কর্ম এবং ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী
প্রত্যেকটি মানুষ জীবনে সফল হতে চায় তাই সফল হওয়ার জন্য জীবনে সফল হওয়ার
মূলমন্ত্র কী এ সম্পর্কে জানতে হবে আর তাই আমাদের এই আর্টিকেলে এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আপনারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদেরকে সফল করতে চান তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা পড়ুন।
সূচিপত্রঃ কর্ম এবং ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই এবং সে অনুযায়ী সে
তার জীবনকে পরিচালনা করতে চাই কারণ প্রত্যেকটা মানুষই তার জীবনে সফলতা কামনা করে
জীবনে সফল হওয়ার বেশ কিছু মূল মন্ত্র রয়েছে। জীবনের সফল হওয়ার জন্য সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হল তোমার পরিশ্রম এবং তোমার ধৈর্য।
জীবনের সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রম যেমন প্রয়োজন তোমার ধৈর্য তেমন প্রয়োজন।
জীবনে কোন জিনিস পেতে হলে অথবা সফল হতে হলে সর্বপ্রথম তোমাকে শেষ রক্তবিন্দু
পর্যন্ত পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং সেটির ফল পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
এবং তারপরও যদি সেই জিনিসটা তুমি না পাও তাহলে ভেঙে পড়া যাবে না এবং হাল
ছাড়া যাবে না। সবসময় মনে রাখতে হবে যে আল্লাহতালা পরিশ্রমকারীকে পছন্দ করে।
এবং তুমি যে পরিশ্রম করছো সেটি তোমার কোনদিনই বৃথা যাবে না। আল্লাহতালা বলেন আমার
বান্দা যদি কোন কিছু পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করে এবং সেটি না পাই তাহলে আমি সেটি
থেকে আরো বেটার কিছু তাকে সঠিক সময়ের মতো দিব। তাই কোন কিছু পাওয়ার জন্য সব
সময় ধৈর্য ধরতে হয়।
পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এ সম্পর্কে প্রতিটা শিক্ষার্থী জানতে চাই কারণ
একজন শিক্ষার্থী তার ছাত্র অবস্থায় সব সময় পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় খুঁজে
আর তাই কোন শিক্ষার্থী যদি জীবনে সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানে তাহলে সে খুব
সহজেই পড়াশোনায় সফল হতে পারবে। পড়াশোনায় সফল হতে গেলে প্রতিনিয়ত স্কুল অথবা
কলেজে যেতে হবে।
এবং প্রতিটা ক্লাস মনোযোগ দিয়ে করতে হবে শিক্ষকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে
হবে। কারণ একজন শিক্ষকই জানে যে একটি ছাত্রকে পড়ালেখায় সফল করতে কি কি
প্রয়োজন। তাই শিক্ষকদের কথা মেনে চলা খুবই প্রয়োজন। এবং ক্লাসে যে ভালো ছাত্র
সব সময় তার সাথে মিশতে হবে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে।
কারণ আমরা জানি সংঘ দোষে লোহা ভাসে একজন ভালো বন্ধু করে আরেক বন্ধুকে ভালো
পথে আনতে। তাই ভালো বন্ধু খুবই প্রয়োজন। এবং তারপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে
বিষয়টি সেটি হল পড়াশুনা করা।
তুমি যদি পড়ালেখায় সফল হতে চাও একজন ভালো ছাত্র হতে চাও তাহলে পরিশ্রমের কোন
বিকল্প নেই। তোমাকে দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। শুধু পড়াশোনা
করলে হবে না তার সাথে নিজেকেও সময় দিতে হবে। নিয়মিত খেলাধুলা এবং ঘুম প্রয়োজন।
কারণ তুমি সুস্থ থাকলে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে এবং অনেকদূর এগিয়ে যেতে
পারবে তাই সুস্থ থাকাটাও অনেক বড় নিয়ামত। এবং পড়াশোনায় সব সময় প্রতিযোগিতার
মধ্যে থাকতে হবে এবং নিজেকে যাচাই করতে হবে তুমি কি এবং তুমি কি পারো। আর এভাবেই
পড়ালেখায় ভালো হওয়া যায়।
কিভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এ সম্পর্কে জানলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কিভাবে
জীবনে সফল হওয়া যায়। আসলে সফলতা যেন এক সোনালী সকাল। সফলতার কোন শর্টকাট হয় না
এই পৃথিবীতে কোন সফলতায় একদিন আসে না এক সপ্তাহে আসে না একদিনেও আসে না।
যদি কোন সফলতা কোন পরিশ্রম অথবা কোন মেহনত ছাড়াই এসে থাকে তাহলে মনে রেখো
সে সফলতা দীর্ঘস্থায়ী নয়। তুমি যাদের পছন্দ করো বা যাদের দেখে তুমি সফল হতে চাও
তারা কেউই একদিনে সফল হয়নি।
এর জন্য অনেক সময় পরিশ্রম দিতে হয়েছে তাদের। সফলতার জন্য বছরের পর বছর
শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পরিশ্রম করে যেতে হয় কারণ পরিশ্রমের শুরু আছে কিন্তু এর
শেষ নেই। পৃথিবীতে মানুষ যতদিনই বাঁচে তাকে প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা জায়গায়
যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। পৃথিবীতে কেউ তোমাকে এক ইঞ্চি জায়গাও ছেড়ে দেবে না।
তুমি যদি এক ইঞ্চি জায়গাও পাও তোমার কাছ থেকে সেটি কেড়ে নিতে চাইবে। তাই কে কি
বলল কে কি করলো এসব দেখার সময় নেই তুমি নিজে কি সেটা তুমি নিজে জানো। তাই
পৃথিবীতে সফল হওয়ার জন্য নিজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সে লক্ষ্য অনুযায়ী
পরিশ্রম এবং এগিয়ে যেতে হবে তাহলে ইনশাল্লাহ একদিন সফল হওয়া যাবে।
কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়
জীবনে যদি প্রতিষ্ঠিত এবং সফল হতে চান তাহলে জীবনের সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এ
সম্পর্কে জানতে হবে এবং জীবনে সফলতা পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে
হয়। এবং শুধু নিয়মকানুন মানলেই হয় না জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সে অনুযায়ী
পরিশ্রম করতে হয়। আমরা আমাদের জীবনে সবাই একটা ভালো জায়গায় যেতে চাই অথবা
প্রতিষ্ঠিত হতে যায়।
কিন্তু কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় এ সম্পর্কে আমরা সঠিকভাবে জানি
না। কেউ কোনদিন একদিনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি তুমি যদি মনে কর যে তুমি একদিনো
প্রতিষ্ঠিত হবে তাহলে সেই ধারণা পুরোই ভুল। কারণ কোন জিনিস তাড়াতাড়ি পেয়ে গেলে
সেই দিন জিনিস বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিন্তু তুমি যদি দেরিতে প্রতিষ্ঠিত
হও তাহলে সেটি তোমার অনেক দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে।
তুমি যদি কোন কিছু পাওয়ার জন্য বা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিশ্রম করো
তাহলে সে সময় তোমার জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। কিন্তু তোমাকে থামলে চলবে না
তোমাকে তোমায় গন্তব্যে এগিয়ে চলতে হবে।
কারণ এই পৃথিবীর সকল সফল মানুষের শুধু অধ্যায়গুলো খুব একটা ভালো ছিল না
সবাইকেই কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে সফল হতে হয়েছে। তাই তুমি যদি জীবনে প্রতিষ্ঠিত
অথবা সফল হতে চাও তাহলে তোমাকেও এগুলো মেনে চলতে হবে।
ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায়
জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী এ সম্পর্কে আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলের এই
অংশে বিস্তারিত আলোচনা করুন। ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
যেটি সেটি হল লক্ষ্য স্থির করা।
যদি একটি ছাত্র জীবনে বুঝতে পারে যে তার লক্ষ্য কি বা কি করলে তার ভালো হবে
