কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি-বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন
আপনি যদি কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিসিএস
প্রস্তুতি বই তালিকা তৈরি করতে হবে এবং কিছু নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতে হবে আর এ
সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আপনারা যারা শূন্য থেকে বিসিএস এর জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নেওয়ার
চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সূচিপত্রঃ কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি-বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন
কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি
কোনরকম কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া যায় এ সম্পর্কে আপনারা
হয়তোবা অনেক জায়গায় অনেক ভাবে খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু তারপরও সঠিক তথ্য খুঁজে
পাচ্ছেন না তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বলব যে কিভাবে আপনারা সহজেই
কোনো কোচিং ছাড়াই ভালো একটি বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কোচিং না ছাড়া বিসিএস অথবা
চাকরির পরীক্ষায় ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। আপনি যদি বিগত কয়েক বছর আগে চিন্তা
করে থাকেন তাহলে তখন কিন্তু কোন রকম কোচিং এর সিস্টেম ছিল না কিন্তু তাই বলে কি
তখন কেউ চাকরি পাইনি অথবা কেউ কি বিসিএস ক্যাডার হয়নি অবশ্যই হয়েছে।
বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বিভিন্ন রকম কোচিংয়ে ছোটাছুটি করার ফলে
তারা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলে। তাই আপনিও চাইলে কোনরকম কোচিং ছাড়াই
নিজে নিজে বিসিএস এর জন্য ভালো একটা প্রস্তুতি নিতে পারবেন কিন্তু তার জন্য
আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে বাড়িতে পড়াশোনা করতে হবে।
১। বিসিএস এর যেহেতু অনেক বড় একটি সিলেবাস তাই চেষ্টা করবেন অনার্স লেভেল থেকেই
এর প্রস্তুতি নেওয়া।
২। অনার্স লেভেল থেকে আপনি যদি বিসিএস এর প্রস্তুতি শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক
সময় পাবেন সেক্ষেত্রে অনার্সের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন কয়েক
ঘন্টা ধরে বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন।
৩। যেহেতু অনার্স শেষ করার পর বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয় তাই অনার্সের পর দিনে
প্রায় ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতে হবে ১২ ঘণ্টার বেশি পড়লে ভালো কিন্তু এর কম
পড়া যাবে না।
৪। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহ করুন কারণ বিসিএস এর সিলেবাস
যেহেতু অনেক বড় তাই আপনাকে সব জায়গা থেকে সব রকম বই সংগ্রহ করতে হবে এবং
সেগুলোকে পড়ে শেষ করতে হবে।
৫। এবং আপনি যেহেতু কোচিং ছাড়াই বিসিএস এর প্রস্তুতি নিবেন তাই বইয়ের প্রতিটা
চ্যাপ্টার অথবা অধ্যায় শেষ করার পর আপনি নিজে নিজেই সেগুলো ভালো করে রিভাইস
দিবেন এবং পারলে কারো কাছে থেকে একটি কোশ্চেন তৈরি করে ঘড়ি ধরে বাসাতে পরীক্ষা
দেন তাহলে আরো ভালো হয়।
৬। এছাড়া সবচেয়ে ভালো হয় বিগত কয়েক বছরের বিসিএসের কোশ্চেন গুলো সংগ্রহ করে
নিজে নিজেই উত্তর করা এর ফলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে।
বিসিএস প্রস্তুতি বই তালিকা
আপনি যদি কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিসিএস
প্রস্তুতি জন্য যে সকল বই রয়েছে সেগুলোকে ভালোভাবে সংগ্রহ করতে হবে এবং এ বইগুলো
খুঁটিনাটি সবকিছু আপনাকে পড়তে হবে।
বিসিএস এর বই সংগ্রহ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বিসিএস প্রিলিমিনারি যে সিলেবাস
রয়েছে সে সিলেবাস সম্পর্কে জানতে হবে কারন এই সিলেবাসে যে সকল বিষয় সম্পর্কে
