ই-কমার্স সেবার তালিকা-ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম
নাগরিকের সেরা কয়েকটি ই-কমার্স সেবার তালিকা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা
করব তাই যারা নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের তালিকা সম্পর্কে জানেন না তারা এই
আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
এছাড়াও কিভাবে একটি সফল ই-কমার্স ব্যবসা দাঁড় করানো যায় এ সম্পর্কেও এই
আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
সূচিপত্রঃ ই-কমার্স সেবার তালিকা-ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম
ই-কমার্স সেবার তালিকা
ই-কমার্স সেবার তালিকা এর মধ্যে অনেকগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা
দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে থাকে আর এ
সকল ইকমাস প্রতিষ্ঠানের কারণে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে থেকেই যে কোন পণ্য অর্ডার
করে কিনতে পারি।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মেয়েদের সেরা ১০টি হাতের কাজ
অনেকে রয়েছে যারা ভুলক্রমে বিভিন্ন ফেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে
বিভিন্ন পণ্য অর্ডার দেওয়ার পর সেগুলো আর হাতে পাইনা তাই সবসময় চেষ্টা করবেন
জনপ্রিয় যেগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো থেকে পণ্য কেনার।
তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল আপনাদেরকে এমন কিছু জনপ্রিয় এবং ট্রাস্টেড
ই-কমার্স সাইটের নাম বলবো যেগুলো থেকে আপনারা কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই যে কোন
পণ্য অর্ডার দিতে পারবেন এবং কিনতে পারবেন।
১। বাগডুম ডটকম
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ই-কমার্সে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই বাগডুম ডটকম সাইটটি এই
সাইটটির প্রথমে নাম ছিল এখনই ডট কম পরে এটির নাম পরিবর্তন করে বাগডুম ডটকম রাখা
হয়। এই সাইটে তাই বিভিন্ন রকম পণ্য পাওয়া যায় বিশেষ করে এটি ছেলেদের বিভিন্ন
ফ্যাশন ডিজাইন এর জিনিস বেশি পাওয়া যায় যেমন টি শার্ট, গেঞ্জি, প্যান্ট, ঘড়ি
এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
২। রকমারি ডটকম
২০১২ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সাইট হচ্ছে রকমারি
ডটকম। আপনি যদি অনলাইন থেকে যেকোনো ধরনের বই কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই
রকমারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাইট
হচ্ছে রকমারি যেখানে যেকোনো ধরনের বই খুব সহজেই পাওয়া যায়।
এখানে আপনি যে কোন ধরনের সাহিত্য. রহস্য. আর্টস, কমার্স, সাইন্স. ইত্যাদি
বিভিন্ন ধরনের বই কিনতে পারবেন এবং এগুলোর পেমেন্ট আপনি চাইলে বিকাশ নগদ রকেট যে
কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
৩। পিকাবু ডটকম
পিকাবু ডটকম ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত এই সাইটে বিভিন্ন রকম জিনিস পেয়ে
যাবেন বিশেষ করে এই সাইটটি ইলেকট্রনিক বিভিন্ন জিনিস যেমন মোবাইল ফোন, হেডফোন,
ব্লুটুথ, পেনড্রাইভ ইত্যাদি জিনিস নিয়ে বেশি কাজ করে। এছাড়া পিকাবুডটকমের
পেমেন্ট মেথডগুলো হচ্ছে ভিসা কার্ড, ক্যাশ আউট ডেলিভারি, বিকাশ ইত্যাদি।
৪। আজকের ডিল
২০১১ সালে ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করে আজকের ডিল এই ই-কমার্স সাইটটি এটি
বাংলাদেশ ভিত্তিক প্রথম বাংলা ই-কমার্স সাইট শুধু তাই নয় এটি বাংলাদেশের মালিকানাধীন প্রথম একটি ই-কমার্স সাইট।
এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায় যেমন গৃহস্থলী, ইলেকট্রনিক
যন্ত্রপাতি, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য সংক্রান্ত জিনিসপাতি ইত্যাদি। এখানে বিভিন্ন রকম
ক্যাশ অন ডেলিভারি রয়েছে যেমন বিকাশ ব্যাংকিং, নগদ, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড
ইত্যাদি।
৫। সাজগোজ ডটকম
সাজগোজ ডটকম এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আপনি বিভিন্ন রকম সাজগোজ সংক্রান্ত সকল
জিনিস পাবেন। বিশেষ করে এখানে বিভিন্ন ধরনের লাইফ স্টাইলের, এবং মেকআপ, বিউটি টিপস স্কিন কেয়ার জন্য
বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়।
যেহেতু এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি সাজগোজ সম্পর্কিত তাই এখানে মেয়েরা
সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করে থাকে। আর এখানকার কোন কোন পণ্যে কোনরকম পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হয় না এদিক দিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।
