ক্রিপ্টো ফরেক্স এবং বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল? তা জানুন
বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম এ সম্পর্কে আপনি
যদি সম্পূর্ণ তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে ট্রেডিং এর বিভিন্ন দিক নিয়েও আমরা বিস্তারিত তথ্য
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।
সূচিপত্রঃ ক্রিপ্টো ফরেক্স এবং বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল? তা জানুন
বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল
বর্তমানে আপনারা অনেকেই বাইনারি ট্রেডিং করতে চাইছেন কিন্তু ইসলামী শরীয়তে
বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম এ সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানার কারণে এখনো
কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি আপনাদের জন্যই মূলত
তৈরি করা হয়েছে যাতে করে আপনারা বাইনারি ট্রেডিং হারাম নাকি হালাল এ সম্পর্কে
বুঝতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ শেয়ার মার্কেট ট্রেডিং কয় প্রকার ও কি কি
বাইনারি ট্রেডিং এ মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের পরিমাণ কমবে নাকি
বাড়বে এটির উপর বাজি ধরে এখানে ট্রেডাররা ট্রেড করে থাকে যা ইসলামী শরীয়তে
জুয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়।
এছাড়াও বাইনারি ট্রেডিং এ ১০০ পার্সেন্ট বলে কিছু হয় না আপনি এখানে যতই রুলস
ফলো করেন না কেন তাতেও তেমন কোন লাভ হবে না আর ইসলামে ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য
স্বচ্ছতা ও নিশ্চয়তার উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যা বাইনারি ট্রেডিং এ
অনুপস্থিত।
বাইনারি ট্রেডিং এ আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে এক মিনিটে এক লাখেরও বেশি টাকা ইনকাম
করতে পারবেন আবার ভাগ্য খারাপ থাকলে এক লাখ টাকার বেশিও লস করতে পারেন যার জন্যই
বিভিন্ন ইসলামিক চিন্তাবিদরা এই বাইনারি ট্রেডিংকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম
বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম এ সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে আর্টিকেলের
উপরের অংশ থেকে জেনে গেছেন তাই এবার আপনাদেরকে ক্রিপ্টো ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম
এ সম্পর্কে এখানে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
ক্রিপ্টো কারেন্সি বলতে এমন এক মুদ্রাকে বোঝানো হয়ে থাকে যাকে হাত দিয়ে ছোঁয়া
যায় না অর্থাৎ ক্রিপ্টো কারেন্সি বলতে ডিজিটাল মুদ্রাকে বোঝানো হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই ক্রিপ্টো কারেন্সি মুদ্রার প্রচলন রয়েছে
কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে এখনো পুরো বিশ্বে এটি ভালো হবে প্রচলন হয়নি।
আরো পড়ুনঃ ব্যবসায় ইউটিউব চ্যানেলের গুরুত্ব বণনা কর
আর তাই বিভিন্ন ওলামা একরামদের কথা অনুযায়ী এই ক্রিপ্ট ট্রেডিং বৈধ বলে বিবেচিত
হয়েছে কারণ ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিটকয়েনের মত যে সকল কয়েন বা ডিজিটাল মুদ্রা
রয়েছে সেগুলো কি আসলেই মুদ্রা এ বিষয়ে আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে।
যে সকল মুদ্রার প্রতিটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সেগুলোকেই আমরা মূলত
মুদ্রা বলে থাকি যেমন মনে করেন আপনার কাছে ২০০ টাকা রয়েছে এ ২০০ টাকা দিয়ে আপনি
বাজার থেকে একটি ঘড়ি কিনলেন এতে বোঝা যায় বাংলাদেশি কারেন্সি অনুযায়ী ২০০ টাকা
অনেক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে আর যাকে আমরা সহজেই মুদ্রা বলতে পারি।
কিন্তু বিটকয়েনের মত আরও অন্যান্য ক্রিপ্টো কারেন্সির মুদ্রা গুলোর দাম সবসময়
উঠানামা করে এবং এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মাত্র কয়েকটি দেশেই রয়েছে আর এ সকল
মুদ্রার বাংলাদেশে কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই যার কারণে বিভিন্ন আলেমরা এই ক্রিপ্টো
ট্রেডিংকে হারাম বলে গণ্য করেছেন।
ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম
ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম এই নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক রকম দ্বিধাদ্বন্দ কাজ
করে তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা ট্রেডিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার
চেষ্টা করব।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেডিং হচ্ছে অনলাইন ট্রেডিং এবং এই অনলাইন ট্রেডিং
হচ্ছে তিন প্রকার ক্রিপ্টো কারেন্সি, ফরেক্স ট্রেডিং, বাইনারি ট্রেডিং আর এই তিন
ধরনের ট্রেডিং এর মধ্যে আপনি যদি হালাল উপায়ে ট্রেডিং করতে চান তাহলে ফরেক্স
ট্রেডিং আপনার জন্য।
কারণ বাইনারি এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং এ ইসলামী শরীয়ত বিরোধী অনেক ব্যাপার
রয়েছে যা ইসলাম কোনদিন সমর্থন করে না। ইসলামে একটি পণ্য ক্রয় করে সেটির উপর
কিছু পরিমাণ লাভ রেখে বিক্রি করে ব্যবসা করাকে হালাল করা হয়েছে।
কিন্তু বাইনারি ট্রেডিং এ মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের পরিমাণ কমবে
নাকি বাড়বে এটির উপর বাজি ধরে এখানে ট্রেডাররা ট্রেড করে থাকে যা ইসলামী শরীয়তে
জুয়া বলে।
আরো পড়ুনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ও এর সুবিধা
এবং শুধু বাইনারি নয় বরং ক্রিপ্টো কারেন্সির বিভিন্ন কয়েনের উপরেও ট্রেড করে
প্রফিট করা যায় আর যে কয়েন গুলোর উপরে মানুষ ট্রেড করে সে কয়েন গুলোর কয়েকটা
দেশ ব্যতীত আর কোথাও গ্রহণযোগ্যতা নেই তাই ইসলামে ক্রিপ্টো ট্রেডিং ও অবৈধ।
কিন্তু আপনি যদি হালাল ভাবে ট্রেডিং করতে চান তাহলে আপনি ফরেক্স ট্রেডিং করতে
পারেন কারণ এ ফরেক্স মানে হচ্ছে বিভিন্ন দেশের কারেন্সি অর্থাৎ মুদ্রার ক্রয়
বিক্রয়কে বোঝানো হয়ে থাকে।
যেহেতু প্রত্যেকটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে এবং সে সকল মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতা
সে সকল দেশে রয়েছে তাই আপনি যদি এ সকল মুদ্রার বিপরীতে অন্য মুদ্রা ক্রয়
বিক্রয় করেন তাহলে এটি ইসলাম অনুযায়ী বৈধ হবে।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে ট্রেডিং এর সব দিক হারাম নয় কিছু কিছু দিক রয়েছে
যেগুলো হালাল তাই আপনি যদি ইসলামিক শরীয়ত মেনে ব্যবসা করেন অথবা ট্রেডিং করেন
তাহলে ট্রেডিং আপনার জন্য হালাল হবে।
ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল
বাইনারি ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম এসব সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে
বিস্তারিত আলোচনা করে ফেলেছি তাই এবার আপনারা যারা ফরেক্স ট্রেডিং নিয়ে কাজ করতে
চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আর্টিকেলের এই অংশটি সাজানো হয়েছে।
ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল নাকি হারাম এই নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে অনেক প্রশ্ন
আসে ফরেক্স ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম এটি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে ফরেক্স
ট্রেডিং কি ফরেক্স বলতে বিভিন্ন দেশের কারেন্সি অর্থাৎ মুদ্রাকে বোঝানো হয়ে থাকে
আর ফরেক্স ট্রেডিং এ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে অন্য মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়
করা হয়ে থাকে।
যেহেতু প্রত্যেকটি দেশের মুদ্রার বা কারেন্সির প্রত্যেকটি দেশে একটি গ্রহণযোগ্যতা
রয়েছে তাই এসব কারেন্সি দিয়ে লেনদেন করা ইসলামে বৈধতা রয়েছে।
এছাড়াও ফরেস্ট ট্রেডিং করার আগে সুদ মুক্ত ইন্টারেস্ট ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে
হবে এবং সব সময় বিপরীত মুদ্রায় ট্রেড করতে হবে যেমন রিয়াল এর বিপরীতে রিয়াল
বিক্রি করলে সেটি হারাম হয়ে যাবে আপনাকে রিয়ালের বিপরীতে টাকা অথবা অন্য
কারেন্সি বিক্রি করে লাভ করতে হবে।
আমাদের মহানবী সাঃ বলেছেন তোমরা গমের বদলে গম জবের বদলে জব বিক্রি করো না এটা সুদ
হিসেবে গণ্য করা হবে।
লেখকের মন্তব্য
অনলাইন ট্রেডিং হারাম নাকি হালাল এবং কোন ট্রেডিং কিভাবে করলে হালাল হবে এই নিয়ে
আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সাজানো হয়েছিল তাই এটা পড়ার পর আশা করি আপনার এই
সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি অন্যদেরকেও শেয়ার করবেন।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url