ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়-সিগারেট ছাড়ার পর করনীয়


আপনি কি শত চেষ্টা কর ধূমপান থেকে বের হতে পারছেন না তাহলে ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায় এবং ধূমপান অর্থাৎ সিগারেট ছাড়ার পর করণীয় কি এ সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়


কারন আমাদের এই আর্টিকেলে ধূমপান থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার হয়েছে তাই আপনি চাইলে আর্টিকেলটি একবার পড়তে পারেন।

সূচিপত্রঃ ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়-সিগারেট ছাড়ার পর করনীয়

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়

আপনি কি ধূমপান ছাড়া চেষ্টা করছেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে আর এই সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবেন। 
আমরা কম বেশি সবাই জানি যে ধূমপানে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে যেমন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান, ব্রেন স্টোক ইত্যাদি আর এ সকল স্বাস্থ্য ঝুঁকি জানার পরেও অনেকে প্রতিনিয়ত এই ধূমপান করেই যাচ্ছে। এছাড়াও সিগারেটের প্রতিটি প্যাকেটের সামনে বিভিন্ন রকম অসুখের ছবি দেওয়া থাকে কিন্তু এগুলো দেখেও মানুষ এদিকে সেবন করে। 

কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা করে কিন্তু শত চেষ্টা করেও তারা এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
  • ঘন ঘন চা খাওয়া
আপনি যদি ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি করে চা খেতে হবে। 

কারণ আপনি যখন ধূমপান করার পুরোপুরি ছেড়ে দিবেন তখন আপনি যে সময়গুলোতে ধূমপান করতেন সে সময় গুলো আপনার প্রচুর ধূমপানের নেশা হতে পারে অথবা মাথা ব্যথা করতে পারে তাই সে সময় গুলোতে করা করে আদা দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস করবেন তাহলেই আপনি আস্তে আস্তে ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
  • জর্দা ছাড়া পান খাওয়া
আপনি কোনদিনই কয়েক বছরের অভ্যাস ধূমপান করা এক দিনে বা কয়েক মাসে ছাড়তে পারবে না এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে অন্য কোন দিকে যেতে হবে যাতে করে ধূমপানের কথা আপনার মনেই না থাকে আর এর জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে পান খাওয়া। 

আপনি যদি একেবারেই ধূমপান ছাড়তে না পারেন তাহলে আপনি ধূমপান না করে সে সময়গুলোতে পান খেতে পারেন কিন্তু পানটি আপনাকে অবশ্যই জর্দা ছাড়া খেতে হবে কারণ জর্দাও তামাকের মত অনেক ক্ষতি কর।
  • আদা ও আমলকি ট্যাবলেট
ধূমপানের নেশা থেকে নিজেকে বাঁচাতে আদা আমলকি লেবু সল্ট ও মধু একসাথে মিশে ঘন করে ট্যাবলেটের আকার করে এগুলো রোদে শুকোতে দিন এবং শুকনো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন। যখনই আপনার ধূমপান করার নেশা হবে তখনই আপনি এগুলো খাবেন এতে করে ধূমপান থেকে আপনি অনেকটা বাঁচতে পারবেন।
  • গ্রিন টি পান করা
ধূমপান থেকে মুক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে নিয়মিত গ্রিন টি পান করা কারণ বৈজ্ঞানিক দ্বারা প্রমাণিত যে দিনটিতে রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আর অ্যামিনো অ্যাসিড যা ধূমপানের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও গ্রিনটিতে অনেক রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার যখন ধূমপান করার প্রবল নেশা উঠবে তখন আপনি গ্রিন টি ট্রাই করতে পারেন এতে করে আপনার নেশাটা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
  • মধু ও দারুচিনি
ধূমপান থেকে বাঁচার আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে দারুচিনি ও মধু দারচিনি গুড়া করে এর সাথে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং যখন যখন ধূমপানের ইচ্ছা হবে তখন তখন এই মিশ্রণটি পানিতে মিশিয়ে সেবন আশা করি আপনার ধূমপানের নেশা দূর হয়ে যাবে।
  • বাইরের খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া
ধূমপান থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে বাইরের খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া কারণ আপনি যখন বাইরে থাকবেন বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে থাকবেন তখনই আপনার ধূমপান করার কথা মনে পড়বে আর এ সময়ই আপনি বাইরে থেকে যেকোন জিনিস সেটি হতে পারে চিপস, চকলেট, কোক, ইত্যাদি খাবেন এতে করে আপনার ধূমপানের ইচ্ছা দূর হয়ে যাবে।
  • ফলমূল বেশি বেশি খাওয়া
আপনি যখন বিভিন্ন রকম ভিটামিন যুক্ত ফলমূল বেশি বেশি করে খাবেন তখন আপনার শরীরের ভেতর জমতে থাকা বিভিন্ন রকম টক্সিক এটি দূর করে দিবে আর এর ফলে আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা অনেকটা কমে যাবে।

