হতাশা থেকে মুক্তির উপায় এবং এর কারণ
আপনি কি শত চেষ্টার পরেও হতাশা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আজকের
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ এখানে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এটি ছাড়াও আর্টিকেলে আমরা হতাশার লক্ষণ গুলো কি কি এবং কি কি কারণে হতাশা তৈরি
হয় এ সম্পর্কেও আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনি চাইলে পড়তে
পারেন।
সূচিপত্রঃ হতাশা থেকে মুক্তির উপায় এবং এর কারণ
হতাশা থেকে মুক্তির উপায়
যেসব কারণে মানুষ কর্মহীন নিস্পৃহ হয়ে পড়ে হতাশা তার অন্যতম তাই হতাশা থেকে
মুক্তির উপায় জানা এবং এটি থেকে বের হয়ে আসা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়
দেশের প্রায় 16 শতাংশ মানুষ আজ ডিপ্রেশনে বা হতাশায় ভুগছে। হতাশা ও সাধারণ মন
খারাপ এক নয়। কমবেশি আমাদের সবারই মন খারাপ হয় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না
পেরে পারলে, কোন জিনিস কিনতে না পারলে, অথবা বৃষ্টির দিন হলেও অনেকের মন খারাপ
হয়ে যায়।
বিশেষ করে এগুলোকে মন খারাপ বলে। কিন্তু হতাশা হচ্ছে সে সকল জিনিস যাকে কেন্দ্র
করে মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকে বা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে সেই জিনিস যখন তাদের
হাতছাড়া হয়ে যায় তখন তাদের ভিতরে একরকম হতাশা কাজ করে। এর ফলে অনেক মানুষ
আত্মহত্যা করে বসে। হতাশা থেকে মুক্তির জন্য যেগুলো করা দরকার তা হলোঃ
- বেশি বেশি মানুষের সাথে মিশতে হবে এবং আপনজনদের কাছে সবকিছু খুলে বলতে হবে।
- ওই জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে হবে তাদের পরামর্শ নিতে হবে।
- যে কোন কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করতে হবে এবং নিজের উপর বিশ্বাস আস্থা রাখতে হবে।
- এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত পুরো জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।
হতাশার লক্ষণ গুলো কি কি
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কোন কিছু না পাওয়ার হতাশা কাজ করে তাই হতাশা থেকে
মুক্তির উপায় গুলো কি কি এ সম্পর্কে জানতে হবে আর এই সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা
আর্টিকেলের উপরের অংশে আলোচনা করেছি তাই এবার হতাশার লক্ষণ গুলো কি কি এ সম্পর্কে
এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব।
হতাশা এক এক মানুষের জীবনে একেক রকম হতে পারে হাসি কান্না নিয়েই একটি মানুষের
জীবন। প্রতিটি মানুষেরই ভাল খারাপ সময় আসে। ভালো সময় গুলো মানুষ খুব আনন্দে এবং
উৎফুল্লের সাথে উপভোগ করে। কিন্তু খারাপ সময় গুলো মানুষ অনেক খারাপের সাথে উপভোগ
করে। হতাশার বিভিন্ন রকম লক্ষণ রয়েছে যেমন মনে করেন আপনি একজন ক্রিকেটার হতে
চান।
তাই আপনি ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলা প্র্যাকটিস করেন এবং প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর
প্র্যাকটিস করার পর আপনি জাতীয় দলে চান্স পেলেন না। আপনার সকল স্বপ্ন লক্ষ
ধূলিসাৎহয়ে গেল। এবং এ সময় আপনি কারো সাথে তেমন কথা বলেন না একাকীত্ব থাকতে
পছন্দ করেন। এবং সব সময় ওই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন
এটি হলো মূলত হতাশা।
প্রতিটি মানুষকে হতাশা এক এক রকম ভাবে গ্রাস করে। মানুষের কখনো কখনো হতাশ বোধ
করার স্পষ্ট কোন কারণ থাকে না।
হতাশার লক্ষণগুলো হলো ঘুমের ধরন পরিবর্তন হওয়া, ক্লান্তি অনুভব করা, কোন কিছু
উপভোগ না করা নিজেকে মূল্যহীন ভাবা, কোন কাজে মনোযোগ না বসা, নিজেকে মূল্যহীন
ভাবা, কারো সাথে কথা না বলা, একাকীত্ব ভাবে থাকা,আত্মহত্যার চেষ্টা করা ইত্যাদি
সবগুলোই হলো হতাশার এক একটি লক্ষণ
হতাশা কাকে বলে
হতাশা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন কিন্তু হতাশা কাকে
বলে এ সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই ভালোভাবে জানেন না তাই আমরা এই ব্লগে
আপনাদেরকে এ সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
কোন কিছু চাওয়ার পরও সে জিনিসটি না পেলে আমাদের মধ্যে যে এক বিষন্নতা কাজ করে
