খুসখুসে এবং এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়


প্রিয় পাঠক আপনি যদি খুসখুসে এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে আপনার কাশি ভালো করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলে আমরা খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়


তাই আপনি যদি আপনার এই বিরক্তকর কাশিকে দূর করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা একবার পড়ুন আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

সূচিপএঃ খুসখুসে এবং এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়

এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়

যাদের এলার্জিজনিত কাশি হয় তাদের প্রত্যেকের উচিত এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হচ্ছে এলার্জি প্রায় ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯০ জনারই এলার্জির সমস্যা রয়েছে। এলার্জিজনিত ঠান্ডা সর্দি কাশি আমাদের প্রত্যেকেই প্রায় লেগেই থাকে।
 আর এসব এলার্জির জন্য আমরা অনেক সময় অনেক রকমের ওষুধ সেবন করে থাকি তারপরও আমাদের এলার্জি জনিত এ সকল সর্দি কাশির কোন সমাধান পাই না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এলার্জিজনিত কাশি দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে বলবো।

১। যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে শীতকাল এলেই তাদের আরো বেশি সমস্যা শুরু হয়। তাই শীতের সময় বাইরে গেলে চেষ্টা করবেন মার্কস পরিধান করা। কারণ শীতের সময় বায়ুমন্ডলে অসংখ্য ধূলিকণা এবং জীবাণু মিশে থাকে যা এলার্জির রোগীদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

২। এবং সব সময় পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন কমলালেবু, মাল্টা, টবেরই, পেয়ারা ইত্যাদি ফলমূল বেশি বেশি করে খেতে হবে।

৩। এছাড়া এলার্জির কারণে আপনার যদি সর্দি কাশি বেশি হয় তাহলে আপনি চাইলে গরম পানির করে এটির ভাব নিতে পারেন এতে করে আপনি অনেকটা আরাম পাবেন।

৪। বেশি বেশি করে লং এবং আদা দিয়ে চা খাবেন এতে করে আপনি কাশি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।

৪। এবং সব সময় নিজের জামা কাপড় আসবাবপত্র ইত্যাদি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন যাতে করে কোন রকম ধুলাবালি অথবা জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।

৫। এছাড়া বৃষ্টির সময় এই ভাইরাসটি অনেক বেশি ছড়িয়ে থাকে তাই আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি বৃষ্টির সময় বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি অ্যালার্জিজনিত সর্দি কাশি দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই সকল নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং আলোচনা করব। সবচেয়ে সাধারণ একটি রোগ হচ্ছে কাশি এটি প্রত্যেকেরই কম বেশি হয়ে থাকে।

 এটি যে কোন সময় যে কারো হয়ে থাকতে পারে বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গরমের সময় পার হওয়ার পর শীতের সময় আসা এবং শীত শেষে আবার গরম আশার সময় এই রোগটি দেখা যায়।
 এই খুসখুসে কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অনেকে অনেক রকম কাশির সেরা খেয়ে থাকে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে কিন্তু তারপরও তাদের কাশি অনেক সময় ভালো হয় না। আর তাই আমরা এখানে আলোচনা করব যে কিভাবে ফুসফুসে বিরক্ত কর কাশি থেকে খুব তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
  • মধু
শুকনো এবং খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপকরণ হচ্ছে মধু। শুকনো এবং খুসখুসে দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে মধু খাবেন এতে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে। কারণ মধ্য দিয়ে রয়েছে এক ধরনের এনজাইম যা কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
  • বিভিন্ন রকমের মসলা চা
তেজপাতা, কালো মরিচ, দারচিনি, লং, আদা এবং বেশি করে লিকার দিয়ে করা করে যদি একটি মসলা চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার যেকোন রকমের কাশি খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে। এ ধরনের মসলা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন সকালে এবং রাত্রে একবার করে খাওয়া।
  • কালো মরিচ
শুকনো কাশির জন্য কালো মানুষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ওষুধ হিসেবে কালো মরিচের গুনাগুন অত্যন্ত ভালো। খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য প্রতিদিন এক চামচ কালো মরিচ গুঁড়ো সেবন করুন।
  • গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা
আপনার যদি খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি সবসময় গরম পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার কাশি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। এবং প্রতিদিন দিনে দুই থেকে তিনবার গরম পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে ভালো করে কুলকুচি করুন এতে করে সকল রকম ভাইরাস দূর হয়ে যাবে এবং কাশি ও ভালো হয়ে যাবে।
  • আদা এবং লেবুর মিশ্রণ
অনেক অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই আদা এবং লেবু বিশেষ করে শুকনো এবং খুসখুসে কাশির প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। লেবুতে রয়েছে এক ধরনের সাইট্রিক এসিড যার আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

