রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় ও এলার্জি মুক্ত খাবার

প্রিয় পাঠক রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজানো হয়েছে তাই আপনারা যদি হাত পা এবং নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

কারণ এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় কি এ সম্পর্কে অনেক মানুষই জানতে চায় কারণ বর্তমান সময়ে প্রতি 100 জন মানুষের মধ্যে প্রায় ৯০ জন মানুষেরই এলার্জি সমস্যা রয়েছে। কোন বস্তু বা খাবারে প্রতি ত্বকের ভিন্ন প্রতিক্রিয়াকেই এলার্জি বলা হয়ে থাকে সাধারণত এ সমস্যাটি কারো জন্মগতভাবে হয় আবার কারো বংশগতভাবে হয়ে থাকে।

 কারো যদি একবার এলার্জি হয় তাহলে সেটি পুরোপুরি ভালো করা যাবে না আপনি চাইলে কিছু নিয়ম কারণ এবং খাওয়া দাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারবেন। তাই আজকের এই অংশে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা এলার্জি থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

• রক্তের এলার্জি থেকে ভালো থাকার উপায়

বিভিন্ন বস্তু বা খাবারের প্রতি শরীরের বা ত্বকের যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাকে এলার্জি বলা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কারো যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বিভিন্ন তাহলে তার বিভিন্ন বস্তু বা খাবারে সংস্পর্শে গেলেই তার এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে।

 বিশেষ করে মনে করেন আপনি ঘর ঝাড়ু দিচ্ছেন বা সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করছেন অথবা বাইরে বের হয়েছে আর সে সময় আপনার হাঁচি কাশি শুরু হয়ে গেল তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এ সকল কাজ করার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা হয়। তাই এ সকল কাছ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন আর পারলে সকল কাজ করার সময় মাস্ক পরিধান করবেন।

 এছাড়াও বাইরে যাওয়ার সময় আজ পরিধান করবেন এতে করে এলার্জি সমস্যা থেকে আপনি অনেক ভালো থাকবেন। এছাড়া খাবারের দিকে যদি দেখা যায় তাহলে গরুর দুধ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ ইত্যাদিতে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই চেষ্টা করবেন এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে।

 আসল কথা বলতে এলার্জির কারণ কি এবং কোন জিনিসে বেশি এলার্জি সমস্যা হয় এই জিনিসটি অনুসন্ধান করতে হবে এবং সেটি থেকে বিরত থাকতে হবে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার আমরা নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হচ্ছে এলার্জি সমস্যা এখন সব মানুষেরই কম বেশি এই সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে।

 এলার্জি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হতে পারে বিশেষ করে কারো পায়ে, কারো হাতে, কারো পুরো শরীরে, কারো নাকে, আবার কারো রক্তে এলার্জির সমস্যা থাকে। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে নাকের এলার্জি এখন বেশি দেখা যায় তাই আজকে আমরা এ অংশে নাকের এলার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

• নাকের এলার্জির ঘরোয়া উপায়

বিভিন্ন প্রকার বস্তু অথবা ধুলোবালির সংস্পর্শে গেলেই এই নাকের এলার্জির সমস্যা দেখা যায়। যেমন বিভিন্ন ফুলের ঘ্রাণ নিলে, ঘর ঝাড়ু দিলে, বাইরের ধুলোবালির সংস্পর্শে গেলে, গাড়ি ঘোড়ার কালো ধোয়ার সংস্পর্শে গেলে এগুলো সরাসরি আমাদের নাকের মাংসপেশীর ভেতরে গিয়ে এক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং যার ফলে আমাদের সাথে সাথে হাঁচি কাশি শুরু হয়ে যায়।

 তাই সব সময় চেষ্টা করবেন বাইরে বের হওয়ার সময় এবং যেকোন কাজ করার সময় মাক্স পরিধান করা। এছাড়াও নাকের এলার্জির কারণে যদি নাকে সর্দি অথবা নাক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনি একটি ঘরোয়া উপায়ে এটি ভালো করতে পারেন এর জন্য আপনাকে একটি পাত্রে পানি লং তেজপাতা এবং দারচিনি নিতে হবে এবং এগুলো একসাথে ভালোভাবে ফুটিয়ে গরম করতে হবে।

 এবং ফুটানো পানিতে মুখ দিয়ে ভালো হবে নাকের ভেতরে ভাব নিতে হবে তাহলে আপনি সাথে সাথে নাকের হাঁচি কাশি এবং সর্দি থেকে আরাম পাবেন।