তাকেই হতাশা বলা হয়। কোন কিছুর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য মানুষ যখন অনেক খাটাখাটনি
করে এবং তারপরও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনা তখনই মানুষ হতাশার সাগরে ডুবে যায়।
হতাশা হল মানুষের একটি মানসিক অনুভূতি যা অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে গেলে মানুষের
জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হতাশ হওয়া ভালো কিন্তু বেশি হতাশ হওয়া
আবার অনেক খারাপ। পৃথিবীতে মানুষ কোন না কোন দিক দিয়ে হতাশ। এমন কোন মানুষ খুঁজে
পাওয়া মুশকিল যার জীবনে কোন হতাশা নেই বা না পাওয়ার কিছু নেই।
সবারই জীবনে একটি অভাব রয়েছে। আর এই অভাব নিয়েই যখন মানুষ বারবার ভাবে চিন্তা
করে তখনই সেটিকে হতাশা বলা হয়ে থাকে। হতাশারফলে মানুষ অনেক সময় আত্মহত্যার পথ
বেছে নেয়। বাংলাদেশেই প্রায় প্রতি বছর হতাশার কারণেই অনেক তরুণ তরুণীরা
আত্মহত্যা করছে।
হতাশার উৎস
আপনি যদি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় জানতে চান এবং আপনার হতাশা দূর করতে চান তাহলে
আপনাকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে যে এই হতাশার উৎস কোথা থেকে এসেছে বা কি নিয়ে
আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করছে আপনি যদি এই জিনিসটা খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে আপনি
খুব সহজেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
কোন কিছুর ইচ্ছা পূরণ না হলে এবং কোন কাজ করার পর সফল না হলে মানুষের যে মানসিক
অবস্থা তৈরি হয় তাকেই হতাশা বলে। পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম মানুষ রয়েছে বিভিন্ন
মনের মানুষ রয়েছে। তাই হতাশাও মানুষ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করে। কেউ কেউ
হতাশ হলে একাকীত্ব থাকতে পছন্দ করে, কেউ ঘুমাতে পছন্দ করে, কেউবা ঘোরাঘুরি করতে
পছন্দ করে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মেয়েদের সেরা ১০টি হাতের কাজ
কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা হতাশার জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে
নেয়। এই হতাশা মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। পৃথিবীতে মানুষের
চাওয়া পাওয়ার কোন শেষ নেই যার যত আছে সে সতো চাই। তাই তো ইসলামে বলা হয়েছে যে
মানুষকে যদি ওহুদ পাহাড় সমান সম্পদ দেওয়া হয় তাও সে সন্তুষ্ট হবে না তার অভাব
থেকে যাবে।
আর এই অভাব টাকে হতাশা বলা হয়ে থাকে। হতাশার মূল উৎস হল কোন কিছু না পাওয়া বা
দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা কোন জিনিস না পাওয়া ইত্যাদিকে বোঝায়। যার কারণে মানুষ
হতাশ হয়।
হতাশা নিয়ে উক্তি
হতাশা নিয়ে উক্তি রয়েছে অনেক রকম এ সকল উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা এখানে কথা
বলব।হতাশা হল মানুষের একটি মানসিক ও শারীরিক একটি ব্যাধি। যার কোন বাহ্যিক
চিকিৎসা হয় না। আমরা এই পাঠে হতাশা নিয়ে কিছু উক্তি আপনাদের মাঝে তুলে
ধরব।
তুমি হতাশ হয়ো না নিজের জীবন নিয়ে কারণ হতাশ হলেই তুমি আরো পিছিয়ে পড়বে। জীবন
একটাই হতাশ হয়ে লাভ নেই জীবনকে সবসময় উপভোগ করতে হবে।
এবং জীবনে একটাই টার্গেট মিস হয়েছে তো কি হয়েছে আরো অনেকগুলো টার্গেট পড়ে আছে
সেগুলোর দিকে লক্ষ্য করতে হবে। সবসময় নিজেকে ভালবাসতে হবে তুমি যদি নিজেকে
ভালবাসতে পারো তাহলে তোমার মধ্যে কোন রকম হতাশা থাকবে না। হতাশা কোন সমাধান হতে
পারে না কারণ হতাশা মানুষকে সমাধান দেয় না মানুষকে শেষ করে দেয়।
তাই হতাশ হওয়া যাবে না সব সময় মনে সাহস রাখতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে
হবে। সবসময় মনে রাখতে হবে জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি আসবেই সবকিছুকে জয় করতে
হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক হতাশা থেকে মুক্তির উপায় এবং হতাশার বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে আজকের
এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে তাই আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে আরটিভিটিতে অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url