বসন্ত হলে করণীয় গুলো কি কি জানুন


বসন্ত হলে করণীয় কি? এবং বসন্ত হলে কি গোসল করা যাবে? এই নিয়ে অনেকের মনে এক রকম প্রশ্ন থাকে তাই আজকের এই পোস্টটি আমরা এ সম্পর্কেই সাজিয়েছি আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

বসন্ত হলে করণীয়


তাই আপনাদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন ধরে বসন্ত রোগে আক্রান্ত আছেন তারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে সে অনুযায়ী চলাফেরা করেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।

সূচিপএঃ বসন্ত হলে করণীয় গুলো কি কি জানুন

বসন্ত হলে করণীয়

বসন্ত হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত কারণ এটি হলো একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই এটিকে আপনি যদি অবহেলা করেন তাহলে এটি আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে।
বসন্ত মূলত দুই প্রকার স্মল বসন্ত এবং জলবসন্ত বর্তমানে এখন বেশিরভাগ মানুষের এই জল বসন্ত হয়ে থাকে আর এই রোগটি যেকোনো সময় হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময়ই শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে হয়ে থাকে মূলত এই সময় আবহাওয়ার একটি পরিবর্তনের কারণেই এটি হয়ে থাকে। 

আর এটি প্রথমে মুখমন্ডল থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে করে পুরো শরীরে গুটি গুটি আকারে ছড়িয়ে পড়ে আর এর ফলে পুরো শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভব হয়। আর তাই এ সময় এগুলো দূর করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় আর এ সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব।

১। জল বসন্ত হলে প্রতিনিয়ত গোসল করা অত্যন্ত জরুরী তবে ঠান্ডা পানিতে বশী করা যাবে না কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে হবে।

২। পারলে নিম পাতার পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে যদি গোসল করা যায় তাহলে আরো ভালো হয় কারণ নিম পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা যে কোন ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।

৩। এবং সব সময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন এতে করে সংক্রমনের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।

৪। এ সময় ১০০ ডিগ্রীর উপরেও জ্বর থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন কিন্তু ছোট বাচ্চা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৫। সবসময় সুতি জাতীয় কাপড় পরার চেষ্টা করবেন এতে করে চুলকানি একটু কম লাগবে।

৬। চর্বি এবং তেল জাতীয় যে সকল ফাস্টফুড রয়েছে এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সবসময় প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে।

৭। এই সময় মুখের মধ্যেও জল বসন্ত বের হতে পারে তাই সবসময় লিকুইড জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খাবেন তেল মশলা জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করবে।

৮। বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে হবে যেমন আপেল, কমলা, মালটা, আঙ্গুর ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে আপনার শরীরের বসন্তের ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় হবে।

বসন্ত হলে কি গোসল করা যাবে

বসন্ত হলে করণীয় কি? এবং বসন্ত হলে কি গোসল করা যাবে? এই নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে অনেক রকম প্রশ্ন রয়েছে তাই আজকের এই পোস্টেটি আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। 

বর্তমানে সবচেয়ে কমন একটি রোগ হচ্ছে জলবসন্ত এ রোগটি নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে অনেক রকম ভুল ধারণা রয়েছে অনেক বাড়িতে বসন্ত হলে গোসল করতে মানা করা হয় এবং তার ইচ্ছামত খাবার তাকে খেতে দেওয়া হয় আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। 

যেহেতু এটি একটি ভাইরাস যন্ত্র তাই প্রতিদিনই গোসল করতে হবে কারণ গোসল না করলে এটি থেকে সংক্রমনের একটি ঝুঁকি থাকে। গোসল করার সময় খেয়াল করতে হবে পানি যাতে বেশি ঠান্ডা না থাকে উসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। 
এবং সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিম পাতা পানির সাথে ফুটিয়ে সেই পানি নরমাল করে যদি গোসল করা যায় কারণ নিমপাতাতে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। 

আমাদের দেশের রীতি হচ্ছে বসন্ত হলে এর সাত দিন পর সাত রকম মিষ্টি এবং নানা ধরনের জিনিস রোগীকে খাওয়ানো হয় এটি আসলে ঠিক নয় কারণ এই সময় খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে রোগীকে ভিটামিন এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ানো। এ সময় উচিত বেশি বেশি করে বিভিন্ন রকম ভিটামিন সি যুক্ত খাওয়া।

বসন্ত হলে কি কি খাওয়া যাবে

বসন্ত হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার আমরা আর্টিকেলের এই অংশে বসন্ত হলে কি কি খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে আলোচনা করব। বসন্ত মূলত একটি ভাইরাস জনিত রোগ এটি একজনের থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়ায় যেকোনো বয়সের মানুষেরই এ রোগটি হতে পারে। 

