এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার-এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ও এর সুবিধা


আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও কাকে বলে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার


এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এবং এটিতে কেমন কমিশন পাওয়া যায় এ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

সূচিপত্রঃ  এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার-এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ও এর সুবিধা

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে আপনারা হয়তো বা অনেকেই জানেন না তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
আপনারা কি জানেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা কাকে বলে কোন ব্যক্তি যদি কোন কোম্পানির কোন পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করার ফলে কোম্পানি কর্তৃক কোনো কমিশন পায় তাহলে তাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। 

মনে করেন আপনি কোন কোম্পানির ত্রিশ হাজার টাকার মূল্যের একটি ফ্রিজ বিক্রি করে দিলেন তাহলে আপনি সেই ফ্রিজটি বিক্রি করার ফলে সেখান থেকে ৫% কমিশন পাবেন অর্থাৎ এ পাঁচ পার্সেন্ট কমিশনটি হচ্ছে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক ধরনের হয়ে থাকে আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি সেটির মাধ্যমেও খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তার জন্য শুধু আপনাকে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। 

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কতভাবে ইনকাম করা যায় এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।

ইউটিউব মার্কেটিংঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব তাই আপনি ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন কারণ বর্তমানে মানুষ তার ইন্টারটেইনমেন্টের জন্য অধিকাংশ সময়েই ইউটিউবের মধ্যে ব্যয় করে থাকে তাই আপনি চাইলে এখানে খুব সহজেই কোন পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন। 

ইউটিউবে কোন কোম্পানির পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য প্রথম প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে আপনার ভিডিও কনটেন্টের কোয়ালিটি কারণ আপনার ইউটিউবের ভিডিও কনটেন্ট যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার ভিডিওতে তেমন কোন ভিউ হবে না আর যার ফলে আপনি কোন পণ্য সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন না।

ফেসবুক মার্কেটিংঃ ইউটিউবের মতো ফেসবুকও হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তাই আপনি চাইলে এখানেও খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

যেহেতু ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে খুব সহজেই কমিউনিকেশন করে থাকি তাই আপনি চাইলে এখানে আপনার ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার রেফারেল লিংকটি শেয়ার করতে পারেন এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ফেসবুকের সকল ফ্রেন্ড এবং গ্রুপেও লিংকটি শেয়ার করতে পারেন এতে করে আপনার সেল জেনারেট অনেক ভালো হবে।

সিপিএ মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং কারণ এ সক্টরে খুব সহজেই সেল পাওয়া যায় তাই অনেক মানুষই এফিলেটের জন্য এই সেক্টরে কাজ করছে। এই সেক্টরে একটি ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি একটি কমিশন পেয়ে যাবেন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইমেইলে আপনার কোম্পানির পণ্যের মার্কেটিং করতে হবে কারণ আমরা সবাই জানি বর্তমানে পুরো বিশ্বে ইমেইল ইউজার এর সংখ্যা অনেক বেশি যার ফলে আপনি চাইলে এখানে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। 

আপনি চাইলে বিভিন্ন দেশের ইমেইল করে সেখানে সেখানে আপনার কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের আপডেট এবং অ্যাড খুব সহজেই করতে পারবেন।

ব্লগে কনটেন্ট মার্কেটিংঃ আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখানে বিভিন্ন রকম আর্টিকেল লিখে পাঠকদের কনভেন্স করে আপনি আপনার কোম্পানির পণ্যের প্রচার করতে পারবেন। 

এখানে মার্কেটিং করার একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি যে পণ্যের মার্কেটিং করবেন সে পণ্যের উপরে একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং সে আর্টিকেলের নিচে সে পণ্যের লিংকটি দিয়ে দেন তাহলে পাঠকদের খুব সহজেই আপনি কনভেন্স করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এবার আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো কি কি এ সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কিভাবে এটি করতে হয় এ সম্পর্কে আপনার হয়তোবা অনেকেই জানেন কিন্তু তারপরও আপনারা অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে কিনা এই বিষয়ে তাই আপনি যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনার সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর হয়ে যাবে আশা করছি। 

তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক আপনি এই সেক্টরে কাজ করলে কি কি সুবিধা পাবেন এ সম্পর্কে।

১। যেহেতু আপনি অন্য ব্যক্তির বা কোম্পানির পূর্ণ প্রচার করে বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা পাবেন তাই এখানে আপনার বাড়তি কোন ঝুঁকি থাকে না কারণ আপনি এখানে পূর্ণ বিক্রি করতে পারলে টাকা পাবেন না পারলে পাবেন না।
২। এবং আপনি এখানে সবসময় কাজ না করলেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন যাকে প্যাসিভ ইনকাম বলে আপনাকে শুধু আপনার কনটেন্ট, ভিডিও এবং পণ্যের প্রচারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তাহলে আপনি এখান থেকে সারা জীবন তেমন কোন কাজ না করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৩। আর এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি কোন টাকা ইনভেস্ট করা ছাড়াই আপনি খান টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু তার জন্য শুধু আপনার একটি ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।

৪। এছাড়াও এটির আরও একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যখন কোন পণ্যের জন্য মার্কেটিং করবেন তখন আপনার মার্কেটিং স্কিল অনেক বৃদ্ধি পাবে যার ফেল আপনি ভবিষ্যতে একজন ভাল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

৫। এছাড়াও এখানে আপনি নিজ ইচ্ছামতো সময় কাজ করতে পারবেন যা আপনি অন্যান্য কাজে খুব একটা করতে পারবেন না।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে ড়ঙজানার আগে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এ সম্পর্কে জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করে তখন সে ওই পণ্যের বিক্রয় মূল্যে কিছু কমিশন পাই আর এটিকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। 

আর বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করছে তাই আপনি চাইলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন কিন্তু তার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ অথবা একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে যে কোন পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন। 
আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের লিংক দিবেন এবং সে লিংকে ক্লিক করে যত জন মানুষ সেই পণ্যটি কিনবে আপনি সে পণ্যটির বিক্রয় মূল্যের একটি কমিশন পেতে থাকবেন। 

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের যে সকল বড় বড় ই-কমার্স সাইড রয়েছে যেমন দারাজ, বিডি সপ, রকমারি, সাজগোজ ইত্যাদি সাইডে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তার জন্য আপনাকে সেই সাইটগুলোতে গিয়ে একটি আইডি তৈরি করতে হবে এবং আপনার অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ সম্পর্কে আপনার হয়তোবা অনেকেই জানেন না তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করব। এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো কিছু করার জন্য আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জিনিসটা কি এটি ভালোভাবে বুঝতে হবে। 

এবং আপনি যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই এফিলিয়েট প্রোগ্রামমে গিয়ে একটি নিবন্ধন করতে হবে এছাড়াও আপনি যে পণ্যের উপরে মার্কেটিং করবেন সে পূর্ণ সম্পর্কে আপনার সঠিক একটি ধারনা রাখতে হবে। 
এরপর আপনার যেকোনো একটি সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ওয়েবসাইটের সাথে আপনার অ্যাফিলিয়েটের লিংক গুলি যুক্ত করতে হবে আর এ সকল লিংকে ক্লিক করে যখন কেউ কোন পণ্য কিনবে তখনই আপনি সে পণ্যটির বিক্রয় মূল্যের একটি কমিশন পাবেন। 

বর্তমানে অনেকগুলো ই-কমার্স সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি চাইলে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

আমাদের অনেকের মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কমিশনের বিষয়টি একান্ত ব্যক্তি এবং কোম্পানির উপর নির্ভর করে তারপরও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাধারণত ৫% থেকে ৭০% পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যে কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে। 
এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি যদি কোন বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি সে পণ্যের জন্য অবশ্যই বেশি টাকা কমিশন পাবেন তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ পণ্যের উপরেও আপনার কমিশন নির্ভর করে। 

বর্তমানে যে সকল ই কমার্স সাইড রয়েছে যেমন অ্যামাজন, দারাজ, রকমারি, বিডি শপ, সাজগোজ ইত্যাদি সাইডে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন আর এ সকল সাইড এক একিট একেক রকম ভাবেন্ত কমিশন দিয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার এবং এটি কিভাবে করতে হয় এর সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্য একটি লাইক এবং কমেন্ট করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url