বলা হয়েছে সে সকল বিষয়ের উপরেই আপনাকে বই কিনতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বিসিএস পিলিমিনারি সিলেবাস এর উপর ভিত্তি
করে বিসিএস প্রস্তুতি বই তালিকা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
- ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ
- সাধারণ জ্ঞান
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- আন্তর্জাতিক সকল বিষয়
- বাংলাদেশের সকল বিষয়
- গাণিতিক যুক্তি
- নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসন
- মানসিক দক্ষতা
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি নবম দশম একাদশ দ্বাদশ
শ্রেণীর বাংলা এবং বাংলা ব্যাকরণ বই গুলো সংগ্রহ করেন এবং বইগুলো পড়েন কারণ এই
বইগুলোতে ব্যাকরণ এবং বাংলা সাহিত্যের অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো পড়লে আপনি
অনেক কিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে হুমায়ুন আজাদে কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর
অনেকগুলো সাহিত্যের বই রয়েছে এগুলো আপনি করতে পারেন কারণ বিসিএস পরীক্ষায় এ সকল
জনপ্রিয় কবিদের সাহিত্যের উপর ভিত্তি করে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে।
- ইংরেজি ল্যাঙ্গুয়েজ
মাস্টার পাবলিকেশন এবং অ্যাডভান্স বইটি আপনি ইংরেজি জন্য সংগ্রহ করতে পারেন কারণ
এই বই দুটিতে গ্রামারের সকল বিষয়ের খুব ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া
আপনার ইংলিশের বেসিকে যদি সমস্যা থাকে তা আপনি রফিক স্যারের নিড বইটি ব্যবহার
করতে পারে এই বইটিতে বেসিক থেকে শুরু করে একেবারে স্মোকিং ইংলিশ পর্যন্ত ভালোভাবে
আলোচনা করা হয়েছে।
- সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সংবিধান নামে যে বইগুলো পাওয়া যায় সে
বইগুলো ক্রয় করতে হবে এছাড়াও নবম দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলো সংগ্রহ করতে হবে
কারণ বিসিএসে সাধারণ জ্ঞানের বেশিরভাগ প্রশ্ন এই সকল বই থেকেই আসে। এছাড়াও
অভ্যন্তরীণ বিশ্বের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন জিকে বই যেমন জুবায়েরের জিকে
এই বইটি কিনতে পারেন।
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির জন্য আপনি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর আইসিটি বইয়ের সব
কয়টি টপিক পড়লেই আপনার অনেকটা কভার হয়ে যাবে।
- আন্তর্জাতিক সকল বিষয়
আন্তর্জাতিক সকল বিষয় এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ
শ্রেণীর বইগুলো ভালো হবে সংগ্রহ করতে হবে কারণ এই বইগুলোতে এ বিষয়ে ভালো একটি
বেসিক ধারণা দেওয়া আছে। এছাড়া আপনি এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞানের
বই সংগ্রহ করতে পারেন।
- বাংলাদেশের সকল বিষয়
বাংলাদেশের সকল বিষয় যেমন দেশভাগ হওয়ার পর থেকে 1971 সাল পর্যন্ত সকল বিষয়
আপনি নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর বইয়ের মধ্যে পেয়ে যাবেন এগুলোই আর এগুলো
ভালোভাবে পড়লে আপনি বিসিএসে এ সম্পর্কে অনেকগুলো প্রশ্ন কমন পেতে পারেন।
- গাণিতিক যুক্তি
মাধ্যমিক লেভেলে যে সকল পাঠ্যবই রয়েছে সেগুলোতে ভালোভাবে গণিতের বিভিন্ন বিষয়
দেওয়া আছে এগুলো ভালোভাবে প্রথমে করে ফেলতে এছাড়াও খাই রুলস বেসিক বইটি ভালো
হবে শেষ করলে বিশেষের জন্য আর কিছু লাগে না।
- নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসন
আপনি যদি একজন মানবিকের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে এ বিষয় সম্পর্কে
জেনে থাকবেন তাই পারলে নিজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি বইগুলোকে সংগ্রহ করে
রাখবেন কারণ এখানে অনেক রকম তথ্য রয়েছে যা আপনার কাজে যেতে হবে।
- মানসিক দক্ষতা
মানসিক দক্ষতার জন্য আপনি চাইলে জর্জমেন্টালস এবিলিটি নামে একটি বই রয়েছে এ বইটি