৬। প্রিয় শপ ডটকম
প্রিয় শপ হলো বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট আর এটি ২০১৩ সালে যাত্রা
শুরু করে। এখান থেকে আপনারা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র যেমন গহনা, বই, কসমেটিক
ইত্যাদি ঘরে বসে থেকেই কিনতে পারবেন এবং এখানে প্রতিটা জিনিসেরই দাম
তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এছাড়াও এখানে পেমেন্ট করার জন্য রয়েছে বিকাশ, ভিসা
কার্ড ইত্যাদি।
৭। চাল ডাল ডটকম
চাল ডাল ডট কম এটি হচ্ছে বাংলাদেশের এমন একটি ই-কমার্স সাইট যেখানে ফলমূল,
শাকসবজি, মাছ মাংস ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের মোদির জিনিস পাওয়া যায় এক কথা এখানে
খাদ্যদ্রব্য জাতীয় সকল জিনিস পাওয়া যায়। আর এটির পেমেন্ট পদ্ধতি হলো বিকাশ,
নগদ, রকেট ইত্যাদি।
৮। দারাজ ডটকম
বর্তমানে বাংলাদেশের যতগুলো ই-কমার্স সাইট রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়
সাইট হচ্ছে দারাজ এবং এটি সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। অনেকে রয়েছে
যারা প্রতিনিয়তই সাইট থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম পণ্য ক্রয় করে থাকে।
এখানে আপনারা বিভিন্ন রকম ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট, বাচ্চাদের খেলনা,
বিভিন্ন সাংসারিক আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস চিনতে পারবেন।
এছাড়াও এখানে আপনি চাইলে হোম ডেলিভারিও নিতে পারবেন হোম ডেলিভারি নিলে
আপনি পণ্যটি পাওয়ার পরই টাকা দিতে পারবেন। এছাড়াও এখানে নগদ, বিকাশ, রকেট, ভিসা
কার্ড, মাস্টার কার্ড, পেপাল বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে টাকা ক্যাশিং করার।
৯। অ্যামাজন ডটকম
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সাইট হচ্ছে অ্যামাজন এটি যুক্তরাষ্ট্রে
১৯৯৫সালের ১৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন। এটি প্রথম দিকে অনলাইনে
শুধু বই বিক্রি করতো কিন্তু এখন এটিতে প্রায় সব রকম জিনিসই পাওয়া যায় এবং এটি
যতগুলো ই-কমার্স সাইট রয়েছে সবগুলোর মধ্যে এক নম্বরে অবস্থান করে।
১০। অথবা ডটকম
বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সাইট হচ্ছে অথবা ডটকম এখানে
আপনারা দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল রকম জিনিসপত্র পেয়ে যাবেন। এছাড়া এখানে
প্রায় প্রতিটা পণ্যে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অফার চলে। এখানে আপনারা বিভিন্ন
ফার্নিচার, কাঁচাবাজার সহ বিভিন্ন রকম পণ্য পাবেন।
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের তালিকা
ই-কমার্স সেবার তালিকা গুলোর মধ্যে নাগরিকদের বিভিন্ন সেবামূলক এবং প্রয়োজনীয়
কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স সাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে একজন নাগরিক
খুব সহজেই তার নাগরিকত্বের বিভিন্ন ধরনের কাজ ঘরে বসেই খুব সহজেই সম্পন্ন করতে
পারে।
কিন্তু অনেকে রয়েছে যারা নাগরিক সেবার এসকল ই-কমার্স সাইট সম্পর্কে এখনো
সঠিকভাবে জানে না তাই আজকে আমরা এ আর্টিকেলে নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের তালিকা
সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক নাগরিকদের কিছু সেবা
মূলক অনলাইন সাইট।
১। বর্তমানে একটি জনপ্রিয় শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রতিটা
শিক্ষার্থী দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসে থেকেই খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে
পড়াশোনা করতে পারে।
২। এছাড়াও আরেকটি সবচাইতে ভালো ই কমার্স সেবা হচ্ছে ই-টিকিটিং এর মাধ্যমে যে কোন
নাগরিক টিকিট কাউন্টারে না গিয়েই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে গিয়ে বাংলাদেশ
রেলওয়ে ওয়েবসাইটে গিয়ে খুব সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন।
৩। ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনাকে বিমানবন্দরে ভিসা শিখনের জন্য আর লাইন ধরে
দাঁড়াতে হবে না এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন হয়ে যায়।
৪। বর্তমানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই দেশের বড় বড় ডাক্তারের কাছে
থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন আর এটিকে টেলিমেডিশন বলা হয়ে থাকে।
৫। এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনের ফলে ব্যাংকিং সেবা আরো বেশি উন্নত হয়েছে এখন ই
ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অথবা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা
জমা রাখতে পারে এবং তুলতে পারে।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে নাগরিকরা অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমানে এ ধরনের সুযোগ
সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া আপনি যদি ই-কমার্সের কথা বলেন তাহলে এটি নাগরিক সেবায়
আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য মানুষকে
এক দেশ থেকে অন্য দেশ এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হতো যা অনেক বেশি
সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার ছিল।
কিন্তু বর্তমানে ই-কমার্স এর মাধ্যমে মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারছে এবং সেই প্রতিষ্ঠানে তারা তাদের বিভিন্ন ধরনের পণ্য
বিক্রি করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে যার বর্তমানে নাগরিক সেবায় একটি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম
বর্তমানে আমরা অনলাইনে অনেকগুলো ই-কমার্স সেবার তালিকা দেখতে পাই আর এগুলো দেখে
আমরা অনেকে অনেক সময় এ সকল ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য আগ্রহী হয়। কিন্তু অনেকেই
জানেনা যে ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম কি বা ব্যবসা কিভাবে করতে হয় তাই আজকের
আর্টিকেলের আমরা জানাবো যে কিভাবে একটি সুন্দর এবং লাভবান ই-কমার্স ব্যবসা দার
করানো যায়।
- একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করা
ই-কমার্স ব্যবসা করার প্রথম নিয়মই হচ্ছে অনলাইনে সুন্দর একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি
করা আর সেটি হতে পারে ফেসবুকে, ইউটিউবে, অথবা গুগলে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি
তিনটি জায়গাতেই একই নাম দিয়ে তিনটি সাইট খুলেন কারণ আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত
মানুষ এই তিনটি জিনিসই বেশি ব্যবহার করে।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে
এবং ওয়েবসাইটের নামটি সবসময় চেষ্টা করবেন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া এতে করে
আপনি ওয়েবসাইটটিকে তাড়াতাড়ি র্যাং করাতে পারবেন।
ওয়েবসাইট খোলা হয়ে গেলে এরপর আপনি ফেসবুকে একটি ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে একটি
ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং ওয়েব সাইটে যে নাম দিয়ে ওয়েবসাইট খুলেছেন সে নাম
দিয়েই এগুলো খুলবেন এতে করে আপনার ব্র্যান্ডের নাম জানতে সকলের সুবিধা হবে।
এবং এরপর নিয়মিতভাবে ফেসবুক এবং ইউটিউবে আপনি আপনার পুণ্যকে নিয়ে বিভিন্নভাবে
ভিডিও তৈরি করবেন এবং ভিডিওর উপরে আপনার ওয়েবসাইটের নামটি দিয়ে দিবেন যাতে করে
কেউ যদি আপনার ভিডিও দেখে আপনার পণ্যটি কিনতে চাই তাহলে সে উপরে দেওয়া
ওয়েবসাইটে গিয়ে কিনতে পারবে।
এছাড়া আপনার ফেসবুকে ইউটিউবে এবং ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভালো হয় তাহলে আপনি সেখান
থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- পণ্য নির্ধারণ করা
আপনি যে ব্যবসায় করুন না কেন আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার পূর্ণ নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি কি কি পূর্ণ নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে
ই-কমার্স ব্যবসার মধ্যে বর্তমানে অনেক জিনিস রয়েছে যেমন কাপড়, খাবার, নিত্য
প্রয়োজনীয় জিনিস, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, হেলথ এন্ড বিউটি প্রোডাক্ট ইত্যাদি।
আপনি চাইলে এগুলো থেকে যে কোন একটি পন্য নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে
পারে আবার সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি সবগুলো নিয়েই করতে পারেন তাহলে।
আপনি যদি সবগুলো নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার
ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য এক একটি করে ক্যাটাগরি তৈরি করে সুন্দর করে
সাজিয়ে রাখতে হবে যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে
পারে।
- মার্কেটিং করা
ই-কমার্স ব্যবসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মার্কেটিং করা আপনি যদি কোন
পূর্ণ বিক্রি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সে পূর্ণ সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হয়
আর এর জন্যই আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে আপনি যত ভালো মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার
পণ্য তত ভালো সেল হবে।