কোন পথে গেলে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে তাহলে সে সফলতা পাবে। ছাত্র জীবনে সফল
হতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেমনঃ
১। প্রতিদিন নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা করে পড়াশোনা করতে হবে।
২। এবং সব সময় স্কুলে অথবা কলেজে আগে যেতে হবে এবং সামনের বেঞ্চে বসে কবুতর কথা
মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
৩। শিক্ষকদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে এবং তাদের কথা শুনে চলতে হবে।
৪। কারণ কোন ছাত্র যদি শিক্ষকদের কথা মেনে চলে তাহলে তার সফল হতে খুব একটা
অসুবিধা হবে না।
৫। এবং ক্লাসে ভালো সহপাটি দের সাথে মিশতে হবে এবং খারাপ সংঘ ত্যাগ করতে হবে।
৬। কারণ কথায় আছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে তাই ছাত্র জীবনে সব সময় ভালো বন্ধু তৈরি
করতে হবে এবং তাদের সাথে মিশতে হবে।
আর এভাবেই এসব নিয়ম মেনে কোন ছাত্র অথবা ছাত্রী যদি তার ছাত্র জীবন পার করে
তাহলে সে তার ছাত্র জীবনে অনেক সফল হতে পারবে। এবং ভবিষ্যতেও সে অনেক দূর পর্যন্ত
এগিয়ে যেতে পারবে।
কর্ম জীবনে সফল হওয়ার উপায়
কর্ম জীবনে সফল হওয়ার উপায় হলো পরিশ্রম পরিশ্রম ছাড়া আপনি কোনদিনই কর্মজীবনে
সফল হতে পারবেন না। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে কর্ম করতে হবে। কারণ কর্ম না করলে
পৃথিবীতে টিকে থাকা খুবই কঠিন।
তাই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই কোন না কোন কর্মের সাথে জড়িত কেউ শিক্ষক, কেউ
চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ব্যবসায়িক আবার কেউবা রিক্সাচালক, ফ্যানচালক,
দিনমজুর ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মের সাথে জড়িত।
কেউ এসব কর্মে সফলতা পেয়ে আরো বড় পর্যায়ে চলে গেছে কেউবা সেই জায়গাতেই থেকে
গেছে। কর্মজীবনের সফল হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো নিজে কিছু করা বা উদ্যোক্তা হওয়া।
কিন্তু মানুষ কর্ম বলতে আজ সরকারি চাকরি অথবা যেকোনো চাকরির পেছনে সময় ব্যয়
করে। যার ফলে সে তার গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো এই চাকরির পিছে ঢেলে দেয়।
যার ফলে তার যেদিকে মেধা আছে সে মেধাটি আর বিকশিত হয় না। আমাদের বাংলাদেশেই এরকম
অনেক মানুষ রয়েছে যারা সরকারি চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে এবং বছরের পর
বছর অপেক্ষা করে। কিন্তু কেউ উদ্যোক্ত হওয়ার কথা চিন্তা করে না। তাই তারা আজ
তাদের কর্মজীবনে সফল নয়।
কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য প্রথমে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হল নিজের মেধা যাচাই।
তুমি কি পারো বা তোমার দ্বারা কি হবে সেটা তোমাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই পথে
এগিয়ে যেতে হবে।
দেখা যাচ্ছে কেউ ছবি আঁকতে ভালো পারে, কেউ ক্রিকেট খেলতে ভালো পারে কেউ বা ফুটবল
খেলতে ভালো পারে আবার কেউবা গান গাইতে ভালো পারে কিন্তু তাকে পরিবারের চাপে চাকরি
করতে হয়। যার ফলে তার মেধাটা বিকাসিত না হয়ে কলুষিত থেকে যায়।
লেখকের মন্তব্য
জীবনের সফল হওয়ার মূল মন্ত্র কী এবং কর্মজীবন এবং ছাত্র জীবনে কিভাবে সফল হওয়া
যায় এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই এটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে আপনাদের আশেপাশে অন্যদেরও এটি শেয়ার করুন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url