সংগ্রহ করতে পারেন এছাড়াও খায় রুলস মেন্টাল এবিলিটিও বিসিএস এর জন্য অনেক ভালো
চাইলে এই বইটিও সংগ্রহ করতে পারেন।
কিভাবে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করবেন
কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার শূন্য থেকে কিভাবে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করবেন
এ সম্পর্কে আমরা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি একেবারে শূন্য থেকে বিশেষের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে আপনাকে কিছু
নিয়ম রয়েছে এগুলো মেনে চলতে হবে এবং এ নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে
তাহলে আপনি বিসিএস এর জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
সর্বপ্রথম আপনাকে বিসিএস পরীক্ষার যে সিলেবাস শেষ সিলেবাসটি আপনাকে সংগ্রহ করতে
হবে এটি আপনি যেকোন অনলাইন দোকানে গেলে পেয়ে যাবেন। এরপর যে কাজটি আপনাকে করতে
হবে সেটি হল বই সংগ্রহ করা বিশেষ করে অষ্টম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী এবং এই দিকে
একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর যেগুলো বোর্ড বই রয়েছে এই বইগুলোকে সংগ্রহ করতে
হবে।
এরপর আপনাকে বিগত কয়েক বছরের বিসিএসের যে কোশ্চেনগুলো রয়েছে সে প্রশ্নগুলো
একবার করে করতে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে বিসিএসের কোশ্চেনের প্যাটার্ন
কেমন হয় বা আপনাকে কোন কোন বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর যেগুলো বোর্ড বই রয়েছে এগুলো ভালো হবে প্রথমে শেষ
করবেন এরপর আপনি বাজারে গিয়ে ইংলিশ এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্য ভালো কয়েকটি বই
কিনতে পারেন এ সময় পারলে আপনার কোন শিক্ষক অথবা বড় হয়ে যারা বিসিএস দিয়েছে
তাদের পরামর্শ নিতে পারেন।
এরপর প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন কারণ বিসিএস কোশ্চেন এ
অনেক আপডেট প্রশ্ন থেকে থাকে যা আপনি খবরের কাগজ থেকে পেতে পারবেন।
আর আপনার যখন প্রস্তুতি নেওয়া অনেকটা শেষ হয়ে যাবে তখন আপনি চাইলে যে কোন একটি
কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে সেখানে পরীক্ষা দিতে পারেন এতে করে আপনার পড়াগুলোর
অনেক রিভাইস হবে এবং আপনার প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে আপনি বুঝতে পারবেন।
কোচিং এ বিসিএসের পরীক্ষার যে সকল ব্যাচ রয়েছে সেগুলোতে অনেক টাকা দিয়ে ভর্তি
হতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনার যদি সেরকম সামর্থ্য না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে
বিভিন্ন ফেসবুক পেজে রয়েছে যারা 50 টাকা 100 টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকে
আপনি সেখানে পরীক্ষা দিতে পারেন।
আর আপনি যদি এভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই বিসিএস পরীক্ষায় ভালো
কিছু করতে পারবেন।
বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন
আপনি যদি কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিসিএস
প্রস্তুতির জন্য কিছু রুটিন মেনে আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে তাহলে এই আপনি কোনরকম
কোচিং ছাড়াই বিসিএস এর জন্য ভালো একটি প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
আপনারা যারা বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই জানেন যে বিসিএস
এর সিলেবাস কতটা বড় এবং এখানে কোথায় থেকে কিভাবে প্রশ্ন আসে সেটা কেউই জানে না
যার কারণে আপনাকে খুঁটিনাটি সবকিছুই পড়তে হয়।
বিসিএসে মূলত বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে পড়তে হয় সেগুলো হল বাংলা, ইংরেজি,
গণিত, সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা, মানসিক দক্ষতা, উন্নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসন, বাংলাদেশ বিষয়গুলি এবং
আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি ইত্যাদি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বিসিএস
প্রস্তুতি রুটিন সম্পর্কে আলোচনা করব।
১। যেহেতু বিসিএস এর সিলেবাস অনেক বড় তাই প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়তে হবে যাতে
করে একেবারে কোন চাপ না পড়ে তাই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা।
২। প্রতিদিন ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে এক ঘন্টা করে গণিত করবেন কারণ র
সময় আমাদের মাইন্ড অনেক ফ্রেশ থাকে যার ফলে এই সময় দিতে গণিত করলে অনেক ভালো
হয়।
৩। এবং এরপর প্রতিদিন এক ঘন্টা করে খবরের কাগজ পড়বে কারণ বিশেষে অনেক সময় আপডেট
প্রশ্ন থাকে তাই আপনাকে প্রতিদিন খবরের কাগজ করতে হবে।
৪। এরপর সকাল সাতটা থেকে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ইংরেজি বাংলা আন্তর্জাতিক
বিষয়গুলি এবং বাংলাদেশ বিষয় বলে গুলো ভালোভাবে পড়বেন।
৫। এরপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে দুপুর 2 টা থেকে একেবারে
পাঁচটা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক বিষয় বলি এবং সাধারণ জ্ঞান
ভালোভাবে পড়তে হবে।
৬। এবং এরপর এক ঘন্টা রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে একেবারে রাত ১১ টা পর্যন্ত
বাদবাকি যে সকল বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলোকে পড়তে হবে যেমন কম্পিউটার উত্তর থেকে
যুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ ও সুশাসন, ভূগোল, মানসিক দক্ষতা ইত্যাদি।
অনার্স থেকে বিসিএস প্রস্তুতি
আপনি যদি অনার্স থেকে বিসিএস প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম
মানতে হবে এবং সে নিয়ম গুলো মেনে আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। সর্বপ্রথম যে
বিষয়টি সেটি হচ্ছে সঠিক সিলেবাস অনুসরণ করা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে বিসিএস
পরীক্ষার সিলেবাস কেমন হয় বা কোন কোন বিষয় সম্পর্কে পড়তে হয়।
এরপর আপনাকে অবশ্যই সে সকল বিষয়ের উপরে বই সংগ্রহ করতে হবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে
আপনার বড় ভাই অথবা শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে পারেন। এবং বিগত বছরের যতগুলো কোশ্চেন
প্যাটার্ন রয়েছে সেগুলো বারবার করে লারাঘাটা করতে হবে তাহলে আপনি ভালো একটি
ধারণা পাবেন।
এরপর নিয়মিত একবেলা করে হলেও বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং বাদবাকি
সময় গুলোতে আপনাকে অনার্সের প্রাতিষ্ঠানিক পড়া গুলো করতে হবে। যেহেতু অনার্সের
পর বিসিএস দিতে হয় তাই আপনি যদি অনার্স থেকে প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনাকে অনার্সে
অল্প অল্প করে পড়লেও আপনার অনেকটা কভার হয়ে যাবে।
এবং পড়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খাতায় লেখার অভ্যাস তৈরি করুন এতে করে
গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো আপনার ভালোভাবে মনে থাকবে। এবং আপনার দুর্বল বিষয়গুলোকে
ভালোভাবে নোট করুন এবং সেগুলোই বারবার করে পড়ুন এবং সেগুলোকে বারবার করে রিভাইস
দিন।
এরপর আপনার মোটামুটি যখন প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে তখন আপনি যে কোন একটা
কোচিংয়ে পরীক্ষার ব্যাচে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন এতে করে আপনার
প্রস্তুতিটা আরো ভালো হবে।
লেখকের মন্তব্য
কিভাবে কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়া যায় এই সম্পর্কে আজকের এই
আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে তাই আপনারা যারা বিসিএসের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য
আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো
লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন এবং আর্টিকেলটি
বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url