৫ ওয়াক্ত সালাতের ১০ টি শারীরিক উপকারিতা
প্রিয় পাঠক সালাতের ১০ টি উপকারিতা ও ৫ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে
আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য।
তাই আপনার যদি শারীরিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে সালাতের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপএঃ ৫ ওয়াক্ত সালাতের ১০ টি শারীরিক উপকারিতা
সালাতের ১০ টি উপকারিতা
প্রতিটি মুসলিমদের জন্য আল্লাহতালা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন আর এ সালাত
আদায় করার মাধ্যমে আমরা দুনিয়া এবং আখিরাত দুই জায়গাতেই সফল হতে পারি। এছাড়াও
কেউ যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ঠিকমত আদায় করে তাহলে সে দুনিয়ার সকল রকম
অন্যায় অজ্ঞকর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ বডি ফিটনেস ঠিক রাখার সেরা ৮টি উপায়
এছাড়াও হাদিসে এসেছে যে কেউ যখন নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেজদা দেয়
তখন সে আল্লাহর অনেক নিকটে থাকে। এছাড়াও কেউ যদি প্রতিনিয়ত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত
আদায় করে তাহলে সে শারীরিকভাবেও অনেক উপকৃত হবে তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা
আপনাদেরকে শারীরিকভাবে সালাতের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
১। নামাজের সময় আমরা যখন সেজদা দিই তখন আমাদের মস্তিষ্কে অনেক দ্রুত রক্ত চলাচল
হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায়।
২। এছাড়াও আমরা নামাজ আদায় করার সময় অনেক মনোযোগ সহকারে নামাজটি আদায় করি যার
কারণে পরবর্তীতে যে কোন কাজ আমরা মনোযোগ সহকারে করতে পারি।
৩। পানি দিয়ে ওযু করার সময় আমরা শরীরের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধুয়ে থাকে যার
কারণে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু থেকে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি।
৪। ওযু করার সময় আমরা আমাদের মুখমন্ডলে তিনবার পানি দিয়ে থাকি যার ফলে আমাদের
মুখে সকল রকম তেলাক্ত দূর হয় এবং মুখের আসল উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
৫। নামাজ পড়ার মাধ্যমে একটি মানুষ খুব সহজেই তার যে কোন কাজে খুব সহজে মনোযোগ
স্থাপন করতে পারবে এবং সফল হতে পারবে।
৬। যেহেতু প্রত্যেকটি মুসলিমকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অর্থাৎ দিনে পাঁচবার নামাজ
পড়তে হয় তাই কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাহলে সে খুব সহজে একটি রুটিনের
মধ্যে রাখতে পারবে।
৭। ওজু করার সময় চোখে পানি দেয়ার কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি অনেক ভালো থাকে।
৮। নামাজের সময় যেহেতু আমাদের শরীরকে নানা ভাবে নাড়াচাড়া করতে হয় তাই এটি
আমাদের জন্য অনেক ভালো একটি ব্যায়াম হতে পারে।
৯। কেউ যদি অনেক বেশি চিন্তা টেনসনে থাকে তাহলে নামাজ পড়ার মাধ্যমে সে খুব সহজে
প্রশান্তি পেতে পারে।
১০। এছাড়াও নামাজের সময় আমরা যখন মসজিদে যায় তখন সকলের সাথে আমাদের একটি
ভাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি হয় এবং এই সময় ধনী গরিব নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে একসাথে
নামাজ আদায় করে।
৫ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা
সালাতের ১০ টি উপকারিতা কি কি এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার
আমরা ৫ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফরজ করা হয়েছে তেমনি এই পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজের প্রতি ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি তাই এগুলো
নিয়েই আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ফজরের নামাজঃ সারারাত ঘুমানোর পর ভোরবেলাতে নামাজের জন্য ঘুম থেকে ওঠা
