অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায়-কর্মঠ হওয়ার উপায়


আপনি যদি অলসতা থাকে দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানতে হবে আর এই সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি অলসতা কে দূর করে কর্মঠ হওয়ার উপায় খুঁজে পাবেন।

অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায়


তাই আপনি যদি অলসতাকে দূর করে জীবনের সফল হতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল আপনাকে সম্পূর্ণটা পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায়-কর্মঠ হওয়ার উপায়

অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায়

মানুষের জীবনে অলসতা হলো একটি খারাপ অভ্যাস তাই অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় গুলো মেনে চলতে হবে কারণ যার অলসতার অভ্যাস রয়েছে সে কোনদিন জীবনে সফল হতে পারে না এবং কোন কাজ করতে পারে না তা সারা জীবন অলসতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যায়।
 ইসলামে বলা হয়েছে একজন মুমিন বান্দা কখনো অলসতাকে প্রশ্রয় দেয় না যারা মুনাফিক তারাই অলসতাকে প্রশ্রয় দেয় এবং প্রতিটা কাজে অলসতা করে। ফজরের নামাজের সময় শয়তান আমাদের মাথার কাছে তিনটি গিট দিয়ে দেয় যাতে আমরা ফজরের নামাজ পড়তে না পারি। এবং তারা প্রতিনিয়ত বলতে থাকে যে ঘুমাও আরো অনেক টাইম আছে ফজরে।

 হাদিসে রয়েছে কোন বান্দা যদি সে সময় বিছানা থেকে উঠে তাহলে তার এক গিট খুলে যায় এবং অজু করার পর আরেকটা গিট খুলে যায়। এভাবে করে যখন সে নামাজে দাঁড়ায় তখন তিনটি গিট খুলে যায় এবং সে অলসতা থেকে মুক্তি পায়।

 অলসতা থেকে দূর হওয়ার জন্য ইসলামিক ভাবে কয়েকটি উপায় রয়েছে তা হলঃ ফজরের নামাজ পড় সূরা আর রহমান পাঠ করতে হবে সূরা রহমানের মাধ্যমে বান্দার মনে প্রশান্তি বারে এবং সে অলসতা থেকে দূরে থাকতে পারে।

এছাড়াও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়লেও মানুষ অলসতা থেকে দূরে থাকতে পারে। কারণ হাদিসে বলা হয়েছে যে বান্দা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়ে তাহলে তার মধ্যে সকল জনতা এবং অলসতা কেটে যায়। এবং সে অনেক কর্ম হয়ে যায়।

কর্মঠ হওয়ার উপায়

আপনি যদি অলসে তাকে দূর করে কর্মঠ হতে চান তাহলে অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে কারণ অলসতা দূর করার অনেক ভালো ভালো উপায় সম্পর্কে ইসলামে বলা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার অলসতাকে দূর করতে পারবেন। প্রতিটি মানুষেরই কর্মঠ হওয়া অথবা নিজের কাজের সম্পর্কে যত্নশীল হওয়াকে বুঝাই।

 কর্মঠ হওয়া প্রতিটি মানুষের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ একজন কর্মঠ মানুষই পারে তার কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছাতে। কর্মঠ হওয়ার উপায় হচ্ছে অলসতা থেকে নিজেকে দূরে রাখা। কারণ কর্ম খাওয়ার পিছনে অলসতা একটি অনেক বড় বাধা।
তাই আমাদের সবসময় অলসতা থেকে দূরে থাকতে হবে। কর্মঠ হতে গেলে শুধু অলসতা থেকে দূরে থাকলেই হবে না। তার সাথে প্রয়োজন হল আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল থাকা। কারণ আপনি যদি শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ না থাকেন তাহলে আপনি কোন কাজে ঠিক ভাবে করতে পারবেন না। তাই আমাদের সব সময় শারীরিকভাবে অমানুষিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

তার জন্য প্রয়োজন প্রতিনিয়ত ঘুম, ভালো ফলমূল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা ইত্যাদি। যার ফলে আমাদের শরীর ও মন অনেক ভালো থাকে এবং আমরা চাইলেই যে কোন কাজ অনেক ভালো হবে করতে পারি। তাই বলা যায় যে কর্মঠ হওয়ার জন্য এ সকল গুন থাকা খুবই প্রয়োজন।

অলসতা দূর করার উপায়

অলসতা দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ইসলামিক উপায় কারণ ইসলাম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তাই কেউ যদি অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় গুলো মেনে চলে তাহলে সে অবশ্যই অলসতাকে দূর করতে পারবে। অলসতা হল মানুষের মধ্যকার এক ধরনের খারাপ দিক যা মানুষকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা দেয়।

 অলসতা হল সেই শত্রু যা আমরা আমাদের শরীরের মধ্যে পুষে রেখেছি। আর এই সূত্রগুলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ ও স্বপ্নগুলোকে দিন সপ্তাহ মাস ও বছর অব্দি পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। সফলতার পথে এটি হল সেই শত্রু যা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছে।
যার ফলে আমরা জীবনে কোন উন্নতি করতে পারি না। আমাদের জীবনে যে কোন কাজ আজ করব কাল করব বলে আমরা অলসতা করি। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় অলসতা। তাই এই অলসতা দূর করার জন্য প্রয়োজন নিজের কাছে নিজেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করা। অলসতা দূর করার জন্য এটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী উপায়।