সিগারেট ছাড়ার পর করনীয়

ধূমপান করার অভ্যাসটি আপনার যেমন একদিনে তৈরি হয়নি তেমনি আপনি চাইলেও এ অভ্যাসটি একদিনে ত্যাগ করতে পারবেন না এর জন্য আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে কিন্তু আপনি যদি ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায় গুলো ভালোভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। 

আর এ সকল উপায় কাজে লাগিয়ে আপনি যদি একবার ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন তাহলে এরপর ধূমপানের ফলে আপনার শরীরে যে ক্ষতি হয়েছে এগুলোকে মেরামত করতে হবে যাতে করে আপনার স্বাস্থ্য টিকে আগের মত ফিরিয়ে আনা যায়। আর তাই ধূমপান অর্থাৎ সিগারেট ছাড়ার পর করনীয় এগুলো কি কি এ সম্পর্কে আজকে আমরা এখানে বিস্তারিত জানবো।

প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়াঃ সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য এবং শরীরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য পুষ্টিকর ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যারা ধূমপান থেকে বেরিয়ে এসেছে তাদের জন্য তো আরো গুরুত্বপূর্ণ। 
কারণ বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজিত এগুলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার যা তামাক ব্যবহারজনিত ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে থাকে বিশেষ করে আঙ্গুর, রেড বেরি, গারো সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি, মিষ্টি আলু, বাদাম চা ইত্যাদি।

প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করেঃ প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা আমাদের প্রত্যেকের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

বিশেষ করে যারা সবেমাত্র ধূমপান থেকে বেরিয়ে এসেছে তাদের জন্য তো আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অনেক ভালো আপনি যদি ৩০ মিনিট প্রতিদিন ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার ভারি কোন ব্যায়ামের প্রয়োজন হবে না। প্রতিদিন ৩০ মিনিট দেন আমাদের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিকোটিন সেবন করে তাদের ঘুমের মাত্রা অনেক কম থাকে এবং যার ফলে হিদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। আর তাই আপনি যেহেতু এখন ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাই এখন বেশি বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করুন এতে ফলে আপনি এ সকল স্বাস্থ্য যুগে থেকে বাঁচতে পারবেন।

চিন্তা মুক্ত থাকাঃ মানসিক চিন্তা টেনশনের সাথে ধূমপানের একটি সংযোগ রয়েছে অনেকে রয়েছে যারা বিভিন্ন রকম মানসিক চিন্তার ফলে ধূমপানে আবার পুনরায় ফিরে যায় তাই সবসময় চেষ্টা করবেন নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখার।

ধূমপান থেকে মুক্তির উপায়

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার ধূমপান্থে মুক্তির উপায় সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এখন ধূমপানে আসক্ত তারা ইচ্ছা করলেও এখন ধূমপান ছাড়তে পারছে না কারণ তাদের পক্ষে এটি ছাড়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। 

অনেকের রয়েছে যারা তাদের পরিবার,বন্ধু বান্ধব, অফিস সহকারী ও চিকিৎসকের নিষেধ অমান্য করেও ধূমপান করেই যাচ্ছে যারা ধূমপান এ আসক্ত তারা তাদের নিজেরাই নিজেদেরকে কন্ট্রোল করতে পারেন না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে বলবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনার খুব সহজে ধূমপান থেকে মুক্তি পাবেন।

বন্ধুবান্ধবদের সাথে কম মেলামেশা করাঃ বর্তমানে ধূমপানের সবচেয়ে অন্যতম কারণ হচ্ছে এই বন্ধুবান্ধব কারণ বন্ধুবান্ধবরা যখনই একসাথে হয় তখনই তারা ধূমপান করে থাকে তাই সবসময় চেষ্টা করবেন আড্ডার মধ্যে একটু কম যাওয়া এতে করে আপনি ধূমপান থেকে অনেকটা রক্ষা পেতে পারেন।
ধূমপান করার কারণ খুঁজে বের করাঃ আপনি কোন কারণে ধূমপান করছেন সে বিষয়টি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেকে রয়েছে যারা একটু ভালো মন্দ খাবার খেলেই ধূমপান করতে ইচ্ছা করে বিশেষ করে গরুর মাংস, কাচ্চি বিরিয়ানি ইত্যাদি তাই চেষ্টা করবেন কয়েকদিন শাকসবজি এবং ফলমূল বেশি বেশি করে খাওয়া।

বেশি বেশি করে আদা চা খাওয়াঃ আপনি যদি ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি করে চা খেতে হবে। 

কারণ আপনি যখন ধূমপান করার পুরোপুরি ছেড়ে দিবেন তখন আপনি যে সময়গুলোতে ধূমপান করতেন সে সময় গুলো আপনার প্রচুর ধূমপানের নেশা হতে পারে অথবা মাথা ব্যথা করতে পারে তাই সে সময় গুলোতে করা করে আদা দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস করবেন তাহলেই আপনি আস্তে আস্তে ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

চকলেট অথবা চুইংগাম খানঃ ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে চকলেট এবং চুইংগাম খাওয়া আপনার যখনই ধূমপান করার আগ্রহ জাগবে তখনই আপনি দোকান থেকে একটি চকলেট অথবা চুইংগাম কিনে খেতে পারেন এতে করে সেই সময় আপনার ধূমপান করতে মন চাইবে না।

নিয়ম নীতি মেনে জীবন যাপন করুনঃ বর্তমানে যারা ধূমপান করে তাদের প্রত্যেকের জীবন যাপন এবং চলাফেরার কোন ঠিক ঠিকানা নেই তারা রাতে ঘুমায় দুইটা তিনটার দিকে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা দুইটার দিকে। তাই ধূমপান ছাড়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করবেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করা।

জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াঃ আপনি যখন ফজর যোহর আসর মাগরিব এশার নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করবেন তখন আপনার আর ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে না তখন মনে হবে যে এখন ধূমপান করলে আমার পরবর্তী নামাজটা আর হবেনা।

নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখাঃ যখন আপনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকবেন তখন আপনারা ধূমপান করার কথা মনে পড়বে না তাই সবসময় চেষ্টা করবেন নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াঃ আপনি যদি কোন মতই ধূমপান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন কারণ তাদের কাছে নিকোটিন এর বিভিন্ন রিপ্লেসমেন্টের থেরাপি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগে

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগে আসলে এ প্রশ্নের তেমন কোন উত্তর নেই কারণ এটি সম্পূর্ণ আপনার করে নির্ভর করে আপনি যদি মনে করেন যে আমি আজ সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেব তাহলে আপনি আজ থেকে পারবেন আবার আপনি যদি চিন্তা করেন যে আমি এক মাস পর ছেড়ে দেব তাহলে এক মাস পরে ছাড়তে পারবেন। 
কিন্তু আমার মতে আপনি একদিনেই এটি ছাড়তে পারবেন না কারণ এ অভ্যাসটি আপনার একদিনের নয় এটি আপনি ধীরে ধীরে দীর্ঘ করেছেন। তাই সবচাইতে ভালো হবে আপনি যদি আস্তে আস্তে করে থাকতে পারেন। 

মনে করেন আপনি প্রতিদিন দশটা করে সিগারেট খান সেখানে আপনি দিন প্রতি একটি করে কম করে খাবেন এতে করে দশ দিনের মাথায় আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারবেন। 

এরপর আপনি যখন সিগারেট ছেড়ে দিবেন তার চারদিন পর থেকেই আপনি আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন বুঝতে পারবেন ডাক্তারদের মতে সিগারেট ছাড়া প্রায় কয়েক বছর পর ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। 

এছাড়াও সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং হাত ও পায়ের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এভাবে করে ধীরে ধীরে যতদিন যাবে আপনার শরীর সুস্থ হতে থাকবে।

সিগারেট ছাড়ার উপকারিতা

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আগের অংশে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার এই অংশে সিগারেট ছাড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ধূমপান ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিট পর থেকে শরীর রক্তচাপ ও নারীর গতি স্বাভাবিক হতে। 

এছাড়াও 12 ঘন্টা ধূমপান না করলে এর জ্বলন্ত আগুনের যে বিষক্রিয়া থাকে এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না যার ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং রক্ত অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়।

 ধূমপান ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পর আপনি সকল কিছুর স্বাদ এবং গন্ধ ভালো ভাবে নিতে পারবেন এবং আপনার বুকের ভেতরটা অনেক হালকা হয়ে আসবে যার কারণে নিঃশ্বাস নিতে কোন কষ্ট হবে না। কারণ এতদিন নিকোটিন গ্রহণ করার কারণে এগুলোতে অনেক বাধা সৃষ্টি হতো। 
এছাড়াও ধূমপান ছাড়ার কয়েক মাস এবং কয়েক বছর পর স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল ঠিকভাবে চলবে এবং অক্সিজেনের মাত্রা আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে যার কারণে হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে আসবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা ধূমপান থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url