হাতে এবং পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই কারণ হাতে পায়ে এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে হাতে পায়ে লাল লাল রেস বের হয় এবং এগুলো অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করে এবং এটি যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে ঘা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে কিভাবে পায়ের এলার্জি খুব সহজে দূর করা যায়।

• হাত এবং পায়ের এলার্জি ভালো করার উপায়

বর্তমানে সবচাইতে কমন একটি রোগ হচ্ছে এলার্জি এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে কারো রক্তে, কারো হাতে, পায়ে, নাকে ইত্যাদি। বিশেষ করে শরীরের হাতে পায়ে এটি হলে অনেক পরিমাণ চুলকানি হয় এবং লাল লাল এক ধরনের রেস বের হয়।

 অনেক সময় বেশি বেশি করে পানি নাড়াচাড়া করলে অথবা খালি পায়ে হাঁটাচলা করলে ধুলাবালির কারণে পায়ে প্রচুর পরিমাণ চুলকানি শুরু হয়ে যায় আর এটি হচ্ছে এলার্জির। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন কোথাও গেলে বা বাসাতে চলাফেরা করার সময় স্যান্ডেল পরিধান করা এবং এতে করে এলার্জি থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।

 তারপরও যদি আপনার সমস্যা ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন রকমের মহলম আপনি পায়ে লাগাতে পারেন এতে করে পায়ের লাল লাল রেস ভালো হয়ে যাবে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এলার্জি হওয়ার পর আপনি যদি এটাকে কেমন ভাবে গুরুত্ব না দেন তাহলে এটি থেকে ভবিষ্যতে আপনার অনেক বড় কোন রোগ হতে পারে। এলার্জি বলতে মূলত কোন বস্তু অথবা খাবারের প্রতি আমাদের ত্বকের যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাকে বোঝানো হয়ে থাকে।

 তাই আজকে আমরা আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদেরকে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে বলব যেগুলো মেনে চললে আপনারা অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। মনে করেন আপনি ঘর ঝাড়ু দিচ্ছেন বা সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করছেন অথবা বাইরে বের হয়েছে আর সে সময় আপনার হাঁচি কাশি শুরু হয়ে গেল তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এ সকল কাজ করার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা হয়।

 তাই এ সকল কাছ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন আর পারলে সকল কাজ করার সময় মাস্ক পরিধান করবেন। এছাড়াও বাইরে যাওয়ার সময় আজ পরিধান করবেন এতে করে এলার্জি সমস্যা থেকে আপনি অনেক ভালো থাকবেন।

 এছাড়া খাবারের দিকে যদি দেখা যায় তাহলে গরুর দুধ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ ইত্যাদিতে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই চেষ্টা করবেন এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে। আসল কথা বলতে এলার্জির কারণ কি এবং কোন জিনিসে বেশি এলার্জি সমস্যা হয় এই জিনিসটি অনুসন্ধান করতে হবে এবং সেটি থেকে বিরত থাকতে হবে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় হল এলার্জি মুক্ত খাবারের তালিকা এবং এলার্জিযুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানা কারণ এলার্জি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এই খাবার তাই সবসময় চেষ্টা করবেন এলার্জিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে।

 এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন যে এলার্জিযুক্ত খাবার কোনগুলো এবং এলার্জি মুক্ত খাবার কোনগুলো তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল আপনাদেরকে এলার্জিযুক্ত এবং এলার্জি মুক্ত খাবারের একটি তালিকা সম্পর্কে বলবো।

• খাবারের তালিকা

বর্তমানে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হচ্ছে এলার্জি সমস্যা এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে ঠান্ডার কারণে এলার্জি হলে এটিকে কোল্ড এলার্জি বলা হয় ধুলাবালির কারণে এলার্জি হলে একে ডাস্ট এলার্জি বলা হয় এবং খাবারের কারণে এলার্জি হলে একে ফুট এলার্জি বলা হয়।

 বর্তমানে ফুড এলার্জি অনেক বেশি দেখা যায় বিশেষ করে খাসির মাংস, গরুর মাংস, গরুর দুধ, হাসির ডিম, বেগুন ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থাকে।

 এছাড়াও আপনি যদি এ সকল খাবার খেয়ে ফেলেন এবং এলার্জি সমস্যা বেশি শুরু হয় তাহলে অ্যালার্জি থেকে মুক্তির জন্য আপনি চাইলে কলা, কমলা, লেবু, গাজর, শসা ইত্যাদি শাকসবজি খেতে পারেন কারণ এগুলো আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এলার্জি থেকে দূরে রাখে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কিত আজকেরে আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে এবং আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন। এবং এ ধরনের সকল প্রকারের নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকুন।