চর্মরোগ ও এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতার উপকারিতা


আপনি যদি দাউদ চুলকানি এবং এলার্জি থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনাকে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ও চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে আর এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার


এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে একবার পড়বেন।

সূচিপত্রঃ চর্মরোগ ও এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতার উপকারিতা 


এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

আপনি যদি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি এলার্জি থেকে রক্ষা পাবেন কারণ নিমপাতাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ক্যারোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের সকল রকম জীবনু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শুধু এলার্জি নয় আরো বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতেও নিম পাতার ব্যবহার করা যেতে পারে। 
এলার্জি জমিতে সমস্যা মূলত এমন  একটি রোগ মনে করেন আপনি ঘর ঝাড়ু দিচ্ছেন অথবা অথবা বাইরে ধুলোবালি মধ্যে হাঁটাচলা করছেন এরপর পরে আপনার প্রচুর পরিমাণে হাঁচি কাশি শুরু হয়ে গেল তাহলে বুঝতে হবে আপনার এলার্জি সমস্যা হয়েছে।

বর্তমান সময়ে সবচাইতে কমন একটি রোগ হচ্ছে এলার্জি যা প্রতিটি মানুষেরই হয়ে থাকে কিন্তু তাই বলে এ রোগটিকে অবহেলা করার কোন অবকাশ নেই কারণ এ রোগটিকে অবহেলা করলে এটি ধীরে ধীরে আরো ভয়ানক হয়ে ওঠে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা এলার্জি থেকে বাঁচতে কিভাবে নিম পাতার ব্যবহার করতে হবে এ সম্পর্কে।

এলার্জি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জি থেকে বাঁচার জন্য ওদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতায় জুস বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে তাড়াতাড়ি আপনার এলার্জি ভাল হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনার যদি ডাস্ট এলার্জি হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার যদি প্রতিদিন সকালে হাঁচি হয় তাহলে আপনি এভাবে করে নিমপাতা। যেহেতু নিমপাতা অনেক অনেক তেতো তাই আপনি চাইলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ মধু দিয়েও খেতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি চাইলে নিম পাতা গুলোকে ভালো করে পিশে এরপর রোদে শুকিয়ে বডি করেও অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। আর এভাবে করে আপনি যদি সকালে এবং রাত্রে টানা একমাস ধরে নিম পাতা খেতে পারেন তাহলে আপনার এলার্জির সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জি দূর করার জন্য যেমন এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করতে হয় তেমনি চুলকানি দাউদ এ সকল চর্মরোগ থেকে রক্ষা পেতেও নিম পাতার ব্যবহার করতে হয়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে নিম পাতার ওষুধি গুনাগুন অনেক বেশি যার কারণে এটি শরীরের যে কোন চর্মরোগ দূর করতে সহযোগিতা করে থাকে।

আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রকম দাউদ চুলকানি ইত্যাদি চর্ম রোগে ভুগছেন শত চেষ্টার পরও এগুলো থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না মূলত তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশটিতে চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। চর্মরোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমন চুলকানি দাউদ শরীরে লাল লাল রেস ইত্যাদি। 
আপনার যদি শরীরে দাউদ অথবা লাল লাল রেস বের হয় তাহলে আপনাকে প্রতিদিন নিম পাতার সাথে পানি গরম করে এরপর এটি কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে এ পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এছাড়াও গোসল করার আগে আপনি যদি কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার একটি পেস্ট তৈরি করে পুরো শরীরে লাগাতে পারেন তাহলে আরো ভালো হয়। 

এছাড়া আপনার যদি চুলকানির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে সকালে উঠে নিম পাতার শরবত অথবা জুস পান করতে হবে যেহেতু নিম পাতা খেতে অনেক তেতো তাই আপনি চাইলে এর মধ্যে কয়েক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন কারণ মধুও চর্মরোগ নিরাময় কাজ করে থাকে।

নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা

চর্মরোগ এবং এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করার ফলে যেমন অনেক ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় তেমনি নিম পাতার রস খাওয়ার ফলেও শরীরে অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

নিম পাতা কি এ সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি নিম পাতায় রয়েছে ওষুধি গুণ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ এর বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারেন আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা, ওজন কমানো, খাবার হজম করা, খুসখুসে কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া ইত্যাদি। 

এছাড়াও পেটে ব্যথা, আলসার, মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন নিম পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি নিম পাতার সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনাকে এটি সঠিক সময়ে খেতে হবে। 
আপনি চাইলে রাতে এবং সকালে দুই বেলা করে নিম পাতার রস খেতে পারেন এতে করে আপনি এটি সম্পূর্ণ উপকারিতা পাবেন। তাই পরিশেষে বলা যায় যে নিম পাতার রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ওষুধী যা বৈজ্ঞানিক দাড়াও প্রমাণিত।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়?

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি তাই এবার খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি নিম পাতার সকল উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এটি খাওয়ার কিছু সময় এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে তোমার সেই অনুযায়ী এটি খেতে হবে। 

তাহলে আপনি এটির পূর্ণাঙ্গ উপকারিতা পাবেন আপনি যদি সকালে নিম পাতার রস খেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এটি খালি পেটে খেতে হবে এতে করে সকাল বেলায় আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এটি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। নিম পাতায় রয়েছে অনেক বেশি আয়ুর্বেদিক উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 
এছাড়া অনেক রকম ওষুধ যেগুলো বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় বেশিরভাগের মধ্যে নিম পাতার নির্যাস দেওয়া থাকে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কথা মতে সকাল বেলায় খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া অনেক ভালো। এতে করে আপনার ভজন শক্তি অনেক বেড়ে যাবে এবং আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। 

এছাড়াও সকাল বেলায় খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে এটি আমাদের অতিরিক্ত রক্তচাপ থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের রক্ত অনেক বেশি পরিষ্কার রাখে। তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনারা যদি সকালে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনারা এ সকল উপকারিতা পাবেন।

নিম পাতার তেল ব্যবহার করার উপকারিতা

নিম পাতার তেল ব্যবহার করার উপকারিতা রয়েছে অনেক নিম গাছের পাতা থেকে শুরু করে গাছের প্রতিটি জিনিসই আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আপনার বাড়ির পাশে যদি কোন নিম গাছ থেকে থাকে তাহলে আপনার বাড়ির আশেপাশে রোগ জীবাণুর পরিমাণ অনেক কমে আসবে কারণ নিম গাছের নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড যা সকল রকম রোগ জীবাণু দূর করে থাকে। 

আপনার হয়তোবা অনেকে আছেন যারা নিম পাতার তেল ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু এই নিম পাতা তেলে যে সকল উপকারিত রয়েছে এ সম্পর্ক হয়তোবা আপনার অনেকেই জানেন না তাই আজকে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। দেরি না করে জেনে নি যে নিম পাতা খেলে কি কি উপকারিতা রয়েছে।
১। শীতকালে আমাদের অনেকের চুলে খুশকি হয় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায় তাই এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা চাইলে নারকেল তেলের সাথে নিম পাতার তেল ব্যবহার করতে পারি এতে আমরা রক্ষা পাবো।

২। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন এলার্জি এবং দাউদ দূর করতে আপনারা চাইলে নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে এর তেল বের করে পুরো শরীরে মাখতে পারেন এতে করে আপনি এলার্জি থেকে বাঁচতে পারবেন।

৩। মুখের এবং মাথার ব্রণ দূর করতেও আপনারা মিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনাদের শরীরের বন দূর করে দিবে।

৪। এছাড়া আপনার চুল যদি বেশি তেলাক্ত থাকে তাহলে আপনি নিম পাতার তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার চুলকে অনেক সিল্কি করবে।

লেখকের মন্তব্য

নিম পাতার বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন সাজানো হয়েছে তাই আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটিতে অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url