 তাই আপনার যদি শুকনো এবং খুসখুসে কাশি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে এর ভেতরে আদা কুচি এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে গরম করে খেতে পারেন এতে করে আপনি গলায় অনেক আরাম পাবেন এবং খুসখুসে কাশি দূর হবে।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার এই অংশে রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। রাতে ঘুমানোর সময় কাশি হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও বিষয়টি একদম বিরক্ত কর একটি বিষয় কারণ রাতে ঘুমানোর সময় যদি কাশি হয় তাহলে ঘুমের অনেক ব্যাঘাত ঘটে যার কারণে সকালে কোন কাজে আমাদের মন বসে না।
 তাই আমাদের উচিত তো তাতে সম্ভব এই কাশিটিকে দূর করা। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করব যে কিভাবে রাতে কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১। ঘুমোনোর আগে জল এবং লবণ পানি দিয়ে ভালোভাবে গার্গল করুন কারণ লবণ পানি গলার বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে থাকে।

২। এছাড়াও ঘুমানোর আগে লেবু এবং মধু উসুম কুসুম গরম পানিতে দিয়ে পান করুন এটি আপনার গলা ব্যথা এবং গলায় শুকনো কাশি থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

৩। তেজপাতা, কালো মরিচ, দারচিনি, লং, আদা এবং বেশি করে লিকার দিয়ে করা করে যদি একটি মসলা চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার যেকোন রকমের কাশি খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে। এ ধরনের মসলা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন সকালে এবং রাত্রে একবার করে খাওয়া।

৪। এবং রাতে বিছানায় শোয়ার সময় সব সময় বিছানার চাদর এবং আসবাবপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখবেন কারণ কারো যদি এলার্জির প্রবলেম থাকে তাহলে ময়লা এবং জীবানুর কারণে কাশি হতে পারে।

কফ কাশি দূর করার উপায়

কফ এবং এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান এবং আপনার কাশি ভালো করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে এবং কিছু ঘরোয়া উপায় ফলো করতে হবে। এলার্জি জনিত কাশি এবং কফ কাশি দুটো ভিন্ন ধরনের।

 এলার্জি জনিত কাশিতে কোনরকম কফ বা থুতু আসে না এটি একপ্রকার শুকনো কাশি কিন্তু কফ কাশিতে প্রচুর পরিমাণে থুতু এবং কফ বের হয়। তাই আজকে আমরা কফ কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১। কাশির সাথে সাথে যদি কফ আসে এবং সর্দি লাগে তাহলে এটি দূর করার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে কফকে বাইরে বের করে ফেলা। যতবারই কাশি হবে আপনি কফকে ভেতরে জমতে দিবেন না বারবার থুতুর সাথে বাইরে বের করে দেবেন এতে করে ধীরে ধীরে আপনার কফ কাশি ভালো হয়ে যাবে।

২। সব সময় গরম গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন কফকাশি হওয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারণ হচ্ছে ঠান্ডা লাগা তাই তিন বেলাতেই গরম পানি এবং গরম খাবার খাবেন।

৩। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে দুইবার করে কুসুম কুসুম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন এতে করে আপনার ভেতরের কফগুলো বাইরে বেরিয়ে আসবে।

৪। বেশি বেশি করে লং এবং আদা দিয়ে চা খাবেন এতে করে আপনি কাশি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।

লেখকের মন্তব্য

খুসখুসে এবং এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাই আর্টিকেলটি পড়ে তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি তো অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করুন। এবং এ ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাথে যুক্ত থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url