জল বসন্ত হলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে অনেক জ্বর থাকে তাই এই সময় খাবার খাওয়ার উপর অনেক সচেতন হতে হয়। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নি যে বসন্ত হলে কি কি খাবার খেতে হয়।
১। জলবসন্ত হলে শরীর অনেক পরিমাণ খনিজ প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রয়োজন হয় তাই এ সময় ভিটামিন খনিজ এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেতে হয়।

২। বেশি বেশি করে লিকুইড জাতীয় খাবার খেতে হবে বিশেষ করে ডাবের পানি বেশি বেশি খেতে হবে ডাবের পানিতে অনেক পরিমাণ খনিজ উপাদান থাকে।

৩। চর্বি এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এ সকল খাবার এই সময় শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি করতে পারে তাই এ সময় বেশি বেশি করে শাকসবজি খাবার চেষ্টা করবেন।

৪। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল বেশি বেশি করে খাবেন যেমন আপেল, কমলা, মালটা, অঙ্গর ইত্যাদি কারণ এই সকল খাবার আপনার শরীরের ঘা শুকাতে সাহায্য করবে।

৫। পারলে নিম পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।

বসন্ত হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

বসন্ত হলে করণীয় হিসেবে কি খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার বসন্ত হলে কি কি খাওয়া নিষেধ রয়েছে এ সম্পর্কে আলোচনা করুন। 
যেহেতু বসন্ত একটি ভাইরাস তাই এই সময় প্রতিটা মানুষের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায় তাই এই সময় খাওয়া দাওয়া করে একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। এ সময় খাওয়া দাওয়া করে যেমন বেশি গুরুত্ব দিতে হয় তেমনি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এই সময় এড়িয়ে চলতে হবে।
  • কি কি খাওয়া নিষেধ
জল বসন্ত হলে চর্বি, মাখন, বাদাম, কুমির, নারিকেল, চকলেট জাতীয় খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এ সকল খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট থাকে যা বসন্তের প্রভাবকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

 এছাড়াও এই সময় অতিরিক্ত তেল মসলা জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না কারণ এই সময় মুখে অনেক বেশি ঘা তৈরি হয় যার ফলে তেল মশলা জাতীয় খাবার খেতে অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে। এবং ড্রাইফুট জাতীয় খাবার জন্য আখরোট, চিনা বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি খাবার বসন্তের মতো বংশবিস্তার করে তাই এ সকল খাবার থেকেও এড়িয়ে চলতে হবে।

বসন্ত হলে কি করা উচিত

বর্তমানে কমন একটি ভাইরাস জনিত রোগ হচ্ছে বসন্ত তাই বসন্ত হলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত কারন এটি যদি আমরা সঠিকভাবে নিরাময় করতে না পারি তাহলে এটি বড় আকার ধারণ করতে। 

প্রচলিত সমাজে আমরা দেখি বসন্ত হলে রোগীকে তার ইচ্ছা মতো বিভিন্ন খাবার খেতে দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন এক এক রকমের রীতি নীতি পালন করা হয় এবং সর্বশেষ সাত দিন পর সাত রকমের মিষ্টি খাওয়ে এটাকে ভালো করা হয়। 

আসলে এটি একটি ভুল ধারণা এসব করলে আরো অনেক বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমরা এ ব্লগে আপনাদেরকে জানাবো যে বসন্ত হলে আপনারা সেটিকে কিভাবে নিরাময় করবেন।
১। যেহেতু এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই চেষ্টা করবেন সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করা গোসলের সময় বেশি ঠান্ডা পানি দে গোসল করবেন না নরমাল গরম পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করবেন।

২। পারলে গরম পানিতে নিমপাতা ফুটিয়ে সে পানি নরমাল করে গোসল করার এতে করে আরো ভালো উপকার পাবেন।

৩। চর্বি এবং তেল জাতীয় যে সকল ফাস্টফুড রয়েছে এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সবসময় প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে।

৪। বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে হবে যেমন আপেল, কমলা, মালটা, আঙ্গুর ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে আপনার শরীরের বসন্তের ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় হবে।

৫। এবং বেশি বেশি করে লিকুইড জাতীয় খাবার খাবেন বিশেষ করে ডাবের পানি কারণ ডাবের পানিতে পুজোর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে যা আপনার শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৬। এছাড়াও সব সময় সুতি জাতীয় কাপড় পরিধান করার চেষ্টা করবেন এতে করে গায়ে চুলকানি কম হবে।

লেখকের মন্তব্য

বসন্ত হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আজকের একটু আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাই আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেল যেতে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন। এবং পারলে যাদের বসন্ত হয়েছে তাদের কাছে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url