মনে করেন আপনি প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করবেন কিন্তু সকালে উঠতে পারেন না। তাহলে আপনি আপনার ব্রেনে একটা সিগন্যাল দিবেন যে আপনি বেশি না দুই মিনিট করে ব্যায়াম করবেন এবং তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়বেন। তাহলে আপনার মনে হবে যে এটা তেমন কোনো কাজ নয় দুই মিনিটই তো মাত্র।

এভাবে আপনি এক সপ্তাহ পর আরো দুই মিনিট কয়েকদিন পর আরো দুই মিনিট এভাবে করে সময় বাড়াবেন। এক সময় গিয়ে দেখবেন যে আপনার সময় অনেক বেড়ে গেছে এবং আপনি অলসতা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন।

কোন কাজ একটু পরে করব অথবা কাল করবো বলে ফেলে রাখা যাবে না যখন কার কাজ তখনই সম্পূর্ণ করতে হবে তাহলে আমরা অলসতাকে নিজেদের জীবন থেকে দূর করতে পারবো। এবং যেকোনো কাজ করার সময় গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। তাহলে আমরা অলসতাকে দূর করতে পারবো।

অলসতার কারণ কি

অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার অলসতার কারণ কি এই সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হলো মানুষের মনের ও শরীরের একটি মানসিক ব্যাধি।
 যার কোন বাহিক চিকিৎসা বা ওষুধ নেই। এটি এমন একটি ব্যাধি যা মানুষকে তার কাঙ্খিত লক্ষ এবং স্বপ্ন থেকে দূরে ঠেলে দেয়। অলসতা কি এবং কি কারনে হয় এটি আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন।

মনে করো তুমি পড়ার টেবিলে বসে পড়তে বসেছ কিন্তু তোমার পড়তে মন বসছে না কারণ এটি করে তুমি কোন মজা পাও না বা ভালো লাগে না। কিন্তু তুমি একই সময়ে একই জায়গায় বসে যদি ফোনে গেম খেলো, অনলাইনে চ্যাটিং কর, ফেসবুক চালাও তখন কোন রকম অলসতা কাজ করে না কারণ তুমি এটাতে অনেক মজা পাও এবং ভালো লাগে।

যার ফলে তোমার মধ্যে কোনরকম অলসতা কাজ করে না। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে অলসতা কাজ করে। কোন কাজ করতে গেলে যেমন মনে করো কাল তোমার বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ডেট আছে কিন্তু তুমি মনে করছ সমস্যা নেই আরো তো দুই দিন বাকি আছে শেষ ডেটে গিয়ে দিব এটি হলো অলসতা। যখন কার কাজ তখন করতে হয় বেশি সময় পার করলে তাকে অলসতা বলে।

অলসতা কাটিয়ে সফল হওয়ার উপায়

অলসতা দূর করার ইসলামিক উপায় গুলো মেনে চললেই আপনি খুব সহজেই অলসতা কাটিয়ে সফল হওয়ার উপায় খুঁজে পাবেন। অলসতা হচ্ছে একটি মানসিক ব্যাধি যা মানুষকে সফল হতে দেয় না মানুষকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেয় না। অলসতা মানুষকে তার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়।

 কোন মানুষ একটি কাজ করবো বলে কাল করে কাল করবো বলে পশু দিন করে এগুলোকেই অলসতা বলে। অলসতা কে কাটিয়ে সফল হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে মানতে হবে। যেমন ধরা যাক আপনি দিনে দশটি করে সিগারেট খান আপনি কোনভাবেই এটি কমাতে পারছেন না।

 তখন আপনি যা করবেন তা হলো প্রতিদিন একটি করে সিগারেট কম খাবেন এভাবে করে প্রতিদিন একটি করে কমালে 10 দিনে গিয়ে আপনার সিগারেট না খেলেও চলবে। আর এভাবে আপনি আপনার বহুদিনের অভ্যাসকে ত্যাগ করে দেখতে পারেন এবং নিজের জীবনকে সফল করতে পারেন।
অলসতা কাটানোর জন্য প্রথমে নিয়মিত একটি রুটি নিয়ে আসতে হবে। এবং সে রুটিনটি সবসময় মেনে চলতে হবে কখনো ভুল করা যাবে না। এভাবে কিছুদিন রুটিনটি মেনে চললে এই কাজটি তার অভ্যাসে পরিণত হবে এবং সে নিজের অজান্তেই অলসতাকে দূর করতে পারবে। এবং সে তার জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে বা তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এবং সফল হতে পারবে।

লেখকের মন্তব্য

আমরা এই পাঠে অলসতা দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যার মাধ্যমে একজন মানুষ খুব সহজেই নিজের অলসতা কে কাটিয়ে জীবনের সফল হতে পারবে। আর তাই আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url