হালকা একটি অনুশীলন হয়। এবং এ সময় পানি দিয়ে ভালোভাবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ
অঙ্গগুলো ধুয়ে অজু করা হয় যার ফলে শরীরের একটি পবিত্রতা অর্জন হয় এবং জীবাণু
থেকে অনেকাংশে বাঁচা যায়।
আবার এই সময় আপনি যদি পায়ে হেঁটে মসজিদে যান তাহলেও ভোরবেলাতে আপনার ভালো একটি
ব্যায়াম হয়ে যাবে যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।
যোহরের নামাজঃ ফজরের নামাজের পর থেকে যোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত যেহেতু
মানুষ জীবিকার জন্য সারাদিন বাইরে থাকে এর জন্য ধোলাময়লা বিষাক্ত কেমিক্যাল দেহে
লেগে শরীর জীবাণু সংক্রমণ করে এছাড়াও এ সময় সূর্যের ক্ষতিকারক গ্যাস মানুষের
শরীরে বিভিন্ন রকম ক্ষতি করতে পারে।
তাই যোহরের নামাজের সময় প্রত্যেকটি মানুষ যখন পানি দিয়ে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ
স্থানগুলো তিনবার করে ধুয়ে ওজু করে তখন তার শরীরে আর কোন জীবাণু থাকে না এবং
দেহের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
আসরের নামাজঃ অনেকে রয়েছে যারা যোহরের নামাজের পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া
করে একটু রেস্ট নেই এবং কয়ক ঘন্টা পর আসরের নামাজ শুরু হয়ে যায় আর এ সময়
নামাজ আদায় করলে অবাদগ্রস্ত, অবচেতন অনুভূতি মানসিক চাপ অস্থিরতা ইত্যাদি কমে
যায়।
মাগরিবের নামাজঃ সারা দিন জীবিকার জন্য পরিশ্রম করে মানুষ যখন সন্ধ্যার
সময় মাগরিবের নামাজ আদায় করে তখন সে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে অনেক বেশি
স্বস্তি অনুভব করে। এবং এ সময় সারাদিনের শরীরের সকল রোগের জীবাণু এবং ময়লা ওদের
মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে দূর হয়ে যায়।
এশার নামাজঃ বিশেষজ্ঞদের মত রাতে বিছানায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটু
ব্যায়াম করে নিলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হয় আর এশার নামাজ যেহেতু
রাতে আদায় করতে হয় তাই এ নামাজের মাধ্যমেই আপনার খুব ভালো একটি ব্যায়াম হয়ে
যাবে এবং এই নামাজ আপনার খাবার হজমে ও অনেক সহযোগিতা করবে।
নামাজ পড়ার শারীরিক উপকারিতা
উপর অংশটি পড়ে আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে সালাতের ১০ টি উপকারিতা গুলো কি কি
আমরা হয়তো বা প্রত্যেকেই জানি যে একজন মুসলিমের জন্য নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ
কিন্তু নামাজ পড়ার শারীরিক উপকারিতা রয়েছে এ সম্পর্কে আমরা হয়তোবা অনেকেই
সঠিকভাবে জানি না।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে নামাজ পড়ার কিছু শারীরিক মানসিক উপকারিতা
সম্পর্কে বলব তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়বেন।
১। নামাজের সময় আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে নানাভাবে নাড়াচাড়া করাতে
হয় যার কারণে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ পতঙ্গর রক্ত চলাচল বেড়ে যায়।
২। নামাজের সময় আমরা যখন সেজদা দিই তখন আমাদের মস্তিষ্কে অনেক দ্রুত রক্ত চলাচল
হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায়।
৩। এছাড়া নামাজের আগে আমাদেরকে পানি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত
করতে হয় যার কারণে ময়লা জীবাণু থেকে আমাদের শরীর দূরে থাকে এবং শরীরের পাক
পবিত্রতা বজায় থাকে।
৪। এছাড়া কেউ যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পায়ে হেঁটে গিয়ে আদায়
করে তাহলেও তার শরীরের জন্য প্রতিদিন একটি ব্যায়াম হবে।
৫। নামাজের সময় যখন আমরা মাজা নিচু করে রুকু করি তখন আমাদের রক্ত চলাচল অনেক
বেড়ে যায় এবং যার ফলে আমাদের মেরুদন্ডের হার অনেক ভালো থাকে।
নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
সালাতের ১০ টি উপকারিতা এবং এর শারীরিক উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের
অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আর্টিকেলের এই অংশে নামাজের বৈজ্ঞানিক
উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।
মহান আল্লাহতালা বিধান অনুযায়ী মুসলিমদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে
শত শত বছর ধরে বিশ্বের সকল মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এই
নামাজ আদায় করছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছে যারা গবেষণা করে
দেখেছি যে এই নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষের অনেক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে।
বিশেষ করে মানুষ যখন নামাজের আগে পানি দিয়ে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ধৌত
করার মাধ্যমে ওযু করে তখন তাদের শরীরের সকল ময়লা জীবাণু দূর হয়ে যায় আর যার
ফলে বিভিন্ন রকম রোগ থেকে মানুষ রক্ষা পায়।এছাড়াও নামাজের সময় আমরা যখন সেজদা
দিই তখন আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং যার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি
বেড়ে যায়।
এছাড়াও নামাজের সময় যখন আমরা মাজা নিচু করে রুকু করি তখন আমাদের রক্ত চলাচল
অনেক বেড়ে যায় এবং যার ফলে আমাদের মেরুদন্ডের হার অনেক ভালো থাকে। নামাজের আগে
মুখমণ্ডলে তিনবার পানি দিয়ে ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা অনেক ভালো থাকে
এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ও বজায় থাকে।
কোন নামাজ পড়লে চেহারা সুন্দর হয়
সালাতের ১০ টি উপকারিতা এবং এর বৈজ্ঞানিক ও শারীরিক উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা
ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কিন্তু আপনারা কি জানেন যে নামাজ পড়লে চেহারা সুন্দর হয়
হয়তোবা অনেকে জানেন আবার অনেকে না তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো
যে কোন নামাজ পড়লে চেহারা সুন্দর হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রতিটি মুসলিম জাতির জন্য ফরজ কিন্তু এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের
মধ্যে আপনি যদি আপনার রুপ চেহারায় পরিবর্তন আনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই
প্রতিদিন গভীর রাতে তাহাজ্জুদ এর নামাজ এবং ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে
হবে।
পবিত্র কোরআন শরীফে বলা আছে যে কেউ যদি এই দুটি নামাজ প্রতিনিয়ত আদায় করতে পারে
তাহলে তার মুখে উজ্জ্বলতা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
এছাড়া ফজরের নামাজ পড়ার অনেকগুলো শারীরিক উপকারিতা রয়েছে যেমন ফজরের নামাজ
পড়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকবেন এতে করে আপনি
নিজেকে অনেক সুস্থবোধ মনে করবেন।
এছাড়াও তাহাজ্জুদের নামাজ যেহেতু গভীর রাতে আদায় করতে হয় আর এই নামাজের ফজিলত
সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই জানি এটি এমন একটি নামাজ এ নামাজের মাধ্যমে বান্দা
আল্লাহতালার অনেক কাছে অবস্থান করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে তার চাওয়া পাওয়া
গুলো তুলে ধরতে পারে।
যেহেতু এ নামাজ এর এত ফজিলত রয়েছে তাই এ নামাজ কোন ব্যক্তি যদি প্রতিনিয়ত
আদায় করে তাহলে তার মুখের উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে অনেক বৃদ্ধি পাবে।
লেখকের মন্তব্য
শারীরিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সালাতের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ সাজানো হয়েছে তাই আপনারা যারা এখনো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন না
তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন যাতে
করে আপনারাও নামাজের শারীরিক উপকারিতা গুলো পেতে পারেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url