এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এবং এ ব্যবসার নিয়ম
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এবং এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে কত
টাকা লাগে এই সম্পর্কে আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের
জন্য।
এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কি এবং এ ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয় এ সম্পর্কেও
আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই আশা করি আর্টিকেলটি আপনার
ভালো লাগবে।
সূচিপত্রঃ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এবং এ ব্যবসার নিয়ম
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব
বর্তমানে অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন থাকে যে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব
তাই আজকের এই আর্টিকেলে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা করার জন্য কিভাবে লাইসেন্স
করতে হয় এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট মানে আমরা অনেকেই জানি যেকোনো পণ্য অন্য দেশ থেকে আমদানি করা
অথবা রপ্তানি করাকে বোঝায় যেহেতু এই ব্যবসাটি বাইরের দেশের সাথে হয়ে থাকে তাই এ
ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি হয় তাই বর্তমানে অনেক মানুষই এ ব্যবসা করছে।
তাই আপনি যদি কোন পণ্য এক্সপোর্ট ইমপোর্টে এর ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে
অবশ্যই এটি লাইসেন্স করতে হবে আর এই লাইসেন্স কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে আমরা আজকের
এই আর্টিকেলে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। বর্তমানে মূলত এই লাইসেন্স আপনি দুই ভাবে
করতে পারবেন একটি হলো অনলাইন এবং অন্যটি হলো অফলাইন।
- অনলাইনের মাধ্যমে এক্সপোর্ট ইমপোর্টে লাইসেন্স করার নিয়ম
এক্সপোর্ট এবং ইমপোর্ট এর লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন
করতে হবে আর এই আবেদন করার জন্য আপনাকে তাদের https://olm.ccie.gov.bd এই
ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে একটি আইডি খুলতে হবে।
আর এই আইডি খোলার জন্য আপনার নাম মোবাইল নম্বর. আপনার মেইল নাম্বার এবং আপনার
আইডি লগইনের জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
এরপর আপনার একটি ইউজার আইডি তৈরি হবে এবং এই ইউজার আইডিতে আপনি যদি আমদানি
লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে আইআরসি IRC ফরম পূরণ করতে হবে কিন্তু আপনি যদি
রপ্তানি লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে ERC ফর্ম পূরণ করতে হবে।
সকল তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে এরপর সেগুলোকে সাবমিট করতে হবে এবং সাবমিট করার পর
আপনাকে যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং থেকে পেমেন্ট করতে হবে। এরপর আপনার কিছু
কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট
সাইজের রঙিন কিছু ছবি।
এছাড়াও আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট চেম্বার অফ কমার্স এর ট্রেড
লাইসেন্স প্রয়োজন হবে আর এ ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই চেম্বার
অফ কমার্সের সদস্য হতে হবে। এছাড়াও এর সাথে আপনার তিন সার্টিফিকেট এবং ভ্যাট
সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
এরপর আপনার আবেদন যদি যথাযথভাবে হয়ে থাকে তাহলে আপনার লাইসেন্স পেতে সাত থেকে ১০
দিন সময় লাগবে।
- অফলাইনের মাধ্যমে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করার নিয়ম
অনলাইন এর মত একই পদ্ধতিতে অফলাইনেও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর লাইসেন্স আপনি করতে
পারবেন অফলাইনে আপনি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে আমদানির
রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে।
এবং এই ফর্মটি ভালো হবে আপনাকে পূরণ করতে হবে ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে আপনার
জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের কয়েকটি রঙিন ছবি লাগবে।
এবং এর সাথে আরো লাগবে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স টিম
সার্টিফিকেট এবং ভ্যাট সার্টিফিকেট এগুলো সব কিছু একসাথে করে আমদানি ও রপ্তানি
প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে জমা দিতে হবে সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি ৭ থেকে ১০ দিনের
মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এ সম্পর্কিত সকল তথ্য আমরা উপরের অংশে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এ
সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা তাই এ
ব্যবসা করে অনেকে খুব তাড়াতাড়ি অধিক টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি চাইলে
এই ব্যবসা করতে পারবেন কিন্তু তার আগে আপনাকে লাইসেন্স করতে হবে এবং এই লাইসেন্স
করতে আপনার কিছু টাকার প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি রপ্তানি লাইসেন্স নিতে চান তাহলে আপনাকে ৭ হাজার টাকা এবং এর সাথে ১৫%
ভ্যাট জমা দিতে হবে এছাড়াও নবায়ন করার জন্য আর অতিরিক্ত ১০০০ টাকা আপনাকে জমা
দিতে হবে।
এছাড়াও আপনি যখন অন্যান্য দেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি করবেন তখন
আপনাকে বাৎসরিক কিছু ফ্রি জমা দিতে হবে মনে করেন আপনার প্রথম বছর আমদানি হচ্ছে ৫
লক্ষ টাকা তাহলে আপনাকে বছরে তার জন্য তিন হাজার টাকা নবায়ন ফ্রি দিতে হবে।
এভাবে করে আপনার আমদানি যত বাড়বে আপনার বাৎসরিক নবায়ন ফিস ও ধীরে ধীরে বাড়বে।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসার নিয়ম
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এ সম্পর্কে আপনারা হয়তোবা অনেকেই উপরের
অংশ থেকে জেনেছি তাই এবার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে এই
অংশে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
এক্সপোর্ট ইমপোর্টে ব্যবসা করার আগে আপনাকে জানতে হবে যে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট মানে
কি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট হচ্ছে ইংরেজি শব্দ যার বাংলা হচ্ছে রপ্তানি এবং আমদানি।
রপ্তানি মানে হচ্ছে নিজের দেশে তৈরি পণ্য বাইরের দেশে বিক্রি করা এবং আমদানি
হচ্ছে বাইরের দেশ থেকে যে কোন কন্যা কিনে এনে নিজের দেশে বিক্রি করা।
তাই আপনি যদি এক্সপোর্ট ইমপোর্টের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু জিনিস
বুঝতে হবে। আপনি যখন ইমপোর্ট অর্থাৎ আমদানির ব্যবসা করবেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে
যে আপনার আশেপাশের মানুষের কোন জিনিসটা সবচাইতে প্রয়োজন সে জিনিসটি আপনাকে
বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
এবং এক্সপোর্ট অর্থাৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন জিনিসটি অন্যান্য দেশের তুলনায়
আপনার দেশে ভালো উৎপন্ন হয়। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি
যদি গার্মেন্টসে এক্সপোর্ট ব্যবসা করতে পারেন কারণ আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের
দেশ পোশাক শিল্পের জন্য অনেক উন্নত।
সে ক্ষেত্রে আপনি যদি নিজস্ব পরিকল্পনায় একটি গার্মেন্টস তৈরি করেন এবং সেখানে
বিভিন্ন রকম কাপড় তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণ
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কি
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করব এ সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে প্রথমে
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কি এ সম্পর্কে জানতে হবে কারণ আপনি যদি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট
সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনি লাইসেন্স করেও ব্যবসায় খুব একটা লাভ করতে পারবেন
না তাই আপনাকে প্রথমে এটি সম্পর্কে জানতে হবে।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে রপ্তানি এবং আমদানি রপ্তানি বলতে
নিজের দেশের কোন পণ্য অন্য দেশে বিক্রি করাকে বোঝানো হয়ে থাকে এবং আমদানি বলতে
অন্য কোন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে এসে নিজের দেশে বিক্রি করাকে বোঝাই।
বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা এক্সপোর্ট ইমপোর্টে ব্যবসা করে খুব তাড়াতাড়ি
সফলতা অর্জন করছে। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা আপনি যদি করতে চান তাহলে আপনাকে
অবশ্যই বুঝতে হবে যে কোন পণ্য কোথায় কিভাবে ভালো চলে তাহলে আপনি খুব সহজে ব্যবসা
লাভবান হতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা জন্য কিভাবে লাইসেন্স করতে হয় এ সম্পর্কে আজকের এই
আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাই আপনাদের যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে
আর্টিকেলটিতে একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url