তাই সর্বপ্রথম আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ একটি ধারণা অর্জন করতে
হবে এবং আপনি যদি ভালো মার্কেটিং করতে না পারেন তাহলে প্রয়োজনে আপনি লোক রাখতে
পারেন যারা ভালো মার্কেটিং করতে পারবে।
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
ই-কমার্স সেবার তালিকা সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার
আমরা এই অংশে ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।
প্রতিটি জিনিসেরই যেমন ভালো দিক থাকে তেমনি কিছু খারাপ দিকও থাকে যেমন
বিশেষ করে ই-কমার্স এর কিছু সুবিধা রয়েছে এবং অসুবিধা রয়েছে আর এই সম্পর্কে
আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- ই-কমার্স এর সুবিধা
১। যেকোনো পণ্য খুব সহজে এবং খুব সাশ্রয়ী দামে ঘরে বসে থেকে ক্রয় করা যায়।
২। এ ব্যবসায়ী কোনরকম দোকান অথবা কর্মচারীর প্রয়োজন হয় না যার কারণে এটিকে খরচ
কম এবং লাভ বেশি।
৩। এবং এ ব্যবসা যেহেতু ওটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গিয়েছে তাই এটির পণ্যের গুণাগুণ
মান অনেক বেশি উন্নত।
৪। কম খরচেই এবং কম পুজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।
৫। ক্রেতা দৈহিকভাবে না গিয়ে বিভিন্ন প্রোভাইডারদেরকে দিয়ে পণ্য নির্বাচন করাতে
পারে।
- ই-কমার্সের অসুবিধা
১। এ ব্যবসা যেহেতু পুরোটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল তাই এ ব্যবসা করার জন্য
যথাযথ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন যার ফলে অনেকেই এটি শুরু করতে পারছে না।
২। এছাড়াও এ ব্যবসা করার জন্য অনেক রকম প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় এসবের
প্রযুক্তির খরচ অনেক ব্যয়বহুল।
৩। ই-কমার্স ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয় আর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে
গেলে ডোমেন এবং হোস্টিং কিনতে হয় যা একটি খরচের ব্যাপার।
৪। আর এখানে যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বেচাকেনা হয় তাই এখানে তেমন কোন
নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না।
৫। অনেক সময় একরকম পণ্য অর্ডার দিয়ে সেটি হাতে পাওয়ার পর আরেকরকম হয়ে যায়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম
আপনাকে যদি কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করা তাহলে আপনি কয়টির নাম
বলতে পারবেন আপনি হয় হয়তোবা কয়েকটির নাম বলতে পারবেন কিন্তু বর্তমানে
দেশ-বিদেশে প্রায় কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে আর যেগুলো অনেক বেশি
ট্রাস্টেট এবং এদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক ভালো।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে আর্টিকেলের এই অংশে প্রায় বেশ কয়েকটি
প্রতিষ্ঠানের নাম বলবো। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
এর নাম গুলো।
- বাগডুম ডটকম
- অথবা ডটকম
- পিকাবু ডটকম
- আজকের ডিল ডটকম
- বিকরয় ডটকম
- কিনবি নাকি ডটকম
- প্রিয়শপ ডটকম
- টিচ বাংলা আইটি ডটকম
- আটি বাজার ডটকম
- টিচশপ ডটকম
- ইভ্যালি ডটকম
- বিডি শপ ডটকম
- রকমারি ডটকম
- দারাজ ডটকম
- অ্যামাজন ডটকম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই কমার্স সাইট কোনটি
অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট কোনটি আসলে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট হচ্ছে অ্যামাজন আর এটি সর্বপ্রথম
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৫সালের ১৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন। এবং এ
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত হলো জেফ বেজোস।
এ প্রতিষ্ঠানটি যখন অনলাইনে সর্বপ্রথম চালু হয় তখন এখানে শুধু বই পাওয়া যেত
কিন্তু বর্তমানে এমন কোন জিনিস নেই যেটি এই অ্যামাজন পাওয়া যায় না তাই সকল
জিনিসই এখানে আপনি পাবেন।
এই সাইটে আসবাবপত্র, ইলেকট্রনি, হেলথ এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস, এবং নিত্য
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায়। এই অ্যামাজনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ কাজ
করে এবং তার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নামে
আস্থার একটি জায়গা করে নিয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
ই-কমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয় এবং ই-কমাস প্রতিষ্ঠানের তালিকা গুলো কি কি
এই সম্পর্কে আপনারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে আর্টিকেল অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url