আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে-আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা ও অপকারিতা
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে এবং আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানতে
চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য কারণ আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার কোনগুলো এবং প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
উচিত এ সম্পর্কেও আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে-আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা ও অপকারিতা
আশঁযুক্ত খাবার কাকে বলে
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে এ সম্পর্কে হয়তোবা আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা
মূলত যে সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং ফাইবার থাকে সে সকল
খাবারকেই আঁশযুক্ত খাবার বলা হয়ে থাকে। আঁশযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে কচু
শাক, মসুর ডাল, সাজনে ডাটা,পিয়ারা বাঁধাকপি ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
আঁশ জাতীয় কোন খাবার আমাদের পরিপাকতন্ত্রে ঠিকমতো হজম হয় না এর মূল কারণ হচ্ছে
এ সকল খাবার হজম করার জন্য আমাদের পরিপাকতন্ত্রে পাচন রস থাকেনাতারপরও এ সকল
খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো শর্করা হিসেবে
আমাদের শরীরে কাজ করে ।
এছাড়াও আঁশযুক্ত এ সকল খাবার আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং
এটি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। এবং যাদের
কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেক বেশি সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এসব আজযুক্ত খাবার অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে এ সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি কিন্তু আঁশযুক্ত
খাবারের উপকারিতা গুলো কি কি এ সম্পর্কে আমরা অনেকে জানিনা তাই আজকের আর্টিকেলে
আমরা আপনাদেরকে আঁশযুক্ত খাবারের সকল উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর
চেষ্টা করব। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আঁশযুক্ত সকল খাবারের উপকারিতা
গুলো :
১। আঁশযুক্ত সকল খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটি আমাদের
শরীরের বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
২। এছাড়াও এ সকল খাবার আমাদের শরীরে ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে এবং
যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তারাও চাইলে আঁশযুক্ত খাবার খেয়ে তোদের ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ একদিনে ব্রণ দূর করার ১০টি কার্যকরী উপায়
৩। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উচ্চ রক্তচাপ থেকেও আপনি রক্ষা পেতে পারেন আঁশযুক্ত খাবার
খাওয়ার ফলে।
৪। এছাড়া আপনার হজম শক্তিতে যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি আঁশযুক্ত খাবার
খেতে পারেন কারণ এই সকল খাবারে থাকা এক ধরনের এসিড আমাদের পাচন প্রক্রিয়াতে
সাহায্য করে থাকে।
আঁশযুক্ত খাবার কি কি
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে এ সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই
এবার আজ যুক্ত খাবার কোনগুলো এ সম্পর্কে এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা
করব। আমরা একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবো যে আমরা প্রতিদিন যে সকল খাবারগুলো খেয়ে
থাকি সে খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
আর এই সকল খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। মূলত উদ্ভিদ জাতীয়
সকল ফলমূল এবং শাকসবজিতেই এই উপাদানটি পাওয়া যায় যেহেতু এই উপাদানটি আমাদের
পরিপাকতন্ত্রে হজম হয় না তাই এটি শর্করা খাদ্যের মতো আমাদের শরীরে থেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ খুসখুসে এবং এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়
আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা
আঁশযুক্ত সবজির মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি,ফুলকপি, কচু শাক, মুলার শাক, কলার মোচা,
ঢেঁড়স, সজনে ডাটা,পটল, মিষ্টি আলু, কচু, বেগুন, মটরশুঁটি ইত্যাদি। এবং ফলের
মধ্যে রয়েছে পেয়ারা, বেল, আতা ফল, কামরাঙ্গা, পাকা আম, টাকা কাঁঠাল, আমড়া, আপেল
আমলকি ইত্যাদি। এছাড়াও মোটর, মসুর, খেসারি, জব, গমের আটা ইত্যাদি এগুলো আঁশযুক্ত
খাবারের মধ্যে পরে।
আঁশযুক্ত সবজি কি কি
আমরা প্রায় অনেকেই জানি যে আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে মূলত আমাদের প্রত্যেকদিনের
খাদ্য তালিকার মধ্যেই আঁশযুক্ত খাবার থাকে বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার সবজির মধ্যে
আর এ সকল আঁশযুক্ত সবজি যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তাই আঁশযুক্ত সবজি
কি কি এ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত।
০৪আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে জানুন
আঁশযুক্ত সবজি : আঁশযুক্ত সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে কচুর শাক, মুলার শাক,
মিষ্টি আলু, পটল, বেগুন, ঢেঁড়স, কলার মোচা, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পুইশাক,
মিষ্টি কুমড়া, কলমি শাক, বরবটি ইত্যাদি।
আশঁযুক্ত মাছ কি কি
আপনারা এতক্ষণ আঁশযুক্ত সবজি কোনগুলো এ সম্পর্কে জেনেছেন তাই আঁশযুক্ত মাছ কি কি
তা এবার আর্টিকেলের এ অংশে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আমরা মূলত প্রতিনিয়তই
বিভিন্ন রকম মাছ খেয়ে থাকি আর এই মাছগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আশঁযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে কই রুই সিলভার কাপ ইত্যাদি মাছ যা আমাদের শরীরের
বিভিন্ন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে এ সম্পর্কে প্রত্যেকে জানলেও প্রতিদিন কি পরিমান
আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত এ সম্পর্কে অনেকেই জানে না তাই আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার
খাওয়া উচিত।
আসল প্রতিদিন কি পরিমান আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত এটি নির্ভর করে প্রতিটি
মানুষের বয়সের উপরে। এছাড়াও আপনি কি পরিমাণ পরিশ্রম করেন তারপরেও নির্ভর করে
থাকে বিশেষ করে কম বয়সীদের তুলনায় বেশি বয়সীদের আর যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত
প্রয়োজনীয়।
এছাড়াও আপনি যদি বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি করে যুক্ত খাবার খান
তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে
আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং আজ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার
খেতে হবে।
এবং ১৬-১৭ বছর হয়ে গেলে এরপর থেকে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত
খাবার খেতে হবে। আর আপনি যদি এভাবে নিয়ম মেনে এই উপাদানটি খেতে পারেন তাহলে আপনি
বিভিন্ন রকম রোগ বালাই থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য
আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা এবং প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এ
সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। তাই আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে
থাকে তাহলে আর্টিকেলটি তো অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট করবেন। এবং আর্টিকেলটি
অন্যদেরকেও শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও এটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url