মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়-মানসিক চাপের কারণ
আপনারা যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে আছেন তারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি
উপায় এবং মানসিক চাপের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি এই সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি
পড়তে পারেন।
তাই আপনারা যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে আছেন এবং এই মানসিক চাপ থেকে বের
হতে পারছেন না তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
সূচিএপঃ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়-মানসিক চাপের কারণ
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়
প্রতিটা মানুষই চাই মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পেতে তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি
উপায় সম্পর্কে আমরা আজকেরে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। মানুষের
জীবনে কর্ম ক্ষেত্রে সমস্যা অর্থনৈতিক সংকট খারাপ সময় ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু এসব
বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এসব মানসিক চাপ থেকে বিভিন্ন শারীরিক ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। মানসিক চাপ
নিয়ন্ত্রণের জন্য কি কারনে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে কোন কারণে তৈরি হয়েছে এ সকল
কারণগুলো বের করতে হবে।
এবং এরপর এর কারণগুলোর সমাধান করতে হবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক চাপ কোন সময় সমাধান কর করা যায় না এর জন্য এই
সমস্যাগুলো নিজেদের কাছের মানুষ অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে হয়।
তাহলে তারাও অনেক ভাবে সান্তনা দেয় এবং মানসিক চাপ অনেক নিয়ন্ত্রণে আসে। মানসিক
চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
- ঘুমানো
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দিনে প্রায় সাত
থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো। কারণ ঘুমের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং সকল
প্রকার চাপ থেকে মুক্ত থাকে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের মানসিক চাপ তৈরি কারী বিভিন্ন হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে তারা শারীরিকভাবেও অনেক সতেজ থাকে এবং তাদের মন অনেক
উৎফুল্ল থাকে।
- খাওয়া-দাওয়া করা
মানসিক চাপে থাকলে খাওয়া দাওয়ার প্রতি মানুষের অনেক অনিহা তৈরি হয়। মনে রাখতে
হবে না খেলে শরীর আরো অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে এবং বিভিন্ন রকম রোগ তৈরি হবে। যার
ফলে মানসিক চাপ বাড়বে। তাই প্রতিনিয়ত তিন বেলা ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করতে হবে
কোন নিয়ম করা যাবে না।
- পছন্দের কাজগুলো করতে হবে
মানুষের মধ্যে যখন মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় তখন সে কি করবে ঠিক হয় না। সে সবসময়
একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করে এবং তার মাথার মধ্যে এই একটি বিষয় থাকে। তাই এ সময়
মানুষের উচিত তার পছন্দের কাজগুলো করা যেমন, ছবি আঁকা, খেলাধুলা করা, টিভি
দেখা,ইত্যাদি।এর ফলে সে মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পাই।
- খারাপ চিন্তা এড়িয়ে চলা
মানুষের মনে সব সময় খারাপ থাকে তাই যতটুক পারা যায় এই সকল খারাপ চিন্তা থেকে
নিজের মনকে দূরে রাখা এবং সব সময় ভালো চিন্তা করা। তাহলে আমরা মানসিক চাপ থেকে
অনেকটা রক্ষা পাবো।
- বন্ধুদের সাথে কথা বলা
মানসিক চাপের একটি সবচেয়ে বড় খারাপ দিক হলো একাকীত্বতা। এটি মানুষকে তিলে তিলে
শেষ করে দেয়। তাই জীবনে যতই চাপ অথবা বিপদ আসুক না কেন সবকিছু বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করতে হবে। তাহলে তারা এই সম্পর্কে সাহায্য করতে পারবে।
- ডাইরি লিখা
দুটি মানুষকেই ডাইরি লিখা অভ্যাস করতে হবে। কারণ মানুষের যখন মানসিক চাপ চিন্তা
টেনশন হয় তখন সে একাকীত্বতা ভাগ করে। তাই সে সময় সে যদি ডাইরিতে তার মুরগির ভাব
প্রকাশ করতে পারে তাহলে তার মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়।
- নিজের সাথে কথা বলা
একাকী তোর কারনেই মূলত মানুষের ভিতরে বেশি মানসিক চাপ এবং চিন্তা কাজ। তাই মানসিক
চাপ হওয়ার সময় আশেপাশে কাউকে না পেলে নিজের সাথে নিজেই কথা বলতে হবে এবং মনকে
হালকা করতে হবে।
- নিয়ম কানুন
নিজের জীবনের লক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। জীবনকে একটি রুটিন এর ভিতরে নিয়ে আসতে
হবে। এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ঘুমানো সবকিছু একটি রুটিন মোতাবেক করতে হবে তাহলে
মানসিক চাপ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
- ধ্যান করা
মানুষের চাপের সময় সবসময় নিজেকে স্থির রাখতে হবে এবং ভেঙে পড়লে চলবে না। এ
সময় নিজের মনকে শান্ত রেখে দীর্ঘ একটি নিঃশ্বাস ছেড়ে ধ্যান করতে হবে এবং
কিছুক্ষণ নিরব থাকতে হয় তাহলে মনে একটি প্রশান্তি অনুভব হবে।
মানসিক চাপের বৈশিষ্ট্য গুলো কি
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি তাই
এবার মানসিক চাপের বৈশিষ্ট্য গুলো কি এবং কি কারনে মানুষের চাপের সৃষ্টি হয় এই
সম্পর্কে আলোচনা করব। সম্পর্কে মানসিক চাপ হল মানুষের মনের মধ্যে এক ধরনের চিন্তা
ভাবনা টেনশন ইত্যাদি কে বোঝায়।
এছাড়াও বারবার নীতিবাচক চিন্তা পরিবারের চাপ বন্ধু-বান্ধব আপনজন থেকে দূরে
থাকা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা মনোযোগের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম সমস্যাই হলো এক ধরনের
মানসিক চাপ।
এই মানসিক চাপ নেই এমন মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই চাপ
থাকে কারো পরিবারের সমস্যা, কারো সংসারে সমস্যা, কারো চাকরি-বাকরির সমস্যা
ইত্যাদি মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে আর এগুলো নিয়ে মানুষ যখন চিন্তা
ভাবনা করে তখনই সেটা এক ধরনের মানসিক চাপে সৃষ্টি হয়ে যায়। এটি কি মানসিক চাপ
বলা হয়ে থাকে।
এই মানসিক চাপ মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। মানুষের দেহের বিভিন্ন রোগের
প্রাথমিক অবস্থায় হল এ মানসিক চাপ। মানসিক চাপের ফলে মানুষের দেহে বিভিন্ন রকম
রোগ বালাই হয় এবং মানুষ তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়। তাই আমাদের সবাইকে এই মানসিক
চাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে এবং। যারা এই মানসিক চাপে থাকে তাদের কে বুঝাতে হবে এবং
সান্তনা দিতে হবে।
মানসিক চাপ কি
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কে আপনারা হয়তোবা অনেকেই জেনেছেন
কিন্তু মানসিক চাপ কি? এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন তাই আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মানসিক চাপ হল মানুষের মনের মধ্যে এক ধরনের চিন্তা ভাবনা টেনশন ইত্যাদি কে
বোঝায়। এছাড়াও বারবার নীতিবাচক চিন্তা পরিবারের চাপ বন্ধু-বান্ধব আপনজন থেকে
দূরে থাকা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা মনোযোগের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম সমস্যাই হলো এক
ধরনের মানসিক চাপ।
এই মানসিক চাপ নেই এমন মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই চাপ
থাকে কারো পরিবারের সমস্যা, কারো সংসারে সমস্যা, কারো চাকরি-বাকরির সমস্যা
ইত্যাদি মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে আর এগুলো নিয়ে মানুষ যখন চিন্তা
ভাবনা করে তখনই সেটা এক ধরনের মানসিক চাপে সৃষ্টি হয়ে যায়। এটি কি মানসিক চাপ
বলা হয়ে থাকে।
এই মানসিক চাপ মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। মানুষের দেহের বিভিন্ন রোগের
প্রাথমিক অবস্থায় হল এ মানসিক চাপ। মানসিক চাপের ফলে মানুষের দেহে বিভিন্ন রকম
রোগ বালাই হয় এবং মানুষ তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়। তাই আমাদের সবাইকে এই মানসিক
চাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে এবং। যারা এই মানসিক চাপে থাকে তাদের কে বুঝাতে হবে এবং
সান্তনা দিতে হবে।
মানসিক চাপে শারীরিক প্রতিক্রিয়
আপনি যদি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনার
মানসিক চাপে শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই সবসময় মানসিক চাপ
নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন। মানসিক চাপ হল এমন একটি খারাপ দিক যা মানুষকে তিলে
তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করতে থাকে। বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হল এ মানসিক
চাপ।
যার ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে জর্জরিত হয়ে থাকে। আমরা যদি মানসিক চাপ থেকে
মুক্তি না পাই তখন তা আমাদের শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
কারণ এমন অবস্থাতে আমাদের শরীরের রক্তচাপ প্রথা ও কগিউলেশন প্রক্রিয়া সক্রিয়
হয়ে ওঠে। শরীরের বিভিন্ন ধমনী গুলো শক্ত হয়ে ওঠে হার্ট অ্যাটাক সহ নানা ধরনের
বিপদজনক রোগের থাকে। মানসিক চাপের বিভিন্ন রকম লক্ষণ আমরা দেখতে পাই যেমন মানসিক
চাপের সময় পেটব্যথা বুক ব্যথা মাথাব্যথা সহ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মেয়েদের সেরা ১০টি হাতের কাজ
ছাড়াও মানসিক চাপে মধ্যে যখন তখন মানুষের চিন্তা আরো বেশি বেড়ে যায় যার ফলে সে
অন্য কোন কাজ ভালো মতন করতে পারে না। এবং তার ঘুম ঠিকমতো হয় না যার ফলে সে রাতের
পর রাত জেগে থাকে এবং চিন্তা করে। আর এর ফলে ঘুম না হওয়ার কারণে তার শরীরে
বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আর এভাবেই মানসিক চাপে মানুষের শরীরে বিভিন্ন প্রকার
শারীরিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে।
মানসিক চিন্তা দূর করার উপায়
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার মানসিক চিন্তা দূর করার উপায় কি এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
আসলে মানসিক চাপ এবং মানসিক চিন্তা দুটোই আলাদা জিনিস মানসিক চিন্তা বলতে
বোঝায় মানুষের জীবনের বিভিন্ন রকম চিন্তাকে যেমন কারোর পরিবারের চিন্তা,
চাকরি-বাকরির চিন্তা, বাবা-মার চিন্তা, সংসারের চিন্তা ইত্যাদি।
এ সকল চিন্তাকেই মানসিক চিন্তা বলা হয়ে থাকে এগুলো হলো নতিবাচক চিন্তা।
তাই আমাদের মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকার জন্য এসব নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে
থাকতে হবে।
এবং সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে ভালো চিন্তা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন
প্রবন্ধকদের সাথে বেশি বেশি মেলামেশা করা সবকিছু শেয়ার করা আপনজনদের সবকিছু খুলে
বলা,নিয়মিত ঘুমানো, ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
এগুলোর মাধ্যমে মানুষ মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারে। এছাড়াও সে আরেকটু
ভাবে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে এবং কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেও মনের মধ্যে সকল
চিন্তা দূর করতে পারে। মানসিক চিন্তা মানুষের জীবনে অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে। যে
এসব মানসিক চিন্তা রয়েছে সে কোনদিন সামনের দিকে এগোতে পারে না।
সে সবসময়ই আগের কথা চিন্তা করে এবং পেছনে পড়ে থাকে।তাই মানুষ চিন্তা দূর করা
আমাদের সকলের জন্য অনেক দরকার। তাই বলা যায় যে মানসিক চিন্তা দূর করার জন্য
উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে মেনে চলতে হবে তাহলেই আমরা মানসিক চিন্তা থেকে
দূরে থাকতে পারবো।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল থেকে পড়ে
উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে এটি আপনাদের আশেপাশে সবাইকে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও
উপকৃত করুন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url