অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় কি? জানুন


প্রিয় পাঠক আপনি যদি অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় এবং পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকেরে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়


তাই আপনি যদি অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানতে চান এবং পরীক্ষায় ভালো একটি রেজাল্ট করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি একবার পড়ুন।

সূচিপএঃ অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় কি? জানুন

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়

বর্তমানে প্রতিটি শিক্ষার্থী অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানতে চাই যাতে করে সে পরীক্ষায় একটি ভালো রেজাল্ট করতে পারে এবং বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য যে পরিমাণ পড়াশোনা পেছনে শ্রম দিতে হয় বর্তমানে কোন শিক্ষার্থী সে অনুযায়ী পড়াশোনা করতে চাই না। কারণ তারা পড়াশোনা কে বোরিংনেস একটি বিষয় মনে করে।
কিন্তু তারপরও তারা চাই যে পড়াশোনা না করে বা অল্প পড়াশোনা করে যেন ভালো রেজাল্ট করতে। তাই আজকে আমরা সেইসব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো যারা অল্প পড়াশোনা করে এবং একটি ভালো রেজাল্ট করতে চাই তার জন্য যা যা করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল।
  • যেকোনো পড়া বুঝে পড়া
তুমি যদি কম পড়ে ভালো একটি রেজাল্ট করতে চাও তাহলে তোমাকে যে কোন পড়ামুখস্ত না করে সেটি বুঝে পড়তে হবে। কারণ মুখস্ত করতে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং অনেক বেশি পড়াশোনা করা লাগে।

আর তুমি যদি সে পড়াটি বুঝে পড়তে পারো বা বুঝতে পারো তাহলে তোমার সময়টা বাজবে এবং তুমি পড়াটা অনেকদিন মনে রাখতে পারবে। তাই যেকোনো পড়ার মুখস্ত করার আগে বুঝে পড়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • খাতায় লেখার অভ্যাস করা
পড়াশোনা করার সময় যেটা তুমি পড়বে সেটি খাতায় লেখার একটি অভ্যাস গড়ে তুলবে এতে করে তোমার হাতের লেখার স্পিড টা অনেক বাড়বে এবং তুমি যে কোন পড়া কম পড়ে মনে রাখতে পারবে। এছাড়াও এর ফলে পরীক্ষা দেয় তোমার লেখার স্পিড অনেক বেড়ে যাবে এবং তুমি অনেক ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারবে।
  • প্রতিদিনের প্রতিদিন করা
প্রতিদিন নিয়মিত বিদ্যালয় যেতে হবে এবং প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে ফেলতে হবে আজকের পড়া কালকে করব এরকম করে ফেলে রাখলে পড়া অনেক জমে যায় এবং পরে তার শেষ করা যায় না। যার ফলে প্রতিদিনকার পরা প্রতিদিন শেষ করলে অনেক বড় সেলেবাসও খুব কম সময়ে শেষ করে ফেলা যায় এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায়।
  • রুটিন তৈরি করা
পড়াশোনা করার জন্য সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে নিয়মিত একটি রুটিন তৈরি করে ফেলা। পড়াশোনা করার সময় যদি তোমার কোন রুটিন না থাকে বা তুমি কোন রুটিন মেনে পড়াশোনা না করো তাহলে তুমি সারাদিন পড়েও সেই পড়া শেষ করতে পারবে না। তাই প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়ার একটি রুটিন তৈরি করে ফেলো এতে করে তোমার পড়ার চাপ অনেক কমে যাবে।

আর এভাবে পড়াশোনা করলে একটি ছাত্র খুব সহজেই এবং অল্প পড়াশোনা করি পরীক্ষায় খুব ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারে।

পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার কিভাবে পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি নিতে হয় এ সম্পর্কে এই অংশে আলোচনা করা হবে। পরীক্ষার রাতগুলো একজন শিক্ষার্থীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। অনেকে পরীক্ষা সময় এই রাতগুলোকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারে না।

 আবার অনেকে রয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে অনেক বেশি পড়াশোনা করে যার ফলে পরের দিন পরীক্ষার খাতায় কিছু লিখতে পারে না। বেশি রাত জাগার ফলে পরের দিন পরীক্ষার হলে গিয়ে ঘুম ঘুম কাজ করে যার ফলে পরীক্ষায় কিছু লিখা যায় না।
 একজন মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন কারো যদি এই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে তার যেকোনো কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে কিভাবে আপনারা পরীক্ষার আগের রাতে পড়াশোনা করবেন এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবেন।

রাত পেরোলে যেহেতু পরীক্ষা তাই পরীক্ষার আগের রাতে নতুন করে কোন কিছু করার প্রয়োজন নেই। আগে যেগুলো পড়েছেন সেগুলোই বারবার করে রিভাইস দিতে থাকুন। কারণ এই সময় নতুন কিছু করলে সেটি মনে নাও থাকতে পারে এবং আগের পড়াগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় নতুন করে কোন কিছু করার প্রয়োজন নেই।

পরীক্ষার আগের রাতে তো তাড়াতাড়ি সম্ভব শুয়ে পড়া উত্তম বিশেষ করে রাত দশটা এগারোটার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। এবং পরীক্ষার আগের রাতে সব রকম ভাজাপোড়া এবং তেলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কারণ অনেকে রয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর সকালে পেটে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় এবং যার ফলে পরীক্ষা দিতে পারেনা। পরীক্ষার আগের রাতে হার্ট বোর্ড পেন্সিল ফাইল এডমিট ইত্যাদি সকল জিনিসপত্র ভালোভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে যাতে করে সকালবেলায় খুঁজে পেতে কোন সমস্যা না হয়।

অনেকে রয়েছে সকালবেলায় দেরি করে ওঠে এবং আর বোর্ড পেন্সিল এডমিট ইত্যাদি খুঁজতে খুঁজতে পরীক্ষার টাইম চলে যায় তাই এসব জিনিস পরীক্ষার আগের রাতেই ভালোভাবে সামলে রাখতে হবে।

ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে তারপর আগের পড়া গুলো আবার ডিভাইস করে নিতে হবে এবং সময়মতো রেডি হয়ে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। আর এভাবেই একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আগে রাতে প্রস্তুতি নিতে হবে।

না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করব

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় এবং না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করব এই দুটি কথার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও কথা দুটির মানের প্রায় একই। না পড়ে পাশ করা কথাটি শুনতেই কেমন একটি আজব মনে হচ্ছে।

 কথাটা আজব হলেও সত্য কারণ বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা চাই না পড়ে পাশ করতে। যারা এমন চিন্তা ভাবনা করে তারা হয়তো বা একটু অলস প্রকৃতির শিক্ষার্থী কারন তারা চায় যে কোন রকম পরিশ্রম না ছাড়ায় আমি কিভাবে পাশ করতে পারবো।
তাই আজকে তাদের জন্য আর্টিকেলটি যারা না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করতে চাই।
  • নিয়মিত ক্লাস করা
তুমি যদি পরীক্ষায় না পড়ে পাশ করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই নিয়মিত বিদ্যালয় যেতে হবে এবং নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। অনেক শিক্ষকরা বলেন যে যে শিক্ষার্থী প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকবে তারা কোনদিন ফেল করবে না।

তাই তুমি যদি প্রতিদিন ক্লাস করো তাহলে তোমার বাসায় এসে কোন পড়াশোনা করা লাগবে না ক্লাসেই তোমার পড়া শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে তুমি খুব সহজে পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে।
  • নোট করা
না পড়ে পাশ করার আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে যে কোন কিছু নোট করা। প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে এবং ক্লাসে শিক্ষকরা কি বলছে সেসব কথাগুলো ভালো হবে একটি খাতায় নোট করতে হবে।

কারণ শিক্ষকরা ক্লাসে যেগুলো পড়ায় সেগুলোই বেশিরভাগ পরীক্ষাতে আসে যার ফলে তুমি যদি সেগুলো আগে থেকেই নোট করো তাহলে তোমাকে বেশি পড়াশোনা করা লাগবে না তুমি অল্প করে পাস করতে পারবে।
  • কৌশলে পড়া
পরীক্ষায় একেবারে কেউ না পড়ে পাশ করতে পারেনা পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে একটু হলেও অন্তত পড়া লাগবে বিশেষ করে পরীক্ষার রাতে। পরীক্ষার আগের দুই দিন বা একদিন আগে বইয়ের মূল পড়াগুলো ভালো করে পড়ে নিন এবং প্রত্যেকটা টপিক একটু করে ধারণা রাখুন এবং এর বৈশিষ্ট্য গুলো একটু পড়ুন।

