টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ-টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
প্রিয় পাঠক আপনি যদি টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি? এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের
লক্ষণ কি? এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ এই
আর্টিকেলে আমরা টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সকল লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছি।
এছাড়াও ডায়াবেটিসের মাত্রা কত হলে ভালো এবং কত হলে খারাপ এ সম্পর্কেও আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
সূচিপত্রঃ টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ-টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
আপনি যদি টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই
অংশটি পড়ুন।বর্তমান সময়ে সবচেয়ে সাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী একটি অসুখ হচ্ছে
ডায়াবেটিস। গবেষণায় দেখা গেছে ১০০% মানুষের মধ্যে প্রায় ৭০% এরও বেশি মানুষ
এখন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
এটি এমন একটি রোগ যার তেমন কোন ওষুধ নেই এবং এটি যার একবার হয় তার কোনদিন
ভালো হয় না। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের যেকোনো অসুখ হলে তা সহজে ভালো হয় না।
ডায়াবেটিসের লক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন টাইপ-১ এবং টাইপ-২। টাইপ-১
ডায়াবেটিসটি ছোট ছোট বাচ্চা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে।
তাই আমরা আজকে আপনাদেরকে জানাবো যে কোন কোন লক্ষণ দেখে আপনারা ডায়াবেটিস
টাইপ-১ বুঝতে পারবেন। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্ষুদাবৃদ্ধি,
দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, শরীরে ক্লান্তি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। টাইপ-১
ডায়াবেটিস রোগীরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে থাকেন যেমন স্টক, কিডনি,
চোখের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, হৃদরোগ ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস কারো একবার হলে এটি আর ভালো হয় না এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
যদি কারো টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয় তাহলে তার রক্তে গ্লুকোজ এবং রক্তচাপ আগের চেয়ে
অনেক বেড়ে যায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
বর্তমান সময়ে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ এর সাথে সাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলো এমন
একটি রোগ যার বিশেষ কোনো ওষুধ নেই এবং যে ওষুধ রয়েছে সেগুলো ডায়াবেটিস কে আগের
চেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিসকে দুই ভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে টাইপ-১
ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস। কোন কোন লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে
আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ চোখের রেটিনা ভালো রাখার উপায়
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব, ওজন কমে যাওয়া, বেশি ক্ষুধা
লাগা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, অতিরিক্ত পিপাসা লাগা, শরীরের যেকোনো ক্ষত সহজে না
শুকানো, যেকোনো অসুখ একটুতেই বেশি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। টাইপ-২ ডায়বেটিসটি
যেকোনো বয়সে যে কোন মানুষের হতে পারে।
এটি বিশেষ করে ৪০ বছরের পরে ব্যক্তিদের বেশি হয়ে থাকে। যদি আপনার ডায়াবেটিস
পজিটিভ হয় তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাহলে তারা
আপনাকে খাওয়া দাওয়ার কিছু নিয়ম এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে বলবে যার ফলে আপনার
ডায়াবেটিস অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা এটি বর্তমান সময়ে যে
কারো হতে পারে তাই এতে ভয় না পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলাফেরা করলেই
ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনি ভালো থাকবেন।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
ডায়াবেটিসের লক্ষণ দুই প্রকার একটি হলো টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং আরেকটি
হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী একটি রোগ
হচ্ছে ডায়াবেটিস। এটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। বিশেষ করে চল্লিশ এর উপরে
যাদের বয়স তাদের এ রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
যার ফলে অনেকে অনেক সময় চিন্তিত থাকে যে তার ডায়াবেটিস আছে কিনা।
ডায়াবেটিসের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে বোঝা যায় যে কারো ডায়াবেটিস আছে
কিনা। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে কোন কোন লক্ষণ
দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কারো ডায়াবেটিস আছে কিনা।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব করা, শরীর দুর্বল লাগা, পানি
পিপাসা লাগা, ঘন ঘন খুদা লাগা, মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি হওয়া,
শরীরে কোন কাটা ছেঁড়া হলে দীর্ঘদিন সেটি ঠিক না হওয়া, চোখে কম দেখা ইত্যাদি
লক্ষণ।
কারো মধ্যে যদি এই সকল লক্ষণ দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে তার ডাইবেটিস আছে।
এছাড়া আপনারা যদি এগুলোতে বিশ্বাসী না হন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
ডায়াবেটিস চেক করতে পারেন এতে করেও আপনারা হতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিস আছে
কি না।
তাই বলা যায় যে আপনি যদি এ সকল লক্ষণ আপনার মধ্যে অনুভব করেন তাহলে বুঝতে
হবে আপনার ডায়াবেটিস রয়েছে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে এই আর্টিকেলের
উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করব যে
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ হয়। ডায়াবেটিস এই রোগটি সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ
হয়তোবা খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে।
কারণ বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগটি হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ একটি রোগ। এই
রোগটি যার একবার হয় তার আর কোনদিন এটি ভালো হয় না। তবে খাদ্য পরিবর্তন এবং
নিয়ম-নীতির মধ্যে থাকলে এই রোগটিকে হলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ বডি ফিটনেস ঠিক রাখার সেরা ৮টি উপায়
অনেকে রয়েছে যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং শত চেষ্টা করেও তার
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ডাইবেটিস দশের উপরে গেলে সেটি বিপদজনক বলে
ধরা হয়।
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হার্ট
অ্যাটাক, স্টক, ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি বিভিন্ন রকম রোগ। তাই আপনার ডায়াবেটিস যদি
১০ এর উপরে হয়ে থাকে তাহলে এটি বিপদজনক একটি অবস্থা।
ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার
ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। শারীরিক
সুস্থতার জন্য প্রত্যেকেরই ব্লাড সুগার স্বাভাবিক মাত্রায় থাকা উচিত। কিন্তু
শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণ অতটা সহজ নয় কারণ ব্লাড সুগারের মাত্রা এবং পরিমাণ
বয়স শারীরিক গঠন এবং জেন্ডার ভেদে পরিবর্তন হয়।
অনেকেই জানে না যে ডায়াবেটিসের বা ব্লাড সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা কত তাই আজকে
আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে ব্লাড সুগারের বা ডায়াবেটিসের
স্বাভাবিক মাত্রা কত। ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক মাত্রা খালি পেটে 5.5 এবং
খাওয়া-দাওয়ার পর ভরা পেটে ১০ এর নিচে ভালো।
আরো জোরে এর চেয়ে বেশি অথবা কম ডাইবেটিস হয় তাহলে বুঝতে হবে তার ডায়াবেটিসটি
স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এছাড়াও যদি ডায়াবেটিস অতিরিক্ত থাকে
তাহলে আপনারা চাইলে ইন্সুলেন্স নিতে পারেন এতে করে ডায়াবেটিসটি স্বাভাবিক
পর্যায়ে আসে।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং আর্টিকেলটি অন্যদেরকে
শেয়ার করে তাদেরকেও এ সম্পর্ক উপকৃত করুন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url