।
 কারণ গরমে তাপমাত্রা বেশি থাকায় এটি আমাদের শরীর থেকে সমস্ত পানি ঘাম আঁধারে বের করে দেয় যার ফলে গরমে আমাদের প্রস্রাব কম হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষেরই প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে দশ বার প্রস্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু এর চেয়ে কম হওয়াটাই হলো অস্বাভাবিক।

 তাই গরমের সময় প্রস্রাব যদি কম হয় তাহলে আপনাকে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে কারণ গরমের সময় পানি পানের উপরে বিকল্প কিছু নেই। গরমের সময় বেশি বেশি করে পানি পান করলে আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক থাকবে এবং প্রস্রাবের মাত্রাটাও ঠিক থাকবে।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক?

আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন ঠিক ভাবে প্রস্রাব হচ্ছে কিনা এই বিষয়টিতে খেয়াল করা কারণ প্রস্রাব হওয়াটা এটি পুরোপুরি কিডনির সাথে নির্ভরশীল আপনার যদি প্রতিদিন ঠিকঠাক মতো প্রস্রাব না হয় তাহলে এটি কিডনির উপরে প্রভাব ফেলে।

 তাই কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক? এই সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ফলে তেমন কোন সমস্যা হয় না তবে যদি প্রস্রাব কম হয় তাহলে বেশি সমস্যা হয়।
 স্বাভাবিকভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে 6 থেকে 8 বার একটি মানুষের প্রস্রাব হওয়া উচিত এবং পানির মাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে চার থেকে দশ বার হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

 কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুকোজ তৈরি হয় এবং কিডনি এগুলো কতগুলো কে ফিল্টার এবং শোধন করে কিন্তু একটা সময় গিয়ে এটি আর সম্ভব হয় না তখন এগুলো তরল আকারে প্রস্রাব হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।

 যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা ঘন ঘন প্রস্রাব করে থাকে। তাই কেউ যদি দিনে ৭ থেকে ১০ বারের বেশি প্রস্রাব করে তাহলে বুঝতে হবে তা মধ্যে ডায়াবেটিসের লক্ষণ রয়েছে।

প্রস্রাব কম হলে করনীয়

প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে করনীয় হিসেবে যেমন বেশি বেশি করে পানি পান করতে হয় তেমনি প্রস্রাব কম হলে করনীয় হিসেবে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। কারণ আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকার কারণে প্রস্রাব কম হয়ে থাকে তাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং আঁশ জাতীয় বিভিন্ন রকম খাবার খেতে হবে।
 অনেকের কিডনিতে অথবা মুদ্রথলিতে পাথর হওয়ার কারণ প্রস্রাব কম হয়ে থাকে বা ক্লিয়ার হয় না তাই এ ধরনের রোগী্র বেশি বেশি করে কাঁচা শসা খাওয়া দরকার কারণ কাঁচা শসাতে থাকা কস পাথরকে দূর করে এবং প্রস্রাবকে বাইরে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।

 তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনার যদি প্রস্রাব কম হয় তাহলে আপনাকে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং এরপরও যদি প্রস্রাব স্বাভাবিক না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি গরমে প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং এ ধরনের সকল রকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url