এর ফলে পরীক্ষার হলে আপনি কিছু না হলেও ওই সম্পর্কে কিছু পরীক্ষায় আসলে আপনি বানিয়ে লিখতে পারবেন যার ফলে আপনি পাস করতে পারবেন।
  • সব প্রশ্নের উত্তর করা
পরীক্ষায় পাশ করার একটি ভালো উপায় হচ্ছে পরীক্ষার খাতায় কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না। তুমি যদি না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করতে চাও তাহলে কোশ্চেনের কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসতে হবে।

যদি উত্তর ভুল হয় তারপরও কোন সমস্যা নেই কারণ খাতাতে বেশি লেখা থাকলেই শিক্ষকরা সেখানে নাম্বার দিবে। এর ফলে প্রতিটা বিষয়ে যদি দুই এক করে নাম্বার ও দেয় তাহলেও তুমি পাস করে যাবে।
  • সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা
পরীক্ষায় না পড়ে পাশ করার আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে খাতায় প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে উপস্থাপন করা। অনেক রয়েছে খাতায় সব প্রশ্নের উত্তর ভালো হবে লিখে আসে কিন্তু তারপরেও সে নাম্বার পায় না কারণ তার উপস্থাপন ভালো না।

তাই তুমি যদি কোন কিছু নাও পারো তারপরেও খাতায় প্রতিটা প্রশ্ন ভালভাবে উপস্থাপন করে আসবে। যার ফলে শিক্ষকরা অনেক সময় খুশি হয়েও কিছু নাম্বার দিতে পারে।

পরীক্ষার হলে কি কি নিয়ে যেতে হয়

পরীক্ষায় অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে পরীক্ষার হলে কি কি নিয়ে যেতে হয়। পরীক্ষায় একটি ভালো রেজাল্ট করার জন্য শুধু পড়াশোনা করলেই হয় না তার সাথে পরীক্ষার জন্য কিছু নিয়মকানুন থাকে যেগুলো মেনে চলতে হয়। কথায় আছে কোন যুদ্ধে করতে নামলে আগে যুদ্ধের অস্ত্র ঠিক করতে হয়।
তেমনি পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যেসব জিনিস পত্র দরকার হয় সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে নিয়ে যেতে হবে এবং সামলে রাখতে হবে। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে তোমাদেরকে বলবো যে পরীক্ষার হলে কি কি জিনিস নিয়ে যেতে হয়।
  • পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে
১।কলম পেন্সিল রেজাল্ট হার্ড বোর্ড এবং আপনার পরিচয় পত্র ইত্যাদি সাথে নিয়ে তারপরে পরীক্ষার হলে ঢুকবেন।

২।এবং সবসময় চেষ্টা করবেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় 30 মিনিট আগে পরীক্ষার হলে ঢোকার জন্য।

৩।পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে আপনার রোল রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী কত নম্বর রুমে এবং কত নাম্বার বেঞ্চে আপনার সিট বসেছে সেটি ভালোভাবে জেনে নিন এবং তারপর পরীক্ষার হলে প্রবেশ করুন।
  • পরীক্ষা চলাকালীন নিয়ম কানুন
১।আপনার কাছে যদি মোবাইল ফোন অথবা ইলেকট্রিক কোন ডিভাইস থেকে থাকে তাহলে সেটি বন্ধ করে দিন অথবা সে জিনিসগুলো অন্য কোথাও লিখে তারপর পরীক্ষার হলে প্রবেশ করুন।

২।এছাড়া আপনার কাছে যদি বই গাইড অথবা কোন নোট থেকে থাকে তাহলে সেগুলো পরীক্ষা তত্ত্বাবধায়কের নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থানে রাখুন।

৩।আপনার সাথে যদি পানির বোতল থাকে তাহলে বোতলটি মাটিতে ডেক্সের পাশে রাখতে হবে। এবং বোতলে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে কারো পায়ে বেঁধে পড়ে না যায়।

৪।আপনি যখন পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বসবেন তখন হল পরিদর্শকরা আপনার পরিচয় পত্র দেখবে যে আপনি পরীক্ষার্থী কিনা। তাই মনে করে আপনার আইডি কার্ড অথবা পরীক্ষার ঢোকার এডমিট কার্ড সাথে করে নিয়ে যাবেন।

৫।এরপর আপনাকে পরীক্ষার খাতা দেওয়া হবে এই খাতাতে আপনি আপনার নাম রোল রেজিস্ট্রেশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন যদি কোথাও ভুল হয়ে যায় তাহলে রুম পরিদর্শক কে সেটি জানাবেন তারা ঠিক করে দিবে।

৬।খাতা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আপনাকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে এবং পরীক্ষার একটি নির্দিষ্ট টাইম দেওয়া থাকবে এই টাইমের মধ্যে আপনাকে পরীক্ষাটি শেষ করতে হবে।

৭।পরীক্ষা চলাকালীন যদি বাড়তি কোনো কাগজের প্রয়োজন হয় তাহলে রুম পরিদর্শক কে বলবেন তারা আপনাকে বাড়তি কাগজ দিয়ে যাবে।

৮।এরপর আপনার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে রুমে থাকা শিক্ষককে পরীক্ষার খাতাটি জমা দিবেন এবং আপনার স্কেল পেন্সিল এডমিট কার্ড ইত্যাদি সবগুলো দেখে শুনে ব্যাগে পুড়ে নিয়ে চলে আসবেন।

এক মাসে পরীক্ষার প্রস্তুতি

গবেষকদের মতে কোন বিষয় যতই কঠিন হোক না কেন ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য প্রায় 20 ঘন্টায় যথেষ্ট। অর্থাৎ প্রতিদিন দিনে ১ ঘণ্টা করে পড়লে ২০ দিনে ২০ ঘন্টা হয়ে যায়। যেকোনো পরীক্ষার আগে আমরা এক থেকে দেড় মাস সময় পেয়ে থাকি তারপরে আমরা ভালো একটি রেজাল্ট করতে পারি না।

 এর মূল কারণ হচ্ছে আমরা ২৪ ঘন্টা সময় কোন বিষয়ে একমাসও দিতে পারি না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে বলবো যে কিভাবে এক মাসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
১। অতি বিষয়ে ২০ ঘন্টায় সময়ের জন্য একটি তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। যেমন ধরুন আপনার ছয়টি বিষয় একটি বিষয়ে এক ঘন্টা হলে ছয়টি বিষয় ছয় ঘন্টা অর্থাৎ দিনে আপনাকে ৬ ঘন্টা করে পড়াশোনা করতে হবে এবং ২০ দিনে প্রতিটা বিষয় বিশ ঘন্টায় রূপান্তরিত হবে। এর ফলে ২০ দিনে আপনার পুরো সিলেবাস কমপ্লিট হয়ে যাবে।

২। একজন শিক্ষক সবসময় প্রশ্ন তৈরি করার সময় আগের বছর প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রশ্ন তৈরি করে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ প্রশ্ন আগে সালের প্রশ্ন থেকেই এসে থাকে তাই আগের সালের প্রশ্নগুলো বেশি বেশি করে চর্চা করতে হবে।

৩। এবং সব সময় যে জিনিসটি পড়বেন সে জিনিসটি বুঝে পড়বেন যার ফলে আপনাকে কোন জিনিস মুখস্ত করতে হবে না। কারণ মুখস্ত করতে অনেক বেশি সময় লাগে যা এক মাসে মধ্যে করা সম্ভব নয়। তাই সবসময় যে কোন পড়া বুঝে পড়বেন।

৪। এবং পড়ার সাথে সাথে লেখার অভ্যাসটাও তৈরি করুন। এর ফলে আপনার হাতের লেখার স্পিড বাড়বে এবং আপনার পড়াটাও অনেক ভালো মনে থাকবে।

৫। এবং পরীক্ষার রাতে বেশি কিছু করার দরকার নেই আগে যেগুলো করেছেন সেগুলো ব্যবহার করে দিবেন। বেশি কিছু পড়তে গেলে আগে যেগুলো করেছেন ওইগুলো ভুলে যেতে পারে। এবং পরীক্ষার আগের রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে।

এভাবে যদি আপনি টানা এক মাস পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে এক মাসের মধ্যেই আপনি পরীক্ষার জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নিতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে এক বছর পরেও যে রেজাল্ট হয় না অনেকে একমাস পরে তার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে। এর মূল কারণ হচ্ছে যে পড়ে সে এক মাসে ভালো করে পড়ে এবং যে পড়ে না সে এক বছরে এক মাসও ঠিকমতো পড়ে না।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুদেরকেও শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও অল্প সময়ে পরীক্ষার জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নেওয়ার নেয়ার সুযোগ দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url