সকল প্রকার মাদক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন


প্রিয় পাঠক আপনি যদি মাদক থেকে মুক্তির উপায় অর্থাৎ হিরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা এবং গাঁজার নেশা থেকে মুক্তির উপায় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।

মাদক থেকে মুক্তির উপায়


তাই আজকে এই আর্টিকেলটি আপনি যদি পুরোপুরি পড়েন এবং সকল বিষয় মেনে চলেন তাহলে আপনি অবশ্যই মাদক থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ সকল প্রকার মাদক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন

মাদক থেকে মুক্তির উপায়

প্রত্যেকটা মাদককারীদের মাদক থেকে মুক্তির উপায় জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমানে সময়ে ১০০% মানুষের মধ্যে প্রায় ৬০% মানুষই মাদকাসক্তির সাথে জড়িত। বর্তমানে আমাদের সমাজে যতগুলো মানসিক ব্যাধি রয়েছে তার মধ্যে মাদকাসক্তি হচ্ছে অন্যতম মাদকদ্রব্য গ্রহণের যে প্রবণতা বা নির্ভরশীলতা তাকেই মূলত মাদকাসক্তি বলা হয়ে থাকে। 
পরিবারের একজন যদি মাদকাসক্তির সাথে জড়িত থাকে তাহলেই তার জন্য পুরো পরিবারই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে থাকে তাই মাদকাসক্তি থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। মাদকের নেশা এমন একটি ভয়ঙ্কর নেশা যে নেশায় মানুষ একবার পড়লে সে আর কনো ভাবেই এটি থেকে বেরিয়ে আসতে না সে নিজে থেকে চাইলেও এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। 

আসলে মাদক থেকে বের হয়ে আসে একটু কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয় আপনি যদি নিজেকে কিছু নিয়মের ভিতরে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই মাদকের নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। 

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই নিজেকে মাদক থেকে মুক্ত করতে পারবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং কুরআন তেলাওয়াত করুনঃ আপনি যদি মাদক ছেড়ে একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হবে। আপনি যখন জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন তখন প্রতি ওয়াক্তে আপনাকে মসজিদে যেতে হবে যার কারণে আপনি মাদকদ্রব্য সেবন করার কোন সুযোগই পাবেন না। 

এছাড়াও প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার কুরআন তেলাওয়াত করার চেষ্টা করবে আপনি যদি কুরআন পড়তে পারেন তাহলে মোবাইলে ইউটিউবে কোরআন তেলাওয়াত শুনবেন এতে করে আপনার মনে একটি প্রশান্তি আসবে। আপনি যদি একাদশ গুলো করতে পারেন আমি নির্দ্বিধায় দিতে পারি আপনি খুব সহজেই মাদক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

খারাপ বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকাঃ আপনি যে সকল বন্ধুবান্ধবদের সাথে একসাথে বসে মাদকদ্রব্য সেবন করতে সে সকল বন্ধু-বান্ধবের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দিতে হবে কারণ আপনি যতদিন না এ সকল বন্ধু সার্কেল ছারতে পারবেন ততদিন পর্যন্ত আপনি মাদকদ্রব্য ছাড়তে পারবেন না। 

মানুষ মাদক সেবন করা শুরু করেই বিভিন্ন রকম বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সকল ফ্রেন্ড সার্কেল ছেড়ে চলে আসুন।

নিজের মনোবল শক্ত করুনঃ আমি আপনাকে যতই বলি মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা কিন্তু আপনি যদি নিজে থেকে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ না হয় তাহলে আপনি কোনদিন এটি ছাড়তে পারবেন না তাই আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন যে আমি আর কোনদিন মাদকদ্রব্য সেবন করব না।

ভালো বন্ধু-বান্ধব তৈরি করুনঃ মাদক এর নেশা ছাড়া আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে ভালো বন্ধু বাছাই করা আপনি যদি কয়েকটি ভালো বন্ধু বাছাই করতে পারেন এবং তাদের সাথে মেলামেশা করতে পারেন তাহলে আপনারও মন চাইবে যে আমিও তাদের মত হয়। 

আর এমনিতেও আপনার যদি ভালো বন্ধু থাকে তাহলে সে বন্ধু কোনদিনই আপনাকে মাদকের কথা বলবে না বরং সেটি থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসবে।

জায়গা পরিবর্তন করুনঃ আপনি যে জায়গায় বসে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য সেবন করেন সেই সকল জায়গায় যাওয়া বন্ধ করে দিন কারণ আপনি সেই জায়গায় গেলে আপনার আবার মাদক সেবন করতে ইচ্ছা করবে।

ভালো-মন্দ খাওয়া-দাওয়া করাঃ মাদকের নেশা ছাড়ার আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে খাওয়া দাওয়া করা আপনার যখন যখন মাদক সেবন করত ইচ্ছা করবে তখনই আপনি বিভিন্ন রকম ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া করার মাধ্যমে এটিকে ভুলে থাকতে পারবেন। 

যখনই আপনার মাদক সেবন করতে ইচ্ছা করবে তখনই আপনি চাইলে কোন রেস্টুরেন্ট অথবা হোটেলে গিয়ে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়া করলেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ মাদক পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার পর প্রথমদিকে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দিতে পারে অনেক সময় প্রচন্ড পরিমাণ মাথা ব্যথা শরীর ব্যথা হতে পারে তাই সে সময় গুলোতে আপনি শরীরচর্চার জন্য বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করতে পারেন এতে করে আপনার শরীর অনেক ভালো থাকবে। 

সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি একটি জিমে ভর্তি হতে পারেন এবং প্রতিনিয়ত জিম করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই মাদক থেকে বেরিয়ে আসছে।

আদা দিয়ে কড়া করে চা খাওয়াঃ মাদকের নেশা ছাড়া আর একটি ভালো উপায় হচ্ছে প্রতিনিয়ত আদা দিয়ে কড়া করে চা খাওয়া কারণ কড়া করে আদা দিয়ে আপনি যখন চা খাবেন তখন আপনার মাদকের নেশা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

গাজার নেশা থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমানে সবচাইতে ভয়ানক একটি মাদক দ্রব্য হচ্ছে গাঁজা তাই এ সকল মাদক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানা প্রত্যেকটি মাদকাসক্তি ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই মাদকদ্রব্য টি অন্যান্য মাদকদ্রব্য চাইতে অনেক সহজভাবে এবং কম দামে পাওয়া যায় যার কারণে প্রতিটা মাদকাসক্তি ব্যক্তির কাছে এটির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। 

তামাক পাতা এবং তামাক গাছের মতো গাঁজারও গাছ এবং পাতা রয়েছে এগুলোকে শুকিয়ে গুড়ো করে বিভিন্ন পেপার অথবা বাঁশিতে নিয়ে আগুন ধরিয়ে সিগারেটের মতো করে খাওয়া হয়ে থাকে সিগারেটের ধোয়ার থেকে এটি ধোঁয়া অনেক বেশি কড়া হয়ে থাকে। 

এটির নেশা এমন মারাত্মক যে কেউ নিজে থেকে চাইলেও এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না যার কারণে তার বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে যেমন শরীর শুকিয়ে যাওয়া, ভুলভাল কথা বলা, একটুতেই মাথা গরম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা গাজার নেশা থেকে মুক্তির উপায় এবং এটি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করব।
১। গাঁজা সেবন করে এমন কোন বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা করবেন না এবং পারলে তাদের ফোন নাম্বার ও ফেসবুক ফ্রেন্ড থেকে ব্লক করে দিবেন যাতে করে তারা আপনাকে কোন ভাবে বিরক্ত করতে না পারে।

২। আপনি যে সকল জায়গায় গাঁজা সেবন করতেন সেসব জায়গাতে একটু কম যাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ সেখানে গেলে আপনার আবার গাঁজা সেবন করতে ইচ্ছা করতে পারে।

৩। বেশি বেশি করে চা কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন কারণ এগুলো জিনিস মানুষকে মাদক থেকে দূরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।

৪। এছাড়াও যদি কোনদিন গাঁজা সেবন করে থাকেন তাহলে আপনি সাথে সাথে টক জাতীয়জিনিস যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খাবেন এতে করে আপনার নেশা সাথে সাথে কেটে যাবে।

৫। এবং নিজের কাছে নিজেকে সবসময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রাখবেন যে আমি আর কোনদিন এসব খাব না কারণ আপনি যদি নিজে ঠিক না হতে পারেন তাহলে আপনার কেউ ঠিক করতে পারবে না।

৬। সবসময় নিজেকে বিভিন্ন রকম কাজে ব্যস্ত রাখবেন এতে করে আপনি আস্তে আস্তে এগুলোর কথা ভুলে যাবেন।

৭। গাজা সেবন করা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার পর আপনার শরীরে অনেক রকম পরিবর্তন আসতে পারে তাই এ সময় যেমন মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে কিন্তু এর কারণে আবার গাঁজা সেবনে ফিরে যাবেন না পারলে এ সময় বেশি বেশি করে ব্যায়াম করবেন।

হিরোইন নেশা ছাড়ার উপায়

হিরোইন জাতীয় এ সকল মাদক থেকে মুক্তির উপায় গুলো অনুসরণ করা অনেক কঠিন তা অস্বীকার করার মত কিছু নেই কিন্তু কঠিন হলেও কিন্তু অসম্ভব নয় আপনি যদি আপনার মনোবল ঠিক রাখেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। 

হিরোইন হচ্ছে মাদকের জগতে সবচাইতে ভয়ানক একটি মাদক দ্রব্য এ মাদকের ফলে অনেক পরিবার ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে এবং শেষ হয়ে যাচ্ছে জীবনের অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা। 

তাই আপনি যদি এই নেশাই আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এটি থেকে বেরিয়ে আসুন আর আপনি যদি বেরিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য আপনার পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হিরোইন নেশা ছাড়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
  • পারিবারিক ও বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায়
হিরোইনের নেশা একবার যে করে সে সহজে এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না এর জন্য তার পারিবারিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। 

তাই আপনি যদি এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে কোন লজ্জা বা দ্বিধা দ্বন্দ্ব না করে আপনার পরিবারকে নিকটতম বন্ধু-বান্ধবদেরকে এ বিষয়ে খুলে বলুন দেখবেন সকলেই আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আর সবাই যখন আপনাদের গাইড করবে তখন আপনি আর কোনভাবেই মাদকে ফিরে যেতে পারবেন না।
  • নিজের মনোবল শক্ত করা
আপনি যদি হিরোইনের নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে নির্দিষ্ট একটি তারিখ ঠিক করুন এবং সেই তারিখ থেকে একেবারে এটি সেবন করার বন্ধ করে দিন আপনি যদি মনে করেন যে ধীরে ধীরে এটি থেকে বেরিয়ে আসবেন তাহলে আপনি কোনদিনই পারবেন না। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন নিজের মনোবল শক্ত করে এটি থেকে একদিনে বেরিয়ে চলে আসে।
  • পুনর্বাসন করা
হিরনের নেশা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে মাদককারীকে পুনর্বাসন করতে হবে যাকে আমরা রিহাব বলে থাকি। এই রিহাবে মাদককারীদেরকে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে প্রশিক্ষণ এবং মাদকাসক্তির বিভিন্ন খারাপ দিক সম্পর্কে বোঝানো হয় যাতে করে তারা তাড়াতাড়ি এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। 
এছাড়া পুনর্বাসনে বিভিন্ন রকম ব্যায়াম সুষম খাদ্য পর্যাপ্ত ঘুমানো ইত্যাদির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে যার ফলে মাদকাসক্তি ব্যক্তিরা একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
হিরোইনের নেশা অনেক মারাত্মক একটি নেশা আপনি যখন পুরোপুরি ছেড়ে দেবেন তখন আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে যেমন মাথা ব্যথা করা, বমি বমি ভাব হওয়া, শরীর ব্যথা করা, মেজাজ এর পরিবর্তন ইত্যাদি তাই এ সময়টি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ফেনসিডিল ছাড়ার উপায়

মাদক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার ফেনসিডিল ছাড়ার উপায় সম্পর্কে এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব। অন্যান্য সকল নেশার মতো ফেনসিডিলের নেশাও অনেক বেশি মারাত্মক তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি থেকে বেরিয়ে আসা যায় ততই ভালো। 

ফেনসিডিল প্রথম দিকে কাশির সিরাপ হিসেবে মানুষ ব্যবহার করতো কিন্তু ধীরে ধীরে এটি একটি নেশার দ্রব্য হিসেবে পরিচিত হতে লাগলো। অনেকে আছে যারা শত চেষ্টা করেও এ নেশা থেকে নিজেকে বের করতে পারছেন না তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

১। যে সকল বন্ধু-বান্ধব ফেনসিডিলের নেশা করে থাকে তাদের সাথে মিলেমিশে একবারে বন্ধ করে দিন পারলে তাদের নাম্বারটা ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দিন যাতে করে তারা আপনাকে ফোন দিতে না পারে।
২। এবং বাইরে বের হওয়া কমিয়ে দিন বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকুন নিজের পরিবারকে সময় দিন কারণ বাইরে বের হলেই এই সমস্যাটি বেশি হয়।

৩। নিজেকে সবসময় বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকুন অথবা চাকরি অথবা ব্যবসা করলে এগুলোতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

৪। বেশি বেশি করে চা কফি খান কারণ এগুলো খাওয়ার ফলে আপনি মাদকের নেশা থেকে বিরতি থাকতে পারবেন।

৫। নিয়মিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন এবং তারপর ব্যায়াম করবেন নিজেকে একটি রুটিন এর ভিতরে রাখবেন তাহলে আপনি মাদক থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

ইয়াবা আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমানে যতগুলো মাদকদ্রব্য রয়েছে তার মধ্যে ইয়াবা হলো অন্যতম তাই আপনি যদি ইয়াবা আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ ইয়াবা আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে বলবো। 

এ নেশার কারণে প্রথমে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী অকালে ঝরে পড়ছে অনেকে রাত জেগে পড়ার কারণে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর কারণে এই ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করে থাকে। 

কিন্তু তারা এটি বুঝতে পারে না যে অজান্তে তারা নিজেদের কত বড় ক্ষতি করে ফেলছে একজন ইয়াবা সেবনকারীর শরীর অনেক বেশি পাতলা হয়ে থাকে যার কারণে তারা দিনের বেলায় খুব একটা বাইরে বের হয় না। তাই আপনি যদি ইয়াবার আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা পড়বেন।

১। সর্বপ্রথম আপনাকে নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে যে আপনি এটি সেবন করা ছেড়ে দেবেন আর এটি আস্তে আস্তে ছাড়ার কথা আপনি চিন্তা করেন তাহলে আপনি কোনদিনই এটি ছাড়তে পারবেন না। তাই নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে আপনি এক্ষুনি এটি থেকে বেরিয়ে আসবেন।

২। এরপর ইয়াবা সেবন করে এমন কোন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মেলামেশা করা যাবে না তারা ডাকলেও তাদের সাথে যাওয়া যাবে না এতে করে আপনার আবার এটি সেভাবে আগ্রহ জাগতে পারে।
৩। এবং আপনি যদি মুসলিম ধর্মে হয়ে থাকেন তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন এবং বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করুন তাহলে আশা করি আপনি এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

৪। ইয়াবা সেবন যেদিন থেকে ছেড়ে দিবেন তারপর থেকে আপনার অনেক বেশি ঘুম পাবে এবং শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

৫। ইয়াবা ছাড়ার পর বেশি বেশি করে ঘুমাবেন কারণ আপনি যখন বেশি বেশি করে ঘুমাবেন তখনই আপনি এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হিরোইন এ সকল মাদক থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাই আপনারা যারা মাদক থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url