বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ-বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ এবং বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় কি এ সম্পর্কে
আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনাদের জন্য।
কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা দাঁত ওঠার বিভিন্ন লক্ষণ কারণ এবং এর প্রতিকার
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করার অনুরোধ রইলো।
সূচিপএঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ-বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো কি কি এ সম্পর্কে অনেক অভিভাবক রয়েছে যারা
জানেনা যার ফলে তারা এ সময়টা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন তাই
তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা লিখব তাই চলুন দেরি না করে জেনে
নেওয়া যাক দাঁত ওঠার সময় বাচ্চাদের মধ্যে কোন কোন ধরনের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
১। বাচ্চাদের যখন নতুন নতুন দাঁত বের হয় তখন তাদের শরীরে হালকা পরিমাণে জ্বর
অনুভব হয় এছাড়াও এ সময় তারা প্রচুর পরিমাণে অসুস্থতায় ভোগে।
২। এছাড়াও এ সময় তাদের মুখে প্রচুর পরিমাণে লালা ঝরতে দেখা যায় এটিও তাদের
দাঁত ওঠার মূল লক্ষণ।
৩। এবং তারা এ সময় কোন কিছু ঠিকমতো খেতে চায় না খাওয়ার প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক
কমে যায়।
৪। এবং এই সময় তাদের দাঁতের মাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয় যার কারণে তারা
অনেক বেশি কান্নাকাটি করে এবং বিভিন্ন জিনিস কামড়ানোর চেষ্টা করে।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো কি কি এ সম্পর্কে আপনারা আর্টিকেলের উপরের অংশ
থেকে বিস্তারিত জেনেছেন তাই এবার বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় কি এ সম্পর্কে
আমরা আর্টিকেলের এই অংশ বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া
যাক বাচ্চাদের সঠিক সময় দাঁত না উঠলে কি কি করনীয় রয়েছে।
১। সাধারণত একটি শিশুর ১৫ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই দাঁত ওঠা শুরু হয় সে ক্ষেত্রে
তার যদি দাঁত না উঠে তাহলে আপনি তাকে একজন ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ অথবা ডেনিস এর কাছে
দেখাতে পারেন।
২। এছাড়াও সঠিক সময় দাঁত না ওঠার অন্যতম কারণ হচ্ছে দুজনে পুষ্টি এবং ভিটামিন
ডি এর ঘাটতি তাই সবসময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে পুষ্টিকর এবং ভিটামিন ডি যুক্ত
খাবার দেওয়া যেমন মাছ, চিজ, সবুজ শাকসবজি, দই, ফলমূল ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে জানুন
৩। এছাড়াও যারা গর্ভকালীন অবস্থায় আছেন তারা অবশ্যই এ সময় ভিটামিন ডি এবং
পুষ্টিকর জাতীয় সকল খাবার বেশি বেশি করে খাবেন কারণ অনেক সময় দেখা যায় শিশু
মাতৃগর্ভে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না পাওয়ায় পরবর্তীতে তার দাঁত না ওঠার কারণ হতে
পারে।
৪। বাচ্চাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে এতে করে তার দাঁতের মাড়ির
স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় আপনি কিভাবে বুঝবেন এ সম্পর্কে হয়তোবা আপনি জানেন না
যার কারণেই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে এসেছেন তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার
অনুরোধ রইল কারণ এই আর্টিকেলে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাচ্চাদের যখন নতুন নতুন দাঁত বের হয় তখন তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া
লক্ষ্য করা যায় যেমন মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা পরা, জ্বর আসা, অতিরিক্ত পরিমাণে
দাঁতের মাড়ি ব্যথা করা, বাচ্চাদের অতিরিক্ত কান্নাকাটি করা, ঠিকমতো
খাওয়া-দাওয়া না করা, যেকোন জিনিস কামড়ানোর চেষ্টা করা ইত্যাদি।
এ সকল লক্ষণ যখন আপনি আপনার বাচ্চার মধ্যে দেখতে পাবেন তখন বুঝবেন যে তার তার
কিছুদিনের মধ্যেই দাঁত বের হবে আর তাই এ সময় বাচ্চার প্রতি একটু বেশি খেয়াল
রাখতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ
বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ সম্পর্কে অনেকে জানলেও বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ কি
এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা তাই তাই কি কারণে বাচ্চাদের দাঁত ওঠে না এ সম্পর্কে
এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনেক শিশু রয়েছে যারা সঠিক সময়ের আগে জন্মায় যার ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের
পুষ্টিহীনতা থাকে আর এ কারণে পরবর্তীতে আর তাদের মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টিহীনতার
লক্ষণ দেখা যায় এর মধ্যে প্রধান লক্ষণ হচ্ছে সঠিক সময়ে তাদের দাঁত না
ওঠা।
এছাড়াও বাচ্চাদের সঠিক সময়ে দাঁত না ওঠার আরেকটি কারণ হচ্ছে তাদের খাদ্য
তালিকায় সঠিকভাবে ভিটামিন ডি এবং পুষ্টিকর খাবার না রাখা এবং অনেক মায়া রয়েছে
যারা গর্ভকালীন অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খায় না যার প্রভাব পরবর্তীতে বাচ্চাদের
উপর পড়ে।
তাই পরিশেষে বলা যায় যে বাচ্চাদের দাঁত না উঠার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে তাদের
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টি না থাকায় তাই সবসময় ছোট বাচ্চাদের
চেষ্টা করবেন ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবার দেওয়া।
লেখকের মন্তব্য
আপনারা যারা আপনাদের বাচ্চাদের দাঁত উঠা নিয়ে চিন্তিত আছেন তারা আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই উপকৃত হবেন কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা বাচ্চাদের দাঁত
উঠার লক্ষণ এবং সঠিক সময়ে দাঁত না উঠলে কি কি করনীয় রয়েছে এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করে ফেলেছি।
আর তাই আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটিতে
অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন এবং এ ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকবেন ধন্যবাদ।
